সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ
চলন বিল গঠনকারী ছোট ছোট বিলগুলি পশ্চিম থেকে পূর্বে যথাক্রমে: ১) পূর্ব মধ্যনগর, ২) পিপরুল, ৩) ডাঙাপাড়া, ৪) লারোর, ৫) তাজপুর, ৬) নিয়ালা, ৭) চলন, ৮) মাঝগাঁও, ৯) ব্রিয়াশো, ১০) চোনমোহন, ১১) শাতাইল, ১২) খরদহ, ১৩) দারিকুশি, ১৪) কাজীপাড়া, ১৫) গজনা, ১৬) বড়বিল, ১৭) সোনাপাতিলা, ১৮) ঘুঘুদহ, ১৯) কুরলিয়া, ২০) চিরল, ২১) দিক্ষিবিল এবং ২২) গুরকা। বড় আকারের বিলগুলির বেশিরভাগই পাবনা জেলায় অবস্থিত, যেমন- গজনা বিল, বড়বিল, সোনাপাতিলা বিল, ঘুঘুদহ, চিরল বিল এবং গুরকা বিল। গজনা বিল দুলাই-এর দক্ষিণে ১২৩ বর্গ কিমি এলাকা জুড়ে অবস্থিত। বড়বিলের আয়তন ৩১ বর্গ কিমি। প্রায় ৩৫ বর্গ কিমি আয়তনের সোনাপাতিলা বিল পাবনা জেলার উত্তরাংশ জুড়ে অবস্থিত। চাটমোহর উপজেলায় কুরলিয়া ও দিক্ষিবিল দুটি যথাক্রমে ১৮ ও ১৫ বর্গ কিমি এলাকা জুড়ে অবস্থিত। চিরল ও গুরকা বিল- উভয়েরই আয়তন ৮ বর্গ কিমি এবং ঘুঘুদহ ৪ বর্গ কিমি।
ব্রহ্মপুত্র নদ যখন তার প্রবাহপথ পরিবর্তন করে বর্তমান যমুনায় রূপ নেয়, সে সময়েই চলন বিলের সৃষ্টি। করতোয়া ও আত্রাই নদীর পরিত্যক্ত গতিপথ অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে একটি ব্যাপক বিস্তৃত হ্রদে পরিণত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত এটি সম্ভবত একটি পশ্চাৎজলাভূমি ছিল। চলন বিলের গঠন ঐতিহাসিকভাবেই আত্রাই ও বড়াল নদীর সংকোচনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। আত্রাই নদী ছিল চলন বিলের প্রধান যোগানদানকারী প্রণালী যা বৃহত্তর রাজশাহী জেলার উত্তরাংশ ও দিনাজপুর এলাকার জল নিষ্কাশন করত। বড়াল চলন বিল থেকে জল নির্গম পথ হিসেবে কাজ করে এবং বিলের পানি বহন করে যমুনা নদীতে ফেলে। গঠিত হওয়ার সময় চলন বিলের আয়তন ছিল প্রায় ১,০৮৮ বর্গ কিমি।
কিভাবে যাবেনঃ
নাটোর থেকে বাসে গুরুদাসপুর উপজেলায় এসে সেখান থেকে নদী পথে চলন বিলে প্রবেশ করা যায়। অথবা সি এন জি করে যাওয়া যায় ভাড়া টাকা নিবে।
কোথায় থাকবেনঃ
সিরাজগঞ্জ শহরে থাকার জন্য ভালো মানের হোটেল হল, আল হামরা। ভাড়া ৩৫০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা। নিজস্ব বাহনে গেলে দিনে দিনেই ঢাকা থেকে গিয়ে ঘুরে আসা যায়।