ভরতের দেউল | যশোর

সংক্ষিপ্ত বিবরনঃ

ভরতভায়না বা ভর্তের দেউল( voroter deul ) ঢিবি, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার গৌরিঘোনা ইউনিয়নে অবস্থিত ভরতভায়না গ্রামে অবস্থিত একটি প্রত্নক্ষেত্র, যা খ্রিস্টীয় ৭-৮ শতকের একটি নিদর্শন বলে ধারণা করা হয়। এটি একটি স্থানীয় কাচা সড়ক দিয়ে সাতক্ষীরা-দৌলতপুর জেলা পরিষদ সড়কের সাথে সংযুক্ত। এই প্রত্নস্থলটির পূর্ব দিক দিয়ে বহমান বুড়িভদ্র নদী।

দৌলতপুর থেকে প্রায় ২১ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, দৌলতপুর-সাতক্ষীরা সড়কের প্রায় ১ কিলোমিটার দক্ষিণে, বুড়িভদ্র নদীর ডানতীরে প্রায় ৪০০ মিটার পশ্চিমে ভরতভায়না গ্রামে একটি ঢিবি রয়েছে। এসম্পর্কে যশোহর-খুলনার ইতিহাস গ্রন্থে বাবু সতীশ চন্দ্র মিত্র ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে লিখেছেন-

ইহা এখনও ৫০ ফুট উচ্চ আছে, লোকে বলে উহা পুর্বে আরো উচ্চ ছিল, কিন্তু একবার ভূমিকম্পে অনেকটা বসিয়া গিয়াছে। স্তুপটি গোলাকার, উহার পরিধি পাদদেশে ৯০০ ফুটের অধিক হইবে। ইহার দক্ষিণ-পূর্ব্ব দিক দিয়া নদী প্রবাহিত, অন্য তিন দিকে গড়খাই ছিল, তাহার চিহ্ন আছে। দক্ষিণ দিকে নদীর নিকটে একটি পুকুরের খাত দেখিতে পাওয়া যায়। স্তুপটি সম্পূর্ণ ইষ্টকরাশিতে পরিপূর্ণ। পাদদেশে খনন করিয়া প্রাচীরের চিহ্ন পাওয়া গিয়াছিল।

এর অব্যবহিত আগে বাংলার তৎকালীন প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক কে. এন. দীক্ষিত এই স্থান পরিদর্শন করে যে বর্ণনা দেন তা থেকে জানা যায়, স্তুপটি প্রায় ২৫০/২৭৫ মিটার বেড় ও ১০/১২ মিটার উচ্চতাবিশিষ্ট ছিল। তিনি সেখানে ১৬ ইঞ্চি × ১৩ ইঞ্চি × ৩ ইঞ্চি মাপের কিছু ইট দেখে অনুমান করেন যে, এখানকার ইমারতটি গুপ্ত যুগের ছিল এবং এটি ছিল একটি বৌদ্ধ সংঘারাম।সৌখিন প্রত্নতাত্ত্বিক আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়া ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে প্রত্নস্থলটি ভ্রমণ করে জানান, তখনও এর বিশেষ পরিবর্তন ঘটেনি: তখনও ঢিবিটি ৯ মিটার উঁচু ও বেড় ছিল প্রায় ২১২ মিটার। তবে তিনি জানান, ঢিবির চারদিকের ভূমি প্রায় সমতল অবস্থায় পেয়েছেন তিনি এবং ঘাসের মাঝে প্রচুর ইট দেখেছেন। তিনি জানান, সে স্থানটিকে ঢিবির অংশ ধরলে ঢিবির পরিধি হবে ৪২৪ মিটার।

কিভাবে যাবেনঃ

কেশবপুর উপজেলা সদর হতে ঊনিশ কি.মি দক্ষিণ-পর্ব দিকে ভদ্রা নদীর তীরে ভরতের দেউল অবস্থিত

আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে বা এই বিষয়ে কোন কিছু জানানোর থাকলে নীচের মন্তব্য বিভাগে লিখতে ভুলবেন না । আপনার ভ্রমণ পিয়াশি বন্ধুদের সাথে নিবন্ধটি শেয়ার করে নিন যাতে তারাও জানতে পারে ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *