সিকিম ইতিহাসঃ সিকিম (নেপালি: सिक्किम সিক্কিম) ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি রাজ্য এবং উল্লেখযোগ্য পর্যটন কেন্দ্র।( সিকিম) সিকিমের রাজধানী শহর গ্যাংটক। আয়তনে ভারতের দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম প্রদেশ । এর উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে চীনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল তিব্বত, পূর্বে ভুটান, পশ্চিমে নেপাল এবং দক্ষিণে ভারতের অপর একটি রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ। সিকিম বাংলাদেশের নিকটবর্তী ভারতের শিলিগুড়ি করিডোরের কাছাকাছি অবস্থিত। সিকিম ভারতীয় রাজ্যগুলির মধ্যে সর্বাপেক্ষা কম জনবহুল এবং আয়তনে দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম। পূর্ব হিমালয় অঞ্চলের একটি অংশ সিকিম, আল্পাইন এবং উপক্রান্তীয় জলবায়ু সহ এর জীব বৈচিত্র্যের জন্য উল্লেখযোগ্য এবং সেইসাথে সিকিমে অবস্থিত কাঞ্চনজঙ্ঘা ভারতের সর্বোচ্চ পর্বত শিখর এবং পৃথিবীতে তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বত শিখর। সিকিমের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর গ্যাংটক। রাজ্যের প্রায় ৩৫% এলাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা জাতীয় উদ্যান দ্বারা আচ্ছাদিত।
সিকিম রাজ্যটি ১৭ শতকের নামগিয়াল রাজবংশের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। রাজ্যটি চোগিয়াল নামে পরিচিত একজন বৌদ্ধ পুরোহিত রাজা দ্বারা শাসিত ছিল। ১৮৯০ সালে এটি ব্রিটিশ ভারতের অধীনে একটি জমকাল রাজ্য হয়ে ওঠে। ১৯৪৭ সালের পরে সিকিম ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের অঙ্গরাজ্য হিসাবে ছিল। হিমালয় অঞ্চলের রাজ্যগুলির মধ্যে সিকিমে সাক্ষরতার হার এবং মাথাপিছু আয় সবচেয়ে বেশি। ১৯৭৩ সালে চোগিয়ালের প্রাসাদের সামনে রাজতন্ত্র বিরোধী দাঙ্গা শুরু হয়। ১৯৭৫ সালে জনগণ সিকিমীয় রাজতন্ত্রকে দমন করে। ১৯৭৫ সালে গণভোটের পরে সিকিম ভারতবর্ষের ২২ তম রাজ্য হিসেবে যুক্ত হয়।
আধুনিক সিকিম একটি বহুজাতিক এবং বহুভাষী ভারতীয় রাজ্য। সিকিমের ১১ টি সরকারি ভাষা রয়েছে: নেপালি, সিকিমিজ, লেপচা, তামাং, লিম্বু, নেওয়ারি, রায়, গুরুং, মগার, সুনওয়ার এবং ইংরেজী। ইংরেজি ভাষা স্কুলে পড়ানো হয় এবং সরকারী নথিতে ব্যবহৃত হয়। হিন্দুধর্ম এবং বজ্রায়ণ বৌদ্ধ ধর্ম হল সিকিমের প্রধান ধর্ম। সিকিমের অর্থনীতি মূলত কৃষি ও পর্যটনের উপর নির্ভরশীল এবং ২০১৪ সালের হিসাবে ভারতীয় রাজ্যগুলির মধ্যে এই রাজ্যটির তৃতীয়-ক্ষুদ্রতম জিডিপি ছিল, যদিও এটি বর্তমানে দ্রুত বর্ধমান অবস্থার মধ্যে রয়েছে।
সিকিম ভারতের বৃহত্তম এলাচ উৎপাদক রাজ্য এবং গুয়াতেমালার পর এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এলাচ উৎপাদক। ২০০৩ সাল থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে সিকিম, তার কৃষিকে সম্পূর্ণভাবে জৈব পদ্ধতিতে রূপান্তরিত করে প্রথম ভারতীয় রাজ্য হিসাবে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছে। এটি ভারতের সবচেয়ে পরিবেশগতভাবে সচেতন রাজ্য, যার ফলে প্লাস্টিকের পানির বোতল এবং স্টাইরোফোম ইত্যাদি পণ্য এখানে নিষিদ্ধ।
কিভাবে যাবেনঃ ঢাকা থেকে দুইটি বর্ডার দিয়ে যাওয়া যায় ১)বুরিমারি (চ্যাংরাবান্ধা) ২)বাংলাবান্ধা (ফুলবাড়ি) চ্যাংরাবান্ধা থেকে শিলিগুরি ৮০ কিঃ মিঃ দূরত্ব এবং ফুলবাড়ি থেকে ১৭ কিঃমিঃ দূরত্ব। তাই আপনি যদি ফুলবাড়ি দিয়ে যান আপনার জন্য সময় কম লাগবে। এর পর সেখান থেকে শিলিগুড়ি গ্যাংটক ট্যাক্সি স্ট্যান্ড যাবেন। আপনি বাসেও যেতে পারবেন বাসের টিকিট Sikkim Nationalised Transport (SNT) Complex, Siliguri এর Sikkim Tourism Office থেকে কাটতে হবে, টিকিটের দাম ১৫০ থেকে ২৫০ রুপি পর্যন্ত আছে। বাইরে শেয়ার্ড জিপ পাওয়া যায় তবে ওগুলোর ভাড়া সিন্ডিকেটে চলে ২৫০ থেকে ৫০০ রুপি লাগতে পারে। এসি বাসও আছে। বাস বা জীপ এ করে পৌঁছতে সময় লাগে ৪ থেকে ৫ ঘন্টার কাছাকাছি। মাঝপথে Rangpo Check Post এ অনুমতি স্লিপ পূরণ করে পাসপোর্টে সিল মেরে আনতে হবে। এখান থেকে বিনামূল্যে সিকিম ঢোকার অনুমতি নেওয়া হয়। জীপ নামিয়ে দিবে দেওড়ালি ট্যাক্সিস্ট্যান্ড এ। আর বাস নামিয়ে দিবে গ্যাংটক এর SNT কমপ্লেক্সে। দু জায়গা থেকেই ট্যাক্সি নিয়ে আপনি যেতে পারেন M.G. Marg এ। এটাই গ্যাংটকের প্রাণকেন্দ্র।
কোথায় থাকবেনঃ গ্যাংটকে অনেক ধরণেনে হোটেল আছে অনেক। তবে M. G. Marg হচ্ছে গ্যাংটকের প্রানকেন্দ তাই অন্য দিকের তুলনায় ভাড়া কিছুটা বেশি। তবে এখানে থাকার মজাই আলাদা। অন্যদিকেও চাইলে থাকতে পারেন। সবখানেই হোটেল ভালো। অনেক ধরণের হোটেল আছে একদম M. G. Marg এর উপর। দুই জন, তিন জন বা চারজনের রুমের ভাড়া ১০০০ রুপি থেকে ৫০০০ রুপি। সিজন ভেদে ভাড়া কম বেশি হয় যেমন অফ সিজনে ১০০০ রুপির রুম সিজনে ৪০০০ থেকে ৫০০০ রুপি হয়ে যায়।
কি খাবেনঃ সিকিমে অনেক ধরণের মুখরোচক খাবার পাওয়া যায় এর মাঝে বিশেষ করে চাটনি পাকরা তারা খুব পছন্দ করে তবে ভাত, বিড়িয়ানি, রুটি সকল খাবারই পাওয়া যায়। অনেক গুলো মুসলিম হোটেল আছে M. G. Marg থেকে ৫ বা ১০ মিনিট হাটার দূরত্বে । নাম গুলো কিছু আসলাম বিড়িয়ানি, হোটেল জান্নাত, মুসলিম হোটেল, খান আনক্লেলস কিচেন। ইত্যাদি। গ্যাংটক এ একবেলা খেতে খরচ পড়বে ১৫০ থেকে ২০০ রুপি। তবে এটা আপনার উপর নির্ভর করে। চাইলে ৬০ রুপি দিয়ে খেয়ে নিতে পারেন চাইলে ২০০ রুপিতেও খেতে পারেন।
সিকিমের ঘুরার যায়গা গুলোঃ
সিটি ট্যুর ১০ পয়েন্টঃ ১)বান ঝাগরি ফলস ২)রোপওয়ে ৩)হরটেন টাইবেটলজি ৪)তাশি ভিউ পয়েন্ট ৫)গুঞ্জান মনেস্ট্রি ৬)লাশা ফলস ৭)বোটানিকাল গার্ডেন ৮)গনেশ টক ৯)ফ্লাওয়ার শো ১০)হ্যান্ডি ক্রাফট
সাঙ্গুলেকঃ
লাচুংঃ সেভেন সিস্টার ফলস, নাগা ফলস, ভিম নালা ফলস এবং ইয়াংথাং ভ্যালী, জিরো পয়েন্ট।
পেলিংঃ এবং নামচিঃ এখানেও ঘুরার মত যথেষ্ঠ প্লেস আছে।
সিকিম এর চারটি ভাগঃ
1. East Sikkim- Gangtok, Tsogmo Lake(Changu Lake), Baba Mandir, Nathula Pass
2. West Sikkim- Pelling
3. North Sikkim- Lachung, Lachen, Yumthang Valley, Zero Point, Gurudongmar Lake, Thangu Valley
4. South Sikkim- Solophok Chardham, Namchi
অভারতীয়রা বর্ডারের কাছের এলাকায় যেতে পারেনা। তাই এই লিস্টের Baba Mandir, Nathula Pass, Gurudongmar Lake আমাদের জন্য বাদ।
ঘুরাঘুরির পারফেক্ট সময়ঃ এপ্রিল এবং মে কিন্তু আমরা যেহেতু বরফ পছন্দ করি আমাদের সিজন নভেম্বর থেকে মার্চ। তবে হাজার রকমের ফুল এবং এর সোন্দরয উপভোগ করতে আপনাকে ২ বার যেতে হবে সিকিম।
খোলা এবং বন্ধের সময়ঃ সব সময়ই খোলা থাকে তবে বরফের সময় জিরো পয়েন্ট এবং ইয়াম্থাং ভ্যালী অনেক সময় বন্ধ থাকে। এছাড়াও বর্ষায় অতি বর্ষণের কারনে পাহাড়ি ঢলে অনেক সময়ই রাস্তা বন্ধ থাকে।
ইনার লাইন পারমিশনঃ রামপো থেকে সিকিম যাবার জন্য যে পারমিশনটা নেয়া হয়, ওটা মূলত Inner Line Permit (ILP)। এই পারমিট দিয়ে গ্যাংটক পর্যন্ত যাওয়া যায়। সিকিমের মূল আকর্ষণের যায়গা গুলো যেতে চাইলে (i.e , Zero Point, Yumthang valley, Sangu Lake) গ্যাংটক থেকে স্পেশাল একটা পারমিট নিতে হয় যেটা Restricted Area permit (RAP) অথবা Protected Area Permit (PAP). এটা ওখানকার যেকোন ট্রাভেল এজেন্ট দিয়ে করিয়ে নিতে হয়। ইনার লাইন পারমিট নিতে ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি, ১ কপি পাসপোর্ট ফটো কপি ১ কপি ভিসা ফটো কপি জমা দিতে হবে।
রেস্ট্রিক্ট এড়িয়া পারমিশনঃ লাচুং + সাংগু লেকে পারমিটের জন্য লাগবে মোট ১ কপি ইনারলাইন পারমিট ফটো কপি এবং ৬ কপি পাসপোর্ট এর ফটোকপি, ৬ কপি ভিসার ফটোকপি, ৬ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি। সব ডকুমেন্টস জমা দিতে হয়।
কিছু তথ্যঃ
লাচুং গাড়িঃ টাটা সুমো, বলেরো
সিটি সাইটসিং গাড়িঃ ছোট ট্যাক্সি
শপিংঃ লাল বাজার, গ্যাংটক
সিমঃ (লাচুং), Vodafone, Airtel
নর্থ সিকিম ট্যাক্সি স্ট্যান্ডঃ ভাজরা বাস স্ট্যান্ড
শিলিগুরি, দার্জিলিং স্ট্যান্ড: দেওরালিই বাস স্ট্যান্ড
MG Marg Road এ বড় গাড়ি ( টাটা সুমো, বলেরো) সকাল ৮ টার পরে ঢুকতে দেয় না।
গ্রুপ মেম্বার ৮ জন পারফেক্ট। ৯ -১০ জন হলে একটু কস্ট করতে হবে। টাটা সুমো, বলেরো তে ৯ জন মাক্সিমাম।
লাচুং+ইয়ামথাং প্যাকেজ অথবা সাংগু লেক প্যাকেজের পারমিটের জন্য আগের দিন ডকুমেন্টস জমা দিতে হবে। অন্যথায় পরদিন পারমিট পাবেন না। দিনে দিনে পারমিট মানেজ করা যায় না৷
বি. দ্রঃ এই পোস্টে হোটেল এবং এজেন্সির নাম দেইনি কারণ, তাদের রেট সময়ভেদে বিভিন্নরকম হয়। অনেকটা আপনার দরাদরির উপর নির্ভর করবে।
র্যাংপো ৮ টায় বন্ধ হয়ে যায়। চেস্টা করবেন যেন আগেই সেখানে যেতে পারেন। সব কাজ শেষ করে নিশিন্তে ৮ টার মধ্যে গ্যাংটক। অন্যথায় খাবার হোটেলগুলো বন্ধ হয়ে যায়।
গ্যাংটক থেকে দার্জিলিং সকাল ৭ টায় রওনা দিলে পার পারসন ২৫০/- পড়বে। যদি মিস করেন পরের গাড়ি ১১ টায়। এর মধ্যে রিজার্ভ নিলে ৩০০০/- টাকার নিচে যেতে চায় না। সো খুব সকালে বের হবেন। অন্যথায় ১১ টার গাড়ি ধরবেন।
যেকনো প্যাকেজে ড্রাইভার ই আপনাদের গাইড। প্যাকেজ ঠিক করার সময় ড্রাইভার যেন ভাল হয় এই ব্যাপার টা এজেন্সির সাথে কথা বলে ঠিক করে নিবেন। আমাদের লাচুং প্যাকেজের ড্রাইভার টা খুবই বেয়াদব + বদরাগী ছিল।
সাইটসিয়িং এর সময় টাইম নিজেরাই মানেজ করে নিবেন। যেমন ১০ টা প্লেস যাওয়ার কথা, আপনি একটা প্লেসেই অনেক সময় নিয়ে দেখলেন। এক্ষেত্রে কিছু প্লেস দেখার আগেই সন্ধ্যা হয়ে যাবে।
Rangpo Checkpost থেকেই আবার ফেরার পথে সাইন আউট এর সিল নিয়ে যাবেন মনে করে
ট্যুর প্লান ৪ রাত ৫ দিনঃ
দিন ১ঃ সকালে বর্ডার কাজ শেষ করে রাম্পো চেকপোস্ট পার করে সিক্কিম যেতে যেতে সন্ধ্যা। যেয়েই আপনি সাংগুলেকের এবং এর পরের দিনের লাচুং এর অনুমতি নিতে কাগজ জমা দিয়ে দিবেন হোটেল বা লোকাল ট্যুরিস্ট থেকে অথবা বাংলাদেশ থেকেও কিছু বিশ্যস্ত ট্যুর অপারেটর থেকে এই প্যাকেজ গুলো নিতে পারেন। M. G. Marg আসে পাশে ঘুরে রাত্রে হোটেলে ঘুমাবেন।
দিন ২ঃ সকাল ৬ টায় ঘুম থেকে উঠে সাংগুলেক ঘুরতে যাবেন। ক্যাবল কার ও কায়াক রাইড নিতে ভূলবেন না। বিকালে শহরে ঢুকবেন এবং এর পর নিজেদের মতন সিটিতে ঘুরবেন। (মনে রাখবেন শনিবার ( M. G. Marg ) বন্ধ থাকে
দিন ৩ঃ সকাল ৭ টায় উঠে নাস্তা করে চলে যাবেন গ্যাংটক জিরোপয়েন্ট এখান থেকে আপনাদের লাচুং এর গাড়ি ছেড়ে যাবে। পৌছাতে সন্ধ্যা হয়ে যাবে এবং রাত্রেই ড্রাইভারের সাথে কথা বলে জিরো পয়েন্ট যাওয়ার জন্য অতিরিক্ত (২৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা) দিয়ে কথা বলে নিবেন রাত্রে ঘুমাবেন।
দিন ৪ঃ সকাল ৬ টায় রেডি হয়ে চলে যাবেন বরফের রাজ্যে ইয়াম্থাং ভ্যালী ও জিরো পয়েন্ট। যদিও লাচুং যেখানে থাকবেন ওখানেও জানুয়ারিতে স্নোফল হয়। ঘুরে এসে হোটেলে খেয়ে গ্যাংটকের দিকে যাত্রা শুরু করবেন। আসতে আসতে সন্ধ্যা আবার শহর থেকে লাল বাজার থেকে কিছু কিনে নিন। রাত্রে হোটেলে ঘুমাবেন।
দিন ৫ঃ সকাল সকাল উঠে নাস্তা করে ৯ টা থেকে ১০ টার মধ্যে বেরহয়ে যাবেন শিলিগুরির জন্য। সন্ধায় বাস ধরে আপনার গন্তব্যের দিকে যাত্রা শুরু।
প্রধান খরচঃ
ঢাকা – চ্যাংড়াবান্ধা =৬০০/- টাকা
শিলিগুড়ি -গ্যাংটক =২৮০০ রুপি (৮ জন)
খাবার=১৫০রুপি (দুপুর/রাত)
হোটেল দুই রুম= ১৫০০ থেকে ২০০০ রুপি
সিটি সাইটসিংঃ ১২০০ থেকে ১৫০০ রুপি ছোট ট্যাক্সি ( ৪ জন)
সাংগু লেক প্যাকেজঃ ৪০০০ থেকে ৫৫০০ রুপি। ৮ জন
লাচুং প্যাকেজঃ ১২০০০ থেকে ১৫০০০ রুপি ( ৮ জন)
সতর্কতাঃ
গ্যাংটকে প্রকাশ্যে ধূমপান নিষিদ্ধ। ধূমপান করলে 5000 রুপি জরিমানা।
Rangpo Checkpost থেকেই আবার ফেরার পথে সাইন আউট এর সিল নিয়ে যাবেন মনে করে।
সিকিমে বোতল নিষিদ্ধ তাই নর্থ সিকিম যাওয়ার সময় বোতল পাবেন না।
বরফের সময় রাবারের জুতো-হাতমুজো আর জ্যাকেট ভাড়া নিতে হয়।
আবহাওয়া দেখে নিয়ে অতিরিক্ত কাপড় নিয়ে আসা ভালো।
সিকিমের লোকরা বলে- Don’t trust Sikkimese girls and weather.