১। কোথায় কোথায় যেতে পারবেন/পারবেন নাঃ
———————————————————
বিদেশীদের জন্য নাথুলাপাস, বাবা মন্দির, গুরুদংমার, কালাপাথর যাবার পার্মিশন নাই। একদম সীমান্তবর্তী জায়গা ব্যাতীত সব জায়গা ওপেন। তবে এর মাঝে কিছু জায়গায় যেতে গ্যাংটক থেকে আলাদা করে প্রটেক্টেড এরিয়া পার্মিশন নিতে হয়।
২। ইনার লাইন পার্মিট কোথা থেকে নিবেনঃ
—————————————————
সিকিমে ঢোকার চেকপোস্ট রাংপো(Rangpo)/ শিলিগুরি থেকে নিতে পারবেন। শিলিগুরি বা রাংপো থেকে নিলে ১০ মিনিট এই কাজ হবে এবং কোন টাকা লাগবে না। তবে হাতে সময় থাকলে শিলিগুরি থেকে করে নেওয়া ভালো। ইনার লাইন পার্মিট যেখান থেকেই নেন না কেন, রাংপো দিয়ে ঢোকার বা বেরোবার সময় অবশ্যই ‘ফরেনার রেজিস্ট্রেশন অফিসে’ নাম এন্ট্রি করে পাসপোর্টে সিল মেরে নিবেন(মাস্ট)। রাংপোতে চেকিং এর সময় আর্মি পারসনরা এ বিষয়ে কিছু বলবে না। তাই নিজ দায়িত্যে এন্ট্রি করে নিবেন।
***যারা এয়ারে যাবেন: সিকিমের নেয়ারেস্ট এয়ারপোর্ট বাগডোগরা এয়ারপোর্ট। এখান থেকে গ্যাংটক যেতে হয় রাংপো হয়েই। তাই রাংপোতে ইনার লাইন পারমিট নিতে পারবেন।
৩। কতজনের গ্রুপ করে যাবেনঃ
————————————-
সিকিমে বেশিরভাগ যায়গায় ঘুরতে হয় গাড়ি নিয়ে (যেহেতু পাহাড়ি এলাকা, হেটে হেটে পোষায় না)। সিকিমের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরবার জন্য আলাদাভাবে পার্মিশন নিতে হয়। এই পার্মিশন নিতে হবে এজেন্সির মাধ্যমে। পার্মিশন নেবার পরেও আপনি বা আপনারা একা যেতে পারবেন না। সাথে একজন গাইড নিতে হবে। দেশ থেকেই গ্রুপ করে যাবেন। কেউ সিকিমে গিয়ে কোন গ্রুপের সাথে যুক্ত হবার। প্লান করে যাবেন না। কারন দেশের বাইরে গ্রুপ হওয়া ঝামেলা ও সময় সাপেক্ষ। মনে রাখবেন আপনি শুধু ফরেনারদের সাথে গ্রুপ করতে হবে (বাংলাদেশি ব্যাতিত অন্য ফরেনাররা আসলে আপনাকে নিতে চাইবে না)। ইন্ডিয়ান্দের সাথে গ্রুপ করে যেতে পারবেন না।
৪। কোন বর্ডার দিয়ে যাবেনঃ
———————————
আপনি ফুলবাড়ি(বাংলাবান্ধার অপজিট ইন্ডিয়ান পোর্ট) বা চ্যাংড়াবান্ধা যে পোর্ট দিয়েই এন্ট্রি করেন না কেন, শিলিগুরি হয়েই সিকিম যেতে হবে। ফুলবাড়ি ইমিগ্রেশন সেন্টার থেকে শিলিগুরি জাংশনের দূরত্ব ১২ কিমি আর চ্যাংড়াবান্ধা থেকে শিলিগুরি জাংশনের দূরত্ব ৮৩ কিমি। তাই যারা নতুন করে ভিসা করাবেন বা ভিসাতে পোর্ট এড করবেন তারা ফুলবাড়ি পোর্ট এড করাই বেটার। ভ্রমন সময় ও খরচ দুটোই বাচবে।
৫। ছবি এবং পাসপোর্ট, ভিসা ও ইনার লাইন পার্মিট এর ফটোকপিঃ
———————————————————————————-
ভ্রমন শুরুর পুর্বে প্রত্যেকে মিনিমাম ১০ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি এবং ১০ কপি করে পাসপোর্ট, ভিসা ও ইনার লাইন পার্মিটের ফটোকপি করে সাথে নিবেন। সিকিমে ইন্টারনাল পার্মিশনের জন্য এসব লাগবে।
টিপসঃ
———-
-সিকিমে অনেক ঠান্ডা। গ্যাংটকের উপরের দিকে তাপমাত্রা মাইনাসে থাকে। যথেষ্ট পরিমান ঠান্ডা নিবারক পোষাক(মোটা অভারকোট, সোয়েটার, ইনার(থার্মাল), কানটুপি, গলাবন্ধ, হাতমোজা ইত্যাদি)নিবেন।
– একটা ভালো কেডস পায়ে দিবেন। কেউ স্নিকার পরে মাইনাস তাপমাত্রায় বরফের মধ্যে বাহাদুরি দেখাতে যাবেন না।
-পানি যে ঠান্ডা পানিতে হাত দিতে ইচ্ছা নাও করতে পারে। লাইফ সেভিওর টয়লেট টিস্যু সাথে রাখবেন। প্রাকৃতিক কার্যাদি তো আর আটকায় রাখা যায় না।
-গ্যাংটকে দুইটা হালাল হোটেল আছে। জান্নাত হোটেল(লালবাজারে),খান আংকেল’স কিচেন।
– ইয়াম্থাং ভ্যালী ১৪০০০ ফিট উপরে সমুদ্রপৃষ্ট থেকে। হাই অল্টিচউড প্রব্লেমের কারনে অনেকের সমস্যা হতে পারে। তাই তারা সাথে প্যারাসিটামল ও বমির ঔষধ সাথে রাখবেন।
-সিকিম অনেক গুছানো ও ছিমছাম শহর। যেখানে সেখানে ময়লা ফেলবেন না। সিকিমে প্রকাশ্যে ধুমপান নিষেধ।
-বাহাদুরী দেখাতে গিয়ে এমন কিছু করবেন না যা আমাদের বাংলাদেশীদের জন্যে দুর্নামের কারন হয়।
-শিলিগুরিতে দালালের খপ্পরে পরবেন না
-পিক টাইম/অফ টাইমের উপর ভিত্তি করে খরচ কমে বারে। ডিল করার আগে তাই মুলামুলি করে নিবেন।
তথ্য দিয়েছেনঃ Razequl Zibon