তেতুলিয়া | পঞ্চগড়

সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ

বাংলাদেশের শেষ সীমানা পঞ্চগড় জেলায় বেড়ে উঠা আমার( Tatulia )। আয়তনে ছোট হলেও ইতিহাস-সমৃদ্ধ আর প্রকৃতির অপরূপ শোভায় শোভিত নতুন নতুন শিল্প গড়ে উঠেছে এখানে। দেশের সর্ব উত্তরে হিমালয় পর্বতমালার পাদদেশে অবস্থিত প্রাচীন উপজেলা তেঁতুলিয়া এবং এই উপজেলার অধীনেই বাংলাদেশের শেষ সীমান্ত সম্ভাবনাময় স্থলবন্দর বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট। পঞ্চগড় জেলা থেকেতেঁতুলিয়ার দূরত্ব ৪২-৪৫ কিলোমিটার এবং তেঁতুলিয়া থেকে বাংলাদেশের জিরো পয়েন্ট বা বাংলাবান্ধার দূরত্ব ১৭ কিলোমিটার এবং ঢাকা থেকে বাংলাবান্ধার জিরো পয়েন্টের দূরত্ব ৫০৩ কিলামিটার। তেঁতুলিয়া থেকে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের সীমান্ত পাওয়া যায়।

এর পাশেই মহানন্দা নদী। এই নদী ভারত ও বাংলাদেশকে রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত করেছে। তেঁতুলিয়া থেকে খুব কাছেই ভারতের দার্জিলিং শহর। নদীর ওপারে ভারতের দার্জিলিং জেলার অধীন শিলিগুড়ি মহকুমা ও ফুলবাড়ী থানা। তেঁতুলিয়ার প্রাচীন ডাকবাংলো থেকে সন্ধ্যাবেলায় দেখা যায় দার্জিলিং শহরের আলোকিত ভুবন, কাঞ্চনজঙ্ঘার পদতলে গড়ে উঠা আলোকিত পাহাড়ের শহর। এখান থেকে শীতকালে স্পষ্ট ফুটে উঠে রূপালি কাঞ্চনজঙ্ঘা। প্রকৃতিপিপাসু সমতলভূমির যেকোনো মানুষ উপভোগ করতে পারেন কাঞ্চনজঙ্ঘার রূপালি প্রকৃতি। এখান থেকে খুব কাছে ভারতের আন্ডারগ্রাউন্ড সামরিক বিমান ঘাঁটি বাগডোগা। এখানে মহানন্দা নদীর তীরে টিলার ওপর আছে ব্রিটিশ আমলে নির্মিত মনোরম একটি ডাকবাংলো, যা বর্তমানে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীন এক কালের সাক্ষী।

কিভাবে যাবেনঃ

ঢাকা থেকে হানিফ কিংবা নাবিল পরিবহনে যেতে পারেন পঞ্চগড়। ভাড়া পড়বে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। রয়েছে গ্রীন লাইন, আগমনী, টি-আর ট্র্যাভেলসের এসিবাস। ভাড়া পড়বে এক থেকে দেড় হাজার টাকা। এই বাসগুলো যায় রংপুর পর্যন্ত। রংপুর থেকে পঞ্চগড়ে যেতে হবে আলাদা পরিবহনে ।বিভিন্ন স্থানে বেড়ানোর জন্য পঞ্চগড় শহড়ের কেন্দ্রীয় বাসস্টেশন অথবা শহরের চৌরঙ্গী মোড় থেকে কার, মাইক্রো ভাড়া করতে পারেন। সারা দিনের জন্য রিজার্ভ কারের ভাড়া পড়বে আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা।

কি খাবেনঃ
এখানে খাবারের সুব্যবস্থা আছে।গ্রামের মানুষের হাতের তৈরি খাবার ও খেতে পারেন এখানে।

কোথায় থাকবোঃ

পঞ্চগড় সার্কিট হাউজ, ডিসি কটেজ, পঞ্চগড়, জেলা পরিষদ ডাকবাংলো। রয়েছে চিনিকল রেস্ট হাউজ, তেঁতুলিয়া ডাকবাংলো, বাংলাবান্ধা ডাকবাংলো, তেঁতুলিয়া পিকনিক কর্ণার, দেবীগঞ্জ কৃষি ফার্ম গেস্ট হাউজ, বোদা ডাকবাংলো, রেশম প্রকল্প রেস্ট হাউজ ইত্যাদি।
আবাসিক হোটেল
মৌচাক আবাসিক হোটেল,হোটেল হিলটন,
সেন্ট্রাল গেস্ট হাউজ, ইসলাম আবাসিক হোটেল,
হোটেল রাজনগর আবাসিক, হোটেল প্রিতম আবাসিক,
হোটেল অভিনন্দন, হোটেল আসফি, রোকসানা বোর্ডিং ইত্যাদি।

যা যা দেখবেনঃ

বার আউলিয়া মাজার শরীফ, সমতল ভূমিতে সম্প্রতি প্রতিষ্ঠিত চা বাগানঃ
পঞ্চগড় জেলার সদর ও তেঁতুলিয়া উপজেলায় সাম্প্রতিকালে সমতল ভূমিতে চা গাছের চাষাবাদ শুরু করা হয়েছে এবং তা দিনে দিনে প্রসারিত হচ্ছে। সাধারণতঃ উচুঁ পাহাড়ী ভূমিতে চা চাষ হয়ে থাকে। কিন্তু সমতল ভূমিতে এর চাষাবাদ বাংলাশের এ এলাকাতেই প্রথম শুরু হয়।েএর কারণ পাশ্ববরতী ভারতের জলপাইগুড়ি ও শিলিগুড়িতে এ ধরনের চা বাগান রয়েছে। বাংলাবান্ধা, আরো আছে রকস মিউজিয়াম, পঞ্চগড় সরকারি মহিলা কলেজ চত্ত্বরে ২০০০ খ্রিস্টাব্দে কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ নাজমুল হক এর প্রচেষ্টায় রকস্ মিউজিয়ামটি প্রতিষ্ঠিত হয়।

আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে বা এই বিষয়ে কোন কিছু জানানোর থাকলে নীচের মন্তব্য বিভাগে লিখতে ভুলবেন না । আপনার ভ্রমণ পিয়াশি বন্ধুদের সাথে নিবন্ধটি শেয়ার করে নিন যাতে তারাও জানতে পারে ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *