আনন্দ বিহার | কুমিল্লা

0
275

সংক্ষিপ্ত ববরনঃ

আনন্দবিহার( Palace of King Bhoj ) বাংলাদেশের অন্যতম সমৃদ্ধ ও প্রাচীন একটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। এটি কুমিল্লা জেলার সদর উপজেলার অন্তর্গত কোটবাড়ি এলাকায় অবস্থিত। এই অঞ্চলটি প্রসিদ্ধ প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান ময়নামতীর অন্তর্ভুক্ত। আসলে ময়নামতীতে আবিষ্কৃত প্রাচীন সৌধমালার মধ্যে আনন্দবিহার বৃহত্তম।

এখন পর্যন্ত যতটুকু খননকাজ হয়েছে সে অনুসারে দেখা যায় এই বিহারের অভ্যন্তরে শালবণ বিহারের মত একটি সুবিশাল বিহারের কাঠামো রয়েছে। এই বিহারটি বর্গাকৃতির যার প্রতি বাহুর দৈর্ঘ্য ১৯৮ মিটা করে। এরকম মোট চারটি বাহু রয়েছে। প্রতিটি বাহুতে সুবিন্যস্ত সন্ন্যাসীদের কক্ষ রয়েছে। কক্ষগুলো একটি বিরাট ক্রুশ আকৃতির জাঁকালো মন্দিরের চারপাশ ঘিরে অবস্থান করছে। মন্দিরটি বিহারের খোলা আঙিনার মধ্যস্থলে অবস্থিত। এর উত্তরদিকের ঠিক মধ্যভাগে একটি প্রবেশদ্বার লক্ষ্য করা যায়, এটি বিহারের একমাত্র প্রবেশদ্বার। প্রবেশদ্বারটির বাইরের অংশ বৃহৎ পরিসরে গঠিত এবং বাইরের দিকে সম্প্রসারিত। সব মিলিয়ে বিহারটি শালবণ বিহারের চেয়ে বড় ও বিস্তৃত।

বিহারের বহিঃপ্রাচীরটি বেশ পুরু এবং দেখতে খুব সুন্দর। কারণ এর দেয়ালে অফসেট ও ছাঁচের তৈরি নকশা রয়েছে। ভেতরের বারান্দার দেয়ালও ছাঁচ দ্বারা অলংকৃত। ভেতরের এই দেয়ালটি নকশা করা ইট দ্বারা সুসজ্জিত। খননকাজে যে অংশগুলো আবিষ্কৃত হয়েছে, তা থেকে বোঝা যায় যে, এগুলো দীর্ঘ কাল ধরে ব্যবহৃত হয়ে এসেছে। বিশাল আকৃতির এই বিহারে প্রাপ্ত নিদর্শনের মধ্যে রয়েছে:

১। একটি তাম্রশাসন

২। ৬৩ টি রৌপ্য মুদ্রা

৩। অনেক গুলো ব্রোঞ্জ মূর্তি

৪। পোড়ামাটির ভাস্কর্য ফলক

৫। মঠের বাইরে মৃৎপাত্র পোড়ানোর কাজে ব্যবহৃত একটি ভাঁটির অস্তিত্ব

কোথায় অবস্থিতঃ

কুমিল্লা শহর থেকে ১০ কিলোমিটার এবং ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা বাইপাস নন্দনপুর থেকে ৩ কিলোমিটার পশ্চিমে লালমাই আর শালবন পাহাড়ের পাদদেশে কোটবাড়ীর।

আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে বা এই বিষয়ে কোন কিছু জানানোর থাকলে নীচের মন্তব্য বিভাগে লিখতে ভুলবেন না । আপনার ভ্রমণ পিয়াশি বন্ধুদের সাথে নিবন্ধটি শেয়ার করে নিন যাতে তারাও জানতে পারে ।