বিরিশিরি | নেত্রকোনা

সংক্ষিপ্ত বিবরনঃ

বিরিশিরি( Birishiri ) নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী একটি গ্রাম। শুরুতে এটি ইউনিয়ন পরিষদের অন্তর্ভুক্ত থাকলেও দুর্গাপুর পৌরসভাহওয়ার সাথে সাথে সদরের পার্শ্ববর্তী হওয়ায় গ্রামটিকে ওয়ার্ড হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। । ইংরেজ শাসন আমলে স্থাপিত শত বছরের পুরনো বয়েজ ও গালর্স হাই স্কুল, সরকারী কালচারাল একাডেমী, সোমেশ্বরী নদী, সাগর দিঘী, দুর্গাপুর রাজবাড়ী, পুরাকীর্তি নিদর্শন মঠগড়, মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশ আর দর্শনীয় স্থানগুলোর কারনে পর্যটকদের কাছে এটির যথেষ্ট সুনাম আছে। স্থানিয় অধিবাসীদের ৬০ ভাগ গারো আদিবাসী ৩০ ভাগ মুসলিম, বাকি ১০ ভাগ হিন্দু ও অন্যান্য জনগোষ্ঠী।

এখানে বাসস্ট্যান্ড থাকায় এটি সারাদেশ ব্যাপী একটি পরিচিত নাম । অনেকে বিরিশিরিকে দুর্গাপুর শহর থেকে আলাদা মনে করেন। কিন্তু বিরিশিরি দুর্গাপুর পৌরসভার একটি ওয়ার্ড । সোমেশ্বরী নদীই দুর্গাপুর ও বিরিশরিকে আলাদা করেছে।

বিরিশিরি কালচারাল একাডেমিতে উপজাতীয় সংস্কৃতি চর্চা করা হয়। এখানে প্রতি বছর উপজাতীয়দের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ অন্যান্য অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। প্রতিটি অনুষ্ঠানে বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রচুর জনসমাগম হয়।

কিভাবে যাবেনঃ

ঢাকা-নেত্রকোণা-চল্লিশাবাজার-শিমুলকান্দি-বিরিশিরি
( যেহেতু প্রচলিত শ্যামগঞ্জ-পূর্বধলা রাস্তা চলাচলের অযোগ্য। অনেকে এই কারনে বিরিশিরি যেতে ভয় পায়। বাট, এই রাস্তা ব্যবহার করলে ৬০% কষ্ট কম হবে)
.
আপনি একদিনেই ঘুরে আসবেন তাই সবচেয়ে ভালো হবে রাতে রওনা দিলে।
ঢাকা টু নেত্রকোনা হাওড় এক্সপ্রেস। বিমান বন্দর থেকে ছাড়ে রাত ১২:০০ টায়। শোভন চেয়ার সিটে আপনি ২০০ টাকায় যেতে পারবেন। (যেহেতু নাইট কোচ রাত ১০ টার পরে নেই সে জন্য সকাল সকাল পৌছানোর জন্য ট্রেনে যাওয়া সবচেয়ে ভালো হবে) 
ঈদ পূজা ছাড়া টিকিট নিয়ে চিন্তা না করলেও হয়। ট্রেন অর্ধেক খালি থাকে। আপনি শুয়ে শুয়েও যেতে পারবেন।

আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে বা এই বিষয়ে কোন কিছু জানানোর থাকলে নীচের মন্তব্য বিভাগে লিখতে ভুলবেন না । আপনার ভ্রমণ পিয়াশি বন্ধুদের সাথে নিবন্ধটি শেয়ার করে নিন যাতে তারাও জানতে পারে ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *