কচিখালী সমুদ্র সৈকত | বাগেরহাট

সংক্ষিপ্ত বিবরনঃ

পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য ছায়ায় বেষ্টিত। জল এবং ডাঙ্গার নানা জীব বৈচিত্র্যের সমাহার এই স্থানকে করে তুলেছে আরো বেশি আকর্ষণীয় এবং মনোরম। সুন্দরবনের একেক পয়েন্টে একেক রকম সৌন্দর্য দেখতে পাওয়া যায়। এখানকার একটি উল্লেখযোগ্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত দর্শনীয় স্থান কচিখালী সমুদ্র সৈকত( Kochikhali Sea Beach )।

সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জে এবং কটকা নদীর পূর্ব তীর বেষ্টিত অপরূপ স্থান কচিখালী সমুদ্র সৈকত। সমুদ্রের লবণাক্ত জল এসে এখানে নদীর সাথে মিশে গেছে। দেখতে পাবেন সূর্যাস্তের অপরূপ দৃশ্য। কচিখালীতে সমুদ্র সৈকতের পাশপাশি আছে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ও পর্যটন কেন্দ্র। নির্জন এই প্রাকৃতিক পরিবেশে নানা রকম জীব জন্তুর দেখা পাওয়া যায়। পাখপাখালির অবিরাম কিচির মিচির সারাক্ষণই আপনার সঙ্গী হবে। দেখা পাবেন শুশুক, কুমির, শুকর, বানর, বন মোরগ, অজগর সাপ সহ নানা জাতের বন্য প্রাণীর। মায়াবী হরিণ পর্যটকদের জন্য এখানে অন্যতম আকর্ষণ। মাঝেমধ্যে বাঘ ও দেখতে পাওয়া যায়। তাই সতর্ক থাকতে হবে সব সময়। ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি অবিরাম উড়ে যায় আকাশে। এছাড়া আছে নানা জাতের কাঁকড়া।

একদিকে সুন্দর বনের পশুর, সুন্দরী, কেওড়া, বাইন, আমুর সহ নানা বৃক্ষের সমারোহ আর অন্যদিকে জল জীবন। গাছে-গাছে ফুটে থাকে বাহারি জাতের ফুল ফল। সুন্দরবন ভ্রমণ তাই পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় এবং এডভেঞ্চারাসও। সব কিছু মিলিয়ে এটি পর্যটকদের জন্য দারুণ এক অভিজ্ঞতার সঞ্চার করে থাকে।

কচিখালী মংলা থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। মংলা থেকে লঞ্চে যেতে সময় লাগবে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা। যাতায়াত ভাড়া বেশি হওয়ায় এখানে গ্রুপ বেঁধে যাওয়াই ভালো। প্যাকেজ ট্যুরে এখানে যেতে খরচ পড়ে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা।

এখানে থাকতে চাইলে বন বিভাগের রেস্ট হাউজে থাকতে পারেন। পাশেই আছে বন্য প্রাণী অভয়ারণ্য ও পর্যটন স্থল।

আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে বা এই বিষয়ে কোন কিছু জানানোর থাকলে নীচের মন্তব্য বিভাগে লিখতে ভুলবেন না । আপনার ভ্রমণ পিয়াশি বন্ধুদের সাথে নিবন্ধটি শেয়ার করে নিন যাতে তারাও জানতে পারে ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *