কোদলা মঠ | বাগেরহাট

0
298

সংক্ষিপ্ত বিবরনঃ

পুরাতন বাগেরহাট-রূপসা সড়কে অবস্থিত যাত্রাপুর বাজার হতে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে প্রাচীন ভৈরব নদীর পূর্ব তীরে কোদলা গ্রামে অযোধ্যা মঠ( kodola moth ) অবস্থিত। তলদেশে বর্গাকারে নির্মিত এ মঠের প্রত্যেক বাহু বাহিরের দিকে ২৭র্-৮র্র্র্ দীর্ঘ। ভিতরের প্রকোষ্ঠের মাপ ১০র্-৫র্র্র্ X১০র্-৫র্র্র্ । ইটের তৈরী প্রাচীর গুলি ৮ ফুট ৭½ ইঞ্চি প্রশসত্ম। মঠে ব্যবহৃত ইটগুলির আয়তন ৬ ইঞ্চি X ৩ ইঞ্চি X ২ ইঞ্চি। পালিশ করা লাল ইটগুলি অতি উচ্চমানের। মঠটির উচ্চতা ভূমি হতে প্রায় ৬৪ ফুট ৬ ইঞ্চি। এ মঠের বিশেষ আকর্ষণীয় দিক হচ্ছে এর বাইরের অলঙ্করণ। উড়িষ্যা অঞ্চলে খ্রীষ্টীয় ষোড়শ শতাব্দী পর্যমত্ম যে স্টাইলে মন্দির নির্মাণ পদ্ধতি দেখা যায়। তার প্রভাব এ মঠে আছে বলে ধারণা করা হয়।

কবে কার দ্বারা  এ মঠ নির্মিত হয়েছিল তা সঠিকভাবে নির্ণীত হয়নি। তবে মঠের গায়ে খুদিত রয়েছে- শর্মনা।

উদ্দিশ্য তারকং(ব্রক্ষ্ম) [প্রশা] দোহাং বিনির্মিত ।।

এই ক্ষয়প্রাপ্ত পংক্তিমালার যতদূর পাঠোদ্ধার করা যায় তা থেকে অনুমিত হয় যে, তারকের (ব্রক্ষ্ম) প্রাসাদ লাভের উদ্দেশ্যে এ মঠ খুব সম্ভবত একজন ব্রাক্ষ্মণ (শর্মনা) কর্তৃক নির্মিত হয়েছিল। এর পাশাপাশি জনশ্রুতি আছে যে, কারো চিতাভস্মের উপর এ মঠ নির্মিত হয়েছিল। প্রবাদ রাজা প্রতাপাদিত্য কর্তৃক তাঁর সভাপন্ডিত ‘‘অবিলম্ব সরস্বতীর’’ স্মৃতিস্তম্ভ রূপে মঠটি নির্মিত হয়। পোড়ামাটির অলংকরণে নির্মিত মধ্যযুগীয় এ মন্দিরটি স্থাপত্য শিল্পের এক উজ্জ্বল নিদর্শন।

কিভাবে যাবেনঃ

রিকশায় করে আপনি যাত্রাপুরে এসে নামতে পারবেন। সেখান থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার পথ হেঁটে এই মন্দিরে পৌছাতে পারবেন।

আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে বা এই বিষয়ে কোন কিছু জানানোর থাকলে নীচের মন্তব্য বিভাগে লিখতে ভুলবেন না । আপনার ভ্রমণ পিয়াশি বন্ধুদের সাথে নিবন্ধটি শেয়ার করে নিন যাতে তারাও জানতে পারে ।