Pathrail Mosque

পাতরাইল মসজিদ | ফরিদপুর

সংক্ষিপ্ত বিবরনঃ

( Pathrail Mosque )প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী আউলিয়া খান জামে মসজিদ যা ১৩৯৩ হতে ১৪১০ খ্রিঃ মধ্যে গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ নির্মাণ করেন বলে ধারণা করা হয়। এ ঐতিহাসিক মসজিদের দক্ষিণ পাশে চির নিন্দ্রায় শায়িত আছেন মহান আউলিয়া মজলিস আউলিয়া খান। মসজিদের আঙ্গিনায় আছে মস্তান দরবেশ নাজিমদ্দিন দেওয়ানের মাজার। আউলিয়া খানের মাজারের দক্ষিণ পাশে আছে ফকির ছলিমদ্দিন দেওয়ানের মাজার। জনশ্রুতি আছে যে, অত্র এলাকায় প্রজাদের পানীয় জলের সমস্যা নিরসনকল্পে ও ইবাদতের জন্য মসজিদের পার্শ্বেই ৩২.১৫ একর জমির উপর একটি দীঘি খনন করেন। বর্তমানে এটি ভাঙ্গা উপজেলাধীন পাতরাইল দীঘিরপাড় আউলিয়া মসজিদ নামে সুপরিচিত। মসজিদটি বর্তমানে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন আছে।

কিভাবে যাবেনঃ

রাজধানী শহরের সংগে সরাসরি বাস যোগাযোগ আছে। আন্তঃজেলা বাস যোগাযোগব্যবস্থা আছে। ঢাকা থেকে ফরিদপুরে সাধারনত সড়ক পথেই যাতায়াত করা হয়ে থাকে। ঢাকা থেকে ফরিদপুরে সড়ক পথে যাতায়েত করতে সময় লাগে ৩ থেকে ৪ ঘন্টা, তবে ফেরী পারাপারের সময় যানজট থাকলে সময় বেশী লাগে।

গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে বেশ কয়েকটি বাস ফরিদপুরের উদ্দেশ্য ছেড়ে যায়। এ সব বাস গুলোর মধ্যে আনন্দ পরিবহন, আজমিরী পরিবহন, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, নাবিল পরিবহন, দ্রুতি পরিবহন, শাপলা পরিবহন ও সোহাগ পরিবহন অন্যতম। গাবতলী থেকে পাটুরিয়া পর্যন্ত কিছু বাস চলাচল করে। পাটুরিয়া থেকে লঞ্চে করে গোয়ালন্দ ঘাট যাওয়া যায়। সেখান থেকে অন্য বসে উঠে ফরিদপুর যাওয়া যায়। তবে খুলনা ও যশোর রুটের অনেক গাড়ী লঞ্চে যাত্রী পারাপার করে থাকে। লঞ্চে যাতায়াত করলে সময় ও অর্থ দুটোই কম লাগে।

আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে বা এই বিষয়ে কোন কিছু জানানোর থাকলে নীচের মন্তব্য বিভাগে লিখতে ভুলবেন না । আপনার ভ্রমণ পিয়াশি বন্ধুদের সাথে নিবন্ধটি শেয়ার করে নিন যাতে তারাও জানতে পারে ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *