সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ
চেরাগী পাহাড়( Cheragi Pahar ), বন্দর নগরীর একটি ঐতিহাসিক স্থান। যাকে ঘিরে আছে নানা কিংবদন্তী। কারো কারো মতে এখান থেকে গোড়াপত্তন চট্টগ্রাম নগরীর। নামের উৎপত্তিও এ স্থানকে ঘিরে। তবে ইতিহাসে যাই থাকুক, কালের সাক্ষী এ স্থাপনাটি যেন বহন করছে গোটা জনপদের ঐতিহ্য।
ইতিহাসঃ
ইতিহাসের পাতা থেকে জানা যায়, প্রায় কয়েকশ বছর আগে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য আরব দেশ থেকে সুফি সাধক হজরত বদর আউলিয়া (র.) সমুদ্রে ভাসমান একখণ্ড পাথরের ওপর আরোহণ করে চট্টগ্রামে আসেন। তখন চট্টগ্রাম শহর ছিল জন-মানবহীন গভীর পাহাড়-পর্বতে ঘেরা। জিন-পরীদের আবাসস্থল ছিল এটি। হজরত বদর আউলিয়া (র.) একটি অলৌকিক মাটির চেরাগ হাতে নিয়ে গভীর বন-জঙ্গল দিয়ে একটি পাহাড়ের ওপর উঠলে জিন-পরীরা তাকে বাধা দেয় এবং বলে, তাদের আবাসস্থলে কোনো মানুষের স্থান নেই। রাতের অন্ধকার নেমে এলে হজরত বদর আউলিয়া (র.) জিন-পরীদের কাছে শুধু চেরাগ রাখার স্থানটুকু চাইলে তারা সম্মতি জ্ঞাপন করে। তিনি অলৌকিক চেরাগ জ্বেলে দেন। আর সেই চেরাগের তীব্র তেজ বিকিরণে জিন-পরীরা চট্টগ্রাম ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয় এবং ধীরে ধীরে এখানে মানুষ বাস করতে শুরু করে। এভাবেই চেরাগ রাখার পাহাড় চেরাগি পাহাড় নামে পরিচিতি লাভ করে। সেই চেরাগ যেন মূল্যবোধের প্রতীক। চেরাগ জ্বালিয়ে আলোকিত করা হয়েছিল চট্টগ্রাম, দূর করা হয়েছিল অশুভ শক্তিকে। ইতিহাসের সেই আলোকিত সূচনা অন্ধকার দূর করেছিল চট্টগ্রাম থেকে। চেরাগির মোড়ে স্থাপিত মনুমেন্টটি এখন ইতিহাসের স্মারক।
অবস্থানঃ
চট্রগ্রাম