পরীর দালান | টাঙ্গাইল

সংক্ষিপ্ত বিবরনঃ

পরীর দালান( Porir Dalan )মানে কি পরীদের রাজ্য। যেখানে সোনারুপায় মোড়ানো সব ঘরবাড়ী। চারদিকে চিক চিক করে হীরা পান্না। সেসব মহল থেকে বের হয়ে আসে ডানাওয়ালা অনিন্দ সুন্দরী সব পরী। পরীর দালান মানে এরকম মনে হলেও। টাঙ্গাইলে মানুষের তৈরী পরীর দালান দেখে আসতে পারেন। এটি স্থানীয় জনগণের কাছে পরীর দালান হিসেবে খ্যাত।ভবনের চূড়ায় দু’টি রাজসিক পরীর অলঙ্করণ রয়েছে। হয়তো এ কারণেই নাম হয়েছে পরীর দালান। প্রাচীর ঘেরা ভবনের শানবাঁধানো ঘাটসহ পুকুর, দু’টি খোলা মাঠ এবং দশটি পাসা কুয়া আছে। এই ভবনের ভেতর বিভিন্ন সাইজের ২৫টি কক্ষ আছে। দোতালা এ আবাসিক ভবন সামনের দিক থেকে দেখতে তিনটি অংশে বিভক্ত। এই পরীর দালানের অনতিদূরে আরো রয়েছে ৭টি সুরম্য ভবন ।

হেমনগরের জমিদার হেম চন্দ্র চৌধুরীর পিতা কালিবাবু চৌধুরী সূর্যাস্ত আইনের আওতায়  শিমুলিয়া পরগণার জমিদারি কিনে নেন। কালিবাবু চৌধুরির  বড় ছেলে হেম চন্দ্র চৌধুরি জমিদারি দেখা-শোনার দায়িত্ব পান।  তিনি গোপালপুর উপজেলার সুবর্ণখালী নামক গ্রামে দ্বিতীয় বাড়ী নির্মাণ করে জমিদারী প্রাসাদ বানান। প্রমত্তা নদী যমুনার ভাঙ্গনে সুবর্ণখালি গ্রাম বিলীন হতে থাকলে তিনি শিমলা পাড়া গ্রামে ১৮৮০ থেকে ৯০ সালের দিকে রাজপ্রাসাদ তৈরি করেন।

মাত্র একশ বছরের বেশী সময় আগে নির্মিত এই বাড়ী এখণ দর্শনীয় স্থান। সম্প্রতি পূর্বপুরুষদের ভিটেমাটি ঘুরে গেছেন পশ্চিমবঙ্গের শিল্পী পলৌমি গাঙ্গুলী।

আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে বা এই বিষয়ে কোন কিছু জানানোর থাকলে নীচের মন্তব্য বিভাগে লিখতে ভুলবেন না । আপনার ভ্রমণ পিয়াশি বন্ধুদের সাথে নিবন্ধটি শেয়ার করে নিন যাতে তারাও জানতে পারে ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *