পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি | টাঙ্গাইল

0
275

সংক্ষিপ্ত বিবরনঃ

পাকুটিয়া জমিদার বাড়ী( Pakutia Zamindar House )টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলায় অবস্থিত একটি জমিদার বাড়ী। ইংরেজ আমলের শেষ দিকে এবং পাকিস্তান আমলের দীর্ঘ সময় পর্যন্ত তৎকালীন বৃটিশ রাজাধানী কলকাতার সাথে মেইল স্টিমারসহ মাল এবং যাত্রীবাহী স্টিমার সার্ভিস চালু ছিল। একপর্যায়ে নাগরপুরের সাথে কলকাতার একটি বানিজ্যিক এবং সাংস্কৃতিক সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরবর্তীতে পশ্চিম বঙ্গ কলকাতা থেকে আসেন রামকৃষ্ণ সাহা মন্ডল (ধনাঢ্য ব্যক্তি)।ঊনবিংশ শতাব্দীর শুরুতে তিনি পাকুটিয়ায় জমিদারী শুরু করেন। প্রায় ১৫ একর এলাকা জুড়ে একই নকশার পর পর তিনটি প্যালেস বা অট্টালিকা নির্মাণ করা হয় (১৯১৫)। তখন জমিদার বাড়িটি তিন মহলা বা তিন তরফ নামে পরিচিত ছিল।

প্রতিটি বাড়ীর মাঝ বরাবর মুকুট হিসাবে লতা ও ফুলের অলংকরণে কারুকার্য মন্ডিত পূর্ণাঙ্গ দুই সুন্দরী নারী মূর্তি রয়েছে। এবং প্রতিটি মহলের রয়েছে নিজস্ব সৌন্দর্য। রেলিং টপ বা কার্নিশের উপর রয়েছে বিভিন্ন ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে থাকা অসংখ্য সুন্দর সুন্দর ছোট আকৃতির নারী মূর্তি। এই অট্টালিকা গুলো পাশ্চাত্য শিল্প সংস্কৃতির এক অনন্য সৃষ্টি, যার লতাপাতার চমৎকার কারুকাজ গুলো মুগ্ধ করার মতো। এছাড়া পূজা মন্ডপের শিল্পিত কারুকাজ শতবছর পর এখনও পর্যটককে মুগ্ধ করে।

কিভাবে যাবেনঃ

ঢাকা থেকে ঢাকাআরিচা রোডে কালামপুর স্ট্যান্ড হতে সাটুরিয়া হয়ে সোজা উত্তরে ১৫কি.মি এলেই পাকুটিয়া জমিদার বাড়ী ।এবং টাংগাইল শহর হতে দক্ষিনে দেলদুয়ার হয়ে লাউহািএবং লাউহাটি হতে পাকুটিয়া জমিদার বাড়ী।

পাকুটিয়া বি.সি.আর.জি.ডিগ্রী কলেজটি পাকুটিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে জমিদারবাড়ীতে অবস্থিত। কলেজ ভবন পুরাতন ১টি ২য় তলা। নতুন ভবন ২টি। এরএকটি ৪তলাএবং একটি ২য় তলা। তাছাড়া ছাত্রাবাস ১টিএবং ১টি ীশক্ষকদের বসবাসের জন্যরয়েছে।কলেজটিতে বিশাল বড়একটি মাঠ রহিয়াছে।এবংবিশাল বড় ২টি পুকুররহিয়াছে।যেহেতু কলেজটি জমিদার বাড়ীতে অবস্তিত সেহেতু কলেজটিসহ কলেজের জায়গাদেখতে পার্কের মত। এখানে প্রতিণয়ত চলচিত্রকাররা স্যুটিং করতে আসে। গতকিচুদিন পূর্বে পদ্মপাতার জল ছবিতে নায়ক ইমন  ও নায়িকা মীম স্যুটিং করেগেলেন। এছাড়াও অসংক্য নাটকের স্যুটিং হয়ে থাকে কলেজটিতে।শুধু তাই নয়কলেজটিতে দেশের বিভিন্ স্থান থেকে শিক্ষা সফরেও আসে।

আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে বা এই বিষয়ে কোন কিছু জানানোর থাকলে নীচের মন্তব্য বিভাগে লিখতে ভুলবেন না । আপনার ভ্রমণ পিয়াশি বন্ধুদের সাথে নিবন্ধটি শেয়ার করে নিন যাতে তারাও জানতে পারে ।