শাহ নিয়ামত উল্লাহর মাজার সম্পর্কে কিছু তথ্যঃ উপমহাদেশে ইসলাম প্রচারের শুরু থেকেই এদেশে নানা পীর আউলিয়াদের আগমন ঘটে তাদের আগমন ও ইসলাম প্রচারের সূত্র ধরেএই অঞ্চলে মুসলমানদের বিভিন্ন স্থাপত্যও গড়ে সেই সব স্থাপত্য এবং পুরাকীর্তি অতীত ইতিহাস ঐতিহ্য ও ভাব গম্ভীর ইতিহাসেরস্মরণ করিয়ে দেয়। তেমনি একটি প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহাসিক স্থাপনা শাহ নেয়ামত উল্লাহ ওয়ালীর মাজার। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে প্রায় ৩৫কি.মি. দূরত্বে অবস্থিত শিবগঞ্জ উপজেলার শাহাবাজপুর ইউনিয়নে ঐতিহ্যবাহী তোহাখানা কমপ্লেক্স এর অভ্যন্তরে শাহ নেয়ামতউল্লাহ (রঃ) এর তিন গম্বুজ মসজিদের উত্তরে শাহ নেয়ামত উল্লাহ (রঃ)( Shah Neyamatullah Majar ) এর মাজার অবস্থিত।
শাহ নেয়ামত উল্লাহ ওয়ালী ছিলেন মধ্য যুগের বিখ্যাত একজন ইসলাম প্রচারক। তৎকালীন গৌড়ে তিনি ইসলাম প্রচার করেন। সুলতানশাহ সুজার রাজত্বকালে তিনি দিল্লী প্রদেশের করোনিয়ার নামক স্থান থেকে ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে নানা স্থান ভ্রমণ করেন।ভ্রমণ পাগল এইধর্ম প্রচারক ঘুরতে ঘুরতে এই অঞ্চলে এসে পড়ে এবং শাহ সুজা তাকে আন্তরিক ভাবে অভ্যর্থনা জানান পরবর্তীতে তিনি গৌড়ের উপকণ্ঠবর্তমান শীবগঞ্জ উপজেলায় স্থায়ীভাবে থাকতে শুরু করেন।দীর্ঘদিন এখানে ইসলাম প্রচার করে তিনি ১৭০৫ হিজরি (১৬৬৪ খ্রিষ্টাব্দে) মতান্তরে ১০৮০ হিজরিতে ( ৬৬৯ খ্রিষ্টাব্দে) মৃত্যুবরণ করেন। ও এখানে সমাধিস্থ হন।
শাহ নেয়ামত উল্লাহ ওয়ালীর সমাধিকে মুঘল যুগের সর্বপ্রথম সমাধি স্থাপত্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়।শাহ সুজা কর্তৃক নির্মিততাহাখানার উত্তর পাশেই আছে তিন গম্বুজ মসজিদ।আর মসজিদের উত্তর পাশে শাহ নেয়ামত উল্লাহর মাজার।এক গম্বুজ বিশিষ্ট এইইমারতটি উঁচু ভিটের উপর অবস্থিত সমাধি ভবন এর প্রত্যেক দিকে ৪৯ ফুট দৈর্ঘ্য প্রস্থ এবং মধ্য প্রকোষ্ঠটি সারে ২১ ফুট বর্গ।এরস্থাপত্যটির প্রত্যেক দিকের দেয়ালেই ৩ টি করে মোট ১২ টি দরজা রয়েছে।যার ফলে একে বারদুয়ারী নামেও ডাকা হয়।এছাড়া মুল কক্ষেরচারদিকে গিরে রয়েছে টানা ভর্টেড বারান্দা।মুল মাজার কক্ষের চতুর্দিকে একটি দরজা বিদ্যমান।সমস্ত দরজা গুলি খিলানযুক্ত মূল কক্ষেরওয়াল ভোল্ট গম্বুজ এর ভার বহন করে।চারপাশে বিভিন্ন রকম গাছগাছালি এবং ফুল ও পাতাবাহার গাছ দ্বারা সুশোভিত রয়েছে।
কিভাবে যাবেনঃ ঢাকা থেকে বিভিন্ন বাস যেমনঃ হানিফ এন্টারপ্রাইজ, মডার্ন এন্টারপ্রাইজ, শ্যামলী পরিবহন রাজশাহী হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে যায়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে বিভিন্ন জেলা ও শহরে বাস ছেড়ে যায়। মূলত এখান থেকে রাজশাহীর উদ্দেশ্যই মূলত তিন ধরনের বাস ছেড়ে যায়, যেসব হলঃ গেইট লক, সরাসরি ও লোকাল সার্ভিস। এখান থেকে অন্যান্য রুটে চলাচলকারী বাস সার্ভিসগুলোর মধ্যে আছেঃ নবাবগঞ্জ-শিবগঞ্জ, নবাবগঞ্জ-নওগাঁ, নবাবগঞ্জ-নাচোল, নবাবগঞ্জ-রহানপুর। সোনা মসজিদ থেকে রাজশাহী প্রতিদিন সকাল ৭.১৫ মিনিট থেকে বিকাল ৫.১৫ মিনিট পর্যন্ত প্রতিদিন এক ঘণ্টা পর পর চলাচল করে। এছাড়া বিআরটিসি বাস নবাবগঞ্জ থেকে ঢাকায় চলাচল করে। এখানে দুইটি বাস টার্মিনালের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ বাস টার্মিনাল এবং অপরটি ঢাকা বাস টার্মিনাল।
কোথায় থাকবেনঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জে থাকার জন্য শহরে অনেক হোটেল আছে। যেমনঃ
১। হোটেল রোজ
আনোয়ার হোসেন আনু,
স্টেশন রোড, (মহনন্দা বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন) ,লাখেরাজপাড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর।
ফোনঃ ০১৭৬১৮৫৫৪৭১
২। লাল বোডিং
মো:
সেনটু মিঞা, ঢাকা বাসস্ট্যান্ড, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
ফোনঃ ০১৭১৮২৭৯৮৪১
৩। হোটেল আল নাহিদ
আলহাজ রফিকুল ইসলাম
শান্তিমোড়, আরামবাগ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
ফোনঃ ০১৭১৩৩৭৬৯০২
৪। হোটেল স্বপ্নপুরী
মো:
বাবুল হাসনাত দুরুল,
আরামবাগ মোড়, বিশ্ব রোড, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
ফোনঃ ০১৭১১৪১৬০৪১