বলিহার রাজবাড়ি | নওগাঁ

বলিহার রাজবাড়ী সম্পর্কে কিছু তথ্যঃ বলিহার রাজবাড়ী ( Balihar Rajbari ) নওগাঁ সদর উপজেলায় অবস্থিত প্রাচীনতম রাজবাড়ী এবং বাংলাদেশের অন্যতম প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা।

বলিহারের জমিদার রাজশাহী বিভাগের নওঁগা জেলার অন্যতম বিখ্যাত জমিদার ছিল। বলিহার জমিদার পরিবার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন নৃসিংহ চক্রবর্তী। সম্রাট আওরঙ্গজেব কর্তৃক জায়গির লাভ করে বলিহারের জমিদাররা এ এলাকায় নানা স্থাপনা গড়ে তোলেন যার মধ্যে বলিহার রাজবাড়ি অন্যতম।

দেশ বিভাগের সময়কালে বলিহারের রাজা ছিলেন বিমেলেন্দু রায়। দেশ বিভাগের সময় জমিদারী প্রথা বিলুপ্ত হলে বলিহারের রাজা বিমেলেন্দু রায় চলে যান ভারতে। এরপর বলিহার রাজবাড়ী ভবনটি দেখভাল করেন রাজ পরিবারের অন্যান্য কর্মচারীরা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এবং পরবর্তীতে রাজবাড়ির বিভিন্ন নিদর্শন, আসবাবপত্র, জানালা দরজাসহ বিভিন্ন সামগ্রী লুট হয়ে যায়।

রাজবাড়ীর সামনেই রয়েছে প্রকাণ্ড তোরন; ভেতরের কম্পাউণ্ডে নাটমন্দির, রাজ-রাজেশ্বরী মন্দির, জোড়া শিব মন্দির আর বিশাল দোতলা জমিদার বাড়ি। যদিও বিভিন্ন মন্দিরের দেয়ালের কারুকাজ, মূল্যবান রিলিফের কাজগুলো এখন অস্পষ্ট ও ভাঙ্গা। এই কারুকাজগুলো ছিল এই মন্দির গুলোর শোভাবর্ধক। বলিহারের জমিদারিতে ৩৩০টি দীঘি ও পুকুর ছিল। এর মধ্যে মালাহার, সীতাহার, বলিহার, অন্তাহার উল্লেখযোগ্য।

পূর্বে রাজবাড়ির একটি ভবন স্থানীয় একটি স্কুলের শ্রেণীকক্ষ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল কিন্তু নতুন স্কুল ভবন নির্মিত হওয়ায় রাজবাড়ী ভবনটি এখন পরিত্যক্ত। প্রাসাদ এর ভিতরে অবস্থিত দেবালয় পূজা অর্চনার কাজে ব্যবহৃত হয় এবং প্রাসাদের পেছনে বিশাল আকারের ২টি শিবলিঙ্গ পাশাপাশি রয়েছে।

কিভাবে যাবেনঃ ঢাকা থেকে নওগাঁগামী অনেক বাস চলাচল করে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো এস আর ট্র্যাভেলসের এসি ও নন এসি বাস যা নিয়মিত নওগাঁয় যাতায়াত করে। নওগাঁয় পৌঁছে অটো রিক্সা করে বলিহার রাজবাড়ি যাওয়া যাবে।

আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে বা এই বিষয়ে কোন কিছু জানানোর থাকলে নীচের মন্তব্য বিভাগে লিখতে ভুলবেন না । আপনার ভ্রমণ পিয়াশি বন্ধুদের সাথে নিবন্ধটি শেয়ার করে নিন যাতে তারাও জানতে পারে ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *