ট্রানজিট ভিসা

ইন্ডিয়ান ট্রানজিট ভিসার সকল তথ্য

ট্রানজিট ভিসা কি? How to get indian transit

অনেকেই বাই রোডে ইন্ডিয়া হয়ে নেপাল/ভূটান যেতে চান কিন্তু অনেক প্রশ্নই মনের মধ্যে উঁকি দেয় কিভাবে যাব, আগে থেকে ভারতের ভিসা থাকলে সেই ভিসায় যেতে পারবো কিনা, কি কি কাগজপত্র লাগবে ইত্যাদি । (how to get indian transit visa)

অনেকের পাসপোর্টে ভারতীয় ভিসা করা আছে। হয়ত ভিসার মেয়াদ ও রয়েছে অনেকদিন পর্যন্ত। কারও ভিসা বেনাপোল/চেংড়াবান্ধা/ হিলি/ অথবা বাই ট্রেন এ গেদে দিয়ে থাকতে পারে। কিন্তু এই ট্যুরিস্ট, মেডিকেল বা স্টুডেন্ট ভিসা দিয়ে কেও ইন্ডিয়া হয়ে অন্য দেশে যেতে পারবেন কি না। বাই রোডে ভুটান যেতে ভারতের যে বর্ডার পার হওয়া লাগে তার নাম “জয়গা”। এই বর্ডার পার হয়ে ভুটান যাবার জন্যে এবং ভুটান থেকে ভারতীই বর্ডার দিয়ে ফেরত এসে ভারত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের জন্যে যে বিশেষ ভিসা নিতে হয় তার নাম “ট্রানজিট” ভিসা। অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে ভারত হয়ে ভুটান যাচ্ছেন আবার ভুটান থেকে একই পথে ভারত হয়ে বাংলাদেশে ফিরছেন।

এই ট্রানজিট ভিসার মেয়াদ সাধারনত এ ভিসা ১৫ দিন মেয়াদি দেয়া হয়। বাংলাদেশ থেকে ভারতে ঢুকার পর ৩ দিন এবং ভুটান থেকে ভারতে প্রবেশ করে ৩ দিন। এই সময়ের মধ্যে অবশ্যই আপনাকে ভারত বর্ডার পার হতে হবে। সুতরাং কেও যদি বাই রোডে ভুটান ভ্রমনে যেতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাকে অবশ্যই ভারতীয় ট্রানজিট ভিসা নিতে হবে।

ইন্ডিয়ান ট্রানজিট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

এখানে ভারতীয় ট্রানজিট ভিসার আবেদন করতে নিম্নলিখিত কাগজপত্র লাগবে।

  1. পাসপোর্ট
  2. এককপি ২x২ ইঞ্চি মাপের প্রিন্টেড ছবি ও আরেকটি সফট কপি (শুধু অনলাইন আবেদনের সময় লাগবে)
  3. পুরনকৃত ফর্ম (প্রিন্টেড)
  4. স্মার্ট কার্ড/এনআইডি অথবা জন্ম সনদের ফটোকপি
  5. ইউটিলিটি বিলের ফটোকপি (বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস বা টেলিফোন বিল)
  6. পেশার প্রমাণপত্র (বেসরকারি চাকুরিজীবি হলে NOC, সরকারি চাকুরিজীবি হলে NOC/G.O>., ছাত্র হলে আইডি কার্ড বা বেতনের রশিদ, ব্যাবসায়ী হলে ট্রেড লাইসেন্স এর ফটোকপি, আর পেশা কৃষি হলে জমির খতিয়ানের ফটোকপি)
  7. ব্যাংক স্টেটমেন্ট, ডলার এনডোর্সমেন্ট অথবা ইন্টারন্যাশনাল কার্ডের কপি
  8. পাসপোর্ট এর ডাটা পেইজের ফটোকপি (ছবির পাতা)
  9. সর্বশেষ ইন্ডিয়ান ভিসার ফটোকপি (যদি থাকে)
  10. অন্য কোন সাপোর্টিং কাগজ যদি দিতে চান।
  11. পূর্ববর্তি সকল পাসপোর্ট। যদি পুরাতন পাসপোর্ট থাকে তাহলে অবশ্যই দিতে হবে। আর হারিয়ে গেলে জিডি কপি ও লস্ট সার্টিফিকেট দিতে হবে।
  12. ঢাকা টু বুড়িমারি বাসের রিটার্ন টিকিট
  13. যে দেশে যাবেন সে দেশের হোটেল বুকিং

বাসের টিকিট

ইন্ডিয়া এই মুহুর্তে ভুটান যাওয়ার জন্য শুধু Chengrabanda/Jaygaon দিয়ে ও নেপালের জন্য শুধু Chengrabanda/Ranigonj দিয়ে ট্রানজিট ভিসা দেয়। চ্যাংড়াবান্ধা হল বর্ডারের ভারতের অংশের নাম আর আমদের অংশের নাম হল বুড়িমারি।

তাই এই যে দেশের জন্যই ট্রানজিট ভিসা নিতে চান না কেন আপনাকে ঢাকা টু বুড়িমারি পর্যন্ত কনফার্ম বাসের টিকেট দিতে হবে।

ঢাকা থেকে বুড়িমারি পর্যন্ত অনেক বাস আছে যেমন এস, আর ট্রাভেলস, পিংকি, মানিক ইত্যাদি। এছাড়া শ্যামলীর বাস আছে শিলিগুড়ি পর্যন্ত আর ভাড়াও অনেক প্রায় ১৬০০ টাকার মত। এছাড়া ভুটান গেলে আপনার তো আর উলটা শিলিগুড়ি পর্যন্ত যাওয়ার দরকার নেই তাই সবদিক বিবেচনায় উপরে উল্লিখিত যেকোন বাসের বুড়িমারি পর্যন্ত রিটার্ন টিকিট কেটে নিন।

ভাড়া নন এসি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, আর এসি ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা। আমরা গিয়েছিলাম এস, আর প্লাস এসিতে ভাড়া ছিল ৮০০ টাকা। তখন অনশ্য শীত ছিল, এক সপ্তাহ পরে আসার সময় শুনলাম একটু গরম পড়াতেই ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে। 

আর কোন কারনে ভিসা না হলে টিকেট ফেরত নিবে, মানে ক্যান্সেল করবে তবে কিছু টাকা কেটে রাখবে। তাই আপনি টিকেট নেয়ার সময় বলে নিন যে ভিসা না হলে টিকেট ফেরত নিবে কিনা বা নিলেও কত টাকা কাটবে। তা না হলে পরে ঝামেলা করতে পারে আবার।

হোটেল বুকিং

ট্রানজিট ভিসার আবেদনের জন্য আপনাকে সংশ্লিষ্ট দেশের হোটেল বুকিং দেখাতে হবে। আমরা ভুটানের আমাদের টুরের ব্যাপ্তি অনুযায়ী সব কয়দিনের হোটেল বুকিং দেখিয়েছিলাম। আমরা agoda.com ও booking.com থেকে হোটেল বুকিং করেছিলাম। এখানে কোন কার্ড ছাড়াও বুকিং করা যায় কিছু হোটেলে।

তবে কয়েকদিন পর বুকিং ক্যান্সেল করে দিবেন তা না হলে কিন্তু হোটেলগুলো ভাববে আপনি আসবেন তাই ওরা আর বুকিং নিবে না। তাই সিস্টেমটির সঠিক ব্যাবহারের জন্য মনে করে বুকিং ক্যান্সেল করবেন।

তথ্য সংগ্রহিতঃ নির্বোধ এবং অনলাইন

আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে বা এই বিষয়ে কোন কিছু জানানোর থাকলে নীচের মন্তব্য বিভাগে লিখতে ভুলবেন না । আপনার ভ্রমণ পিয়াশি বন্ধুদের সাথে নিবন্ধটি শেয়ার করে নিন যাতে তারাও জানতে পারে ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *