জগদ্দল বিহার | নওগাঁ

0
316
জগদ্দল_বিহার
জগদ্দল_বিহার

জগদ্দল মহাবিহার সম্পর্কে কিছু তথ্যঃ জগদ্দল মহাবিহার( Jogoddol Vihara )বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার ধামুরহাট উপজেলার একটি প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান। এটি উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে এবং মঙ্গলবাড়ি থেকে ৬ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত। এটি জগতপুর মৌজার উত্তরে ও জগদ্দল মৌজার দক্ষিণাংশে অবস্থিত এক অতি প্রাচীন নিদর্শন। নওগাঁ জেলার ধামুইরহাট থানার জয়পুর-ধামুইরহাট সড়কের উত্তর দিকে অবস্থিত এই প্রাচীন কীর্তি। বর্তমানে স্থানীয় জনগণ এটিকে বটকৃষ্ণ রায় নামক এক জন জমিদারের বাড়ির ধ্বংসাবশেষ বলে মনে করে। 

ইতিহাস থেকে জানা যায় যে রাজা রামপাল গৌড় রাজ্য পুনরুদ্ধারের পর রামাবতী নগরে রাজধানী স্থাপন করেন। আইন-ই-আকবর রচয়িতা আবুল ফজল এ স্থানটিকে রমৌতি বলে উল্লেখ করেছেন। প্রাচীন বাংলার ধর্মমঙ্গল কাব্যগুলিতে রামাবতীর উল্লেখ আছে। রাজা রামপালের পুত্র মদনপালের তাম্র শাসনেও রামাবতী নগরীর উল্লেখ আছে। দীনেশ চন্দ্র সেন বলেছেন যে, এই রামাবতী নগরে রাজা রামপাল জগদ্দল মহাবিহারের প্রতিষ্ঠা করেন। ঐতিহাসিক রামপ্রাণগুপ্ত জগদ্দল বিহার দিনাজপুরে অবস্থিত বলে উল্লেখ করেছেন। রামপ্রাণগুপ্তের জগদ্দল বিহার যে নওগাঁ জেলার আলোচ্য বিহার তা সহজেই অনুমান করা যায়। কারণ পূর্বে এ জেলা দিনাজপুর জেলার অংশ ছিল। একাদশ বা দ্বাদশ শতাব্দীতে রাজা রামপাল এই মন্দির নির্মাণ করেন বলে নীহাররঞ্জন রায়ের বাঙ্গালীর ইতিহাস গ্রন্থে উল্লেখ আছে। এ গ্রন্থে আরও উল্লেখ আছে যে এ মন্দিরের অধিষ্ঠাতা দেবতা ছিলেন অবলোকিতেশ্বর, আর অধিষ্ঠাত্রী দেবী ছিলেন মহাতারা। ১৯৯৬ সালের পর তিনবার উৎখননের কাজ হয়। উৎখননের ফলে এখানে যে ধ্বংসাশেষ পড়ে রয়েছে তার আয়তন পূর্ব-পশ্চিমে দীর্ঘ ১০৫মি. x ৮৫মি, দেয়াল প্রায় ৫মি. x ৫মি.

কিভাবে যাবেনঃ নওগাঁ শহর থেকে লোকাল বাসে চড়ে ধামড়িহাটে এই বিহার দেখে আসতে পারেন।  

আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে বা এই বিষয়ে কোন কিছু জানানোর থাকলে নীচের মন্তব্য বিভাগে লিখতে ভুলবেন না । আপনার ভ্রমণ পিয়াশি বন্ধুদের সাথে নিবন্ধটি শেয়ার করে নিন যাতে তারাও জানতে পারে ।