বেলাব বাজার জামে মসজিদ

0
284

সংক্ষিপ্ত বিবরনঃ

( Belab Bazar Jame Mosjid )এই উপমহাদেশে ইসলাম প্রচারের সময় থেকেই যেমন বেড়েছে ধর্মীয় আরাধনার পবিত্র স্থান মসজিদের সংখ্যায় তেমনি এইসব স্থান যুগে যুগে নজর কেড়েছে তার নন্দনশৈলি, অবকাঠামো আর কারুকার্যখচিত স্থাপত্য নিদর্শনের কারণে। বর্তমানে দেশের অন্যতম সৌন্দর্যময় পাঁচটি মসজিদের মধ্যে একটি বেলাব বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ। এটি নরসিংদী জেলার বেলাব উপজেলা সদরের নিকটেই অবস্থিত।

ধারণা করা হয় প্রায় ৪০০ বছর পূর্বে প্রতিষ্ঠিত হয় এই বেলাব বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ। ভিন্ন কাঠামো আর আঙ্গিকে প্রতিষ্ঠিত এই মসজিদটি তখনকার সময়ে অত্র এলাকায় সবারই দৃষ্টি আকর্ষণ করে। প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি মসজিদটি নির্মাণের জন্য জমিও দান করেছেন বীরবাঘব গ্রামের মাহবুব ব্যাপারী। পরবর্তীতে নানা হিতৈষীর হাত ধরেই এর উন্নয়ন কাজ চললেও সর্বশেষ বার নরসিংদী জেলার বিশিষ্ট শিল্পপতি জনাব আলহাজ্ব আব্দুল কাদির মোল্লা কর্তৃক মসজিদটির বর্তমান অবকাঠামো নির্মাণ , সংস্কার ও বর্ধন কাজ করা হয়। মসজিদটির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আশপাশের গ্রাম থেকে জুম্মার নামাজে প্রচুর লোকের সমাগম হতো এখানে। এক পর্যায়ে তা মসজিদের ধারণ ক্ষমতার বাহিরে চলে যায় ও আরো কিছু সংকটের মোকাবিলা করতে হয়। সেই সংকট হতে উত্তরণে থার্মেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান জনাব আব্দুল কাদির মোল্লা ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে মসজিদের সংস্কার ও বর্ধনে হাত দেন। মসজিদটির মুসল্লি ধারণ ক্ষমতা ৮ হাজার হলেও রমজান মাসে ও ঈদের নামাজের সময় মসজিদের আঙ্গিনা জুড়ে এর মুসল্লি সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার ছাড়িয়ে যায়।

নির্মাণশৈলী ও স্থাপত্যের দিক দিয়ে এটি অত্র এলাকার অন্যান্য মসজিদের তুলনায় অনন্য ছিলো। প্রথম নির্মাণে এই মসজিদের ৭ টি গম্বুজ ছিলো। লোক মুখ মারফত এই মসজিদ নিয়ে অলৌকিক ঘটনার কথাও জানা যায়। শুনা যায় এই মসজিদের ভেতর থেকে এক সময় গায়েবি ভাবে কুরআন তেলাওয়াতের শব্দ পাওয়া যেতো। এই ঘটনার সূত্র ধরে এঁকে লোকে ‘ফজিলতের মসজিদ’ হিসেবেও জানে।

বর্তমানে মসজিদটি একটি দর্শনীয় স্থান হিসেবেও বিশেষ পরিচিতি লাভ করেছে এর নির্মাণ আঙ্গিকের কারণে। প্রত্যন্ত গ্রামের সবুজ শ্যামলিমার বুকে দাঁড়িয়ে থাকা এমন দারুণ স্থাপত্য ঐ উপজেলার শ্রী অনেক গুণ বৃদ্ধি করেছে। দেশের আনাচে কানাচে হতে ভ্রমণ প্রিয় মানুষেরা প্রায় এই মসজিদের নজরকাড়া সৌন্দর্যে মুগ্ধ হতে এবং এখানে সালাত আদায় করতেও আসে।

আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে বা এই বিষয়ে কোন কিছু জানানোর থাকলে নীচের মন্তব্য বিভাগে লিখতে ভুলবেন না । আপনার ভ্রমণ পিয়াশি বন্ধুদের সাথে নিবন্ধটি শেয়ার করে নিন যাতে তারাও জানতে পারে ।