সংক্ষিপ্ত বিবরনঃ
নরসিংদী জেলার অন্যতম বিখ্যাত ভ্রমণ স্থান শাহ ইরানীর মাজার( Shah Irani Mazar )। এই মাজারে শায়িত হযরত শাহ ইরানী (রহ:) সম্পর্কে সঠিক সন্ধান না পেলেও এটা অবশ্যই একটি বিশ্বাস যোগ্য তথ্য যে, ইরান, তেহরান, পারস্য, ইয়েমান, কান্দাহার, ইরাক, মিশর, তুর্কি প্রভৃতি এলাকার বিখ্যাত সব সাধকগন হযরত শাহজালালের সঙ্গী হিসেবে ধর্ম প্রচারে বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে সেই সুপ্রাচীন কালে এসেছেন। দিল্লীর প্রখ্যাত অলিয়ে কামেল বলে খ্যাত নিজাম উদ্দিন আউলিয়ার দরবার হয়ে তাঁরা সৈয়দ নাসির উদ্দিনের সাথে সিলেট ও হবিগঞ্জ অভিযানে আসেন। কাফেলাতে বিভিন্ন রাজ পরিবারের সদস্যবর্গ ও অনেক সময় থাকতেন বলে জানা যায়।ইতিহাস থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে জানা যায় ধর্মপ্রচারের নেশা ও মুসলমানদেরকে অত্যাচারী রাজাদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য তাঁরা সময়ে সময়ে যুদ্ধও ঘোষণা করেছিলেন।
দিল্লীর প্রখ্যাত অলিয়ে কামেল বলে খ্যাত নিজাম উদ্দিন আউলিয়ার দরবার হয়ে তাঁরা সৈয়দ নাসির উদ্দিনের সাথে সিলেট ও হবিগঞ্জ অভিযানে আসেন। কাফেলাতে বিভিন্ন রাজ পরিবারের সদস্যবর্গ ও অনেক সময় থাকতেন বলে জানা যায়।ইতিহাস থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে জানা যায় ধর্মপ্রচারের নেশা ও মুসলমানদেরকে অত্যাচারী রাজাদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য তাঁরা সময়ে সময়ে যুদ্ধও ঘোষণা করেছিলেন।
তখনকার সময়ে একজন শ্রদ্ধেয় ধর্ম প্রচারক ছিলেন শাহ ইরান। তিনি ইরানের রাজ পরিবারের সদস্য ছিলেন। ধারনা করা হয় তার বয়স প্রায় ৪০ এর ঊর্ধ্ব ছিল। তাঁর প্রকৃত নাম যদিও জানা যায় নাই। তবে শাহ ইরান অর্থাৎ ইরানের অধিবাসী এবং ধর্মীয় সম্রাট হিসেবেই এ নামের সৃষ্টি। স্থানীয় লোকেরা শাহ ইরানী বলে ডাকেন।
কথিত আছে আনুমানিক ১৩০৩ সালে সিলেট বিজয়ের পর এই সম্রাট তাঁর দলীয় নেতা ও পীর হযরত শাহজালালের নির্দেশে লাল মাটি অঞ্চলের অত্যাচারী রাজা বিজয় মিশ্র ও অসম রাজার রাজ্যে আগমন করেন। সুদর্শন ভাষীর এই যুব রাজ সকল কিছু জয় করেই বর্তমান “দরগাহ শরীফ শরীফ” ও তাঁর পার্শ্ববর্তী উঁচু লাল মাটির এলাকায় ইসলামের বানী প্রচার করেছেন। তাঁর মৃত্যুর সঠিক তথ্য আজও পাওয়া যায়নি তবে তিনি নি:সন্তান ছিলেন এবং স্থানীয় রাজ কুমারীকে বা কোন জমিদার কন্যাকে বিয়ে করেছিলেন বলে মতামত রয়েছে।
মাজারটি প্রায় ৬৩ একর জায়গা নিয়ে অবস্থিত। যার সাথেই পূর্ব পাশে সুবিশাল এক দিঘী রয়েছে। ইহা বৃহত্তর ঢাকার পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে বড় দিঘী বলে খ্যাত। এই দিঘী নিয়ে প্রচলিত রয়েছে বিভিন্ন অলৌকিক ঘটনাবলী। সি, এস রেকর্ডে অবশ্য এটাকে মহারানীর দিঘী বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। মাজারটির নক্সা নমুনা ইত্যাদি সবই সুলতানি আমলের সাথে মিল খুঁজে পাওয়া যায়। প্রত্নতত্ত্ববিদগণের ধারনা এটি ৫/৬শত বৎসরের পূর্বেকার স্থাপত্য। সাম্প্রতিককালে একই উপজেলার উয়ারী বটেশ্বর এলাকা থেকে সুলতানি আমলের মুদ্রা ও উদ্ধার করা হয়েছে। যা বর্তমানে যাদুঘরে আছে। এই মাজারের সামনে কয়েকটি রক্ষিত পাথর ও খিলান এর স্থাপত্য নক্সা ও ছাপ নি:সন্দেহে প্রাচীন কালের স্বাক্ষর বহন করে।
কিভাবে যাবেনঃ
ঢাকা থেকে বাস যোগে (বিআরটিসি, অন্যন্যা সুপার, যাতায়াত, হাওর বিলাশ অথবা সিলেট কিশোরগঞ্জ ব্রাহ্মনবাড়িয়ার যে কোন বাসে) ঢাকা সিলেট মহা সড়ক এর মরজাল অথবা বারৈচা বাসস্ট্যান্ড নেমে সিএনজি যোগে পোড়াদিয়া বাজার হয়ে রিক্সায় শাহ ইরানী অথবা মরজাল/বারৈচা থেকে সরাসরি সিএনজি যোগে শাহ ইরানী (রহ:) মাজার শরীফে য়াওয়া য়ায়।