ডিঙ্গাপোতা হাওর | নেত্রকোনা

সংক্ষিপ্ত বিবরনঃ

ভাটি বাংলার রাজধানী বলে পরিচিত নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলা। উপজেলার পূর্বাঞ্চল ঘিরে অবস্থিত ডিঙ্গাপোতা হাওর( Dingapota Haor )। ডিঙ্গাপোতা হাওরের সৌন্দর্য অবলোকন করলে আপনার মন জুড়িয়ে যাবে।

বাংলানিউজের ক্যামেরায় বন্দি হওয়া ডিঙ্গাপোতা হাওরের চিত্র তুলে ধরা হচ্ছে পাঠকদের জন্য।বর্ষাকালে ডিঙ্গাপোতা হাওরে জলরাশির ঢেউ আর দু’পাড় জুড়ে থাকা সোনালি ও সবুজ ধানের দৃশ্যে মন জুড়িয়ে যায় পর্যটকদের।উপজেলার সবচেয়ে বড় এ হাওরটিতে সংযুক্ত আছে মাগান গ্রামের উপর দিয়ে বয়ে আসা খাল। যার দু’পাড় ঘিরেও রয়েছে অপার সৌন্দর্যের মহিমা।শুষ্ক মৌসুমে যেখানে সবুজ দিগন্ত, বর্ষাকালে প্রতিটি হাওরে অথৈ জলের ধারা। প্রতিটি হাওর যেমনি নয়নাভিরাম তেমনি সৌন্দর্যমণ্ডিত।গ্রামবাংলার মাছ ধরার ইতিহাসের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত খড়া জাল। এ হাওরেও তার ব্যতিক্রম দেখা যায় না। ডিঙ্গাপোতা হাওরে খড়া জাল দিয়ে মাছ ধরছেন এক জেলে।

বইয়ের পাতায় পাল তোলা নৌকার যে দৃশ্য আমরা দেখি কিংবা পাল তোলা নৌকায় হাটে যাওয়ার যে গল্প আমরা শুনি তার  প্রমাণ মেলে এখানে। গ্রামের লোকেরা হাটে যাওয়ার জন্য নিজস্ব পালতোলা নৌকাই ব্যবহার করে থাকেন। “মাছে ভাতে বাঙালি” প্রবাদটি অক্ষুণ্ণ রাখতেই যেন দিনরাত এ হাওরেই বেশির ভাগ জেলে পরিবারের সদস্যরা পড়ে থাকেন মাছ ধরার জন্যে।বিশাল জলরাশির মাঝে আধডোবা হিজল গাছ নিশ্চিন্তমনে দাঁড়িয়ে আছে হাওড়টির গভীরতম স্থানে।ঐ দূরে নীল আকাশ যেন হাওরের পানির সঙ্গে মিলে তৈরি করে মনমাতানো দৃশ্য। যা ভ্রমণ বিলাসীদের হাতছানি দিয়ে ডাকে দূর থেকেই। বর্ষার জলে এ টান যেন বাড়তেই থাকে।অপূর্ব সৌন্দর্য পর্যটকদের জন্য ব্যাপক আনন্দের হলেও হাওর এলাকাবাসীদের জন্য সবসময় আনন্দ বয়ে আনে না। বারন্তর গ্রামের চারিদিকে পানি উঠার কারণে স্কুলে যাতায়াতে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।প্রকৃতির ক্ষমতা অনেক। খুব সহজেই হারিয়ে দিতে পারে মানুষের শক্তিকে।  তারই প্রমাণ বারন্তর গ্রামের মূল কালভার্টটি এখন পানির নিচে। বাঁধ ভেঙে ঢলের পানি প্রবেশ করে তলিয়ে যায় হাওর অঞ্চলের ফসলি জমি। এতে করে পানিবন্দি হয়ে পড়ে হাজারো পরিবার।

আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে বা এই বিষয়ে কোন কিছু জানানোর থাকলে নীচের মন্তব্য বিভাগে লিখতে ভুলবেন না । আপনার ভ্রমণ পিয়াশি বন্ধুদের সাথে নিবন্ধটি শেয়ার করে নিন যাতে তারাও জানতে পারে ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *