গিয়াস উদ্দিন আজম শাহের সমাধি

0
249

সংক্ষিপ্ত বিবরনঃ

সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়া ইউনিয়নের শাহ চিল্লাহপুর গ্রামে অবস্থিত প্রাচীন বাংলার ইলিয়াস শাহী বংশের তৃতীয় সুলতান গিয়াস উদ্দিন আযম শাহের সমাধি( Ghiyasuddin Azam Shah grave )। এ সমাধি দর্শনে প্রতিদিন দেশ-বিদেশ থেকে অনেক পর্যটক এখানে এসে ভিড় জমান। বছরের অন্য সময়ের চেয়ে শীতকালে সুলতান গিয়াসউদ্দিন আযম শাহের সমাধিতে দর্শনার্থী বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। গিয়াস উদ্দিন আযম শাহের বাবা ছিলেন সুলতান সিকান্দার শাহ। সুলতান সিকান্দার শাহের প্রথম পুত্র ছিলেন সুলতান গিয়াস উদ্দিন আযম শাহ। সুলতান সিকান্দার শাহের ক্ষমতা দখলের জন্য গিয়াস উদ্দিন আযমের সৎমা ও সৎভাইদের ষড়যন্ত্রের শিকারও হন গিয়াস উদ্দিন আযম শাহ। এক সময় গিয়াস উদ্দিন আযম শাহ খবর পেলেন, তাকে বন্দি করে তার এক সৎভাই পরবর্তী সুলতান হতে যাচ্ছেন।

এ অবস্থায় এক শুভাকাঙ্ক্ষীর পরামর্শে হরিণ শিকারের অজুহাতে গিয়াস উদ্দিন আযম শাহ চলে আসেন সোনারগাঁয়ের শাহ চিল্লাহপুরে। এখানে তিনি সৈন্য সংগ্রহ করে বাবা সিকান্দার শাহের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে বাবাকে হত্যার পর সিংহাসন দখল করেন। ২২ বছর তিনি রাজত্ব করেন। তিনি ন্যায় বিচারক ও সুশাসক হিসেবে সুনাম অর্জন করেন। গিয়াস উদ্দিন আযম শাহের সময় বস্ত্রশিল্প, বাণিজ্য ও শিল্পকলার ক্ষেত্রে বাংলায় ব্যাপক উন্নয়ন ঘটে। গিয়াস উদ্দিন আযম শাহের শাসনামলে নিজ নামে মুদ্রাও চালু হয়। এর মধ্যে ১৪১১ সনে হিন্দু রাজা গণেশের ষড়যন্ত্রে তার পাঠানো গুপ্তচর তাকে হত্যা করে।

মৃত্যুর পর গিয়াস উদ্দিন আযম শাহের লাশ সমাহিত করা হয় সোনারগাঁয়ের শাহ চিল্লাপুরে। গিয়াস উদ্দিন আযম শাহের কবরটি কালো পাথরে তৈরি। মাঝের অংশে কারুকাজ করা রয়েছে। স্থানীয়ভাবে গিয়াস উদ্দিন আযম শাহের সমাধিকে ‘কালো পীরের মাজার’ হিসেবে অনেকে চেনেন। সমাধিটি কষ্টিপাথরে নির্মিত। এটি ১০ ফুট লম্বা, ৫ ফুট চওড়া ও ৩ ফুট উঁচু। সমাধির ৩ ফুট উচ্চতার খিলানের ওপর আরও দেড় ফুট উচ্চতায় ৭ ফুট লম্বা অর্ধবৃত্তাকার কষ্টিপাথরে ঢাকা। মূল সমাধির কার্নিশে রয়েছে সূক্ষ্ম কারুকাজ খচিত অলঙ্কার।

আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে বা এই বিষয়ে কোন কিছু জানানোর থাকলে নীচের মন্তব্য বিভাগে লিখতে ভুলবেন না । আপনার ভ্রমণ পিয়াশি বন্ধুদের সাথে নিবন্ধটি শেয়ার করে নিন যাতে তারাও জানতে পারে ।