হিমছড়ি | চট্টগ্রাম

0
388

সংক্ষিপ্ত বিবরনঃ

হিমছড়ি( himchori chittagong ) বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলায় অবস্থিত একটি পর্যটনস্থল। কক্সবাজার থেকে এটি ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। হিমছড়ির একপাশে রয়েছে সুবিস্তৃত সমুদ্র সৈকত আর অন্যপাশে রয়েছে সবুজ পাহাড়ের সারি। হিমছড়িতে একটি জলপ্রপাত রয়েছে যা এখানকার প্রধান পর্যটন আকর্ষণ। যদিও বর্ষার সময় ছাড়া অন্যান্য অনেক সময়ই ঝরণায় পানি থাকে না বা শুষ্ক থাকে। তবুও প্রাকৃতিক পরিবেশ হিসেবে হিমছড়ি, পর্যটকদের অনন্য এক আকর্ষণ।

কিভাবে যাবোঃ
চট্রগ্রাম বিভাগের এগারোটি জেলার অন্যতম বঙ্গোপসাগরের তীরে অবস্থিত কক্সবাজার জেলার উত্তরে রয়েছে চট্রগ্রাম জেলা, পূর্বে মায়ানমার ও বান্দরবান, এবং দক্ষিন ও পশ্চিমে রয়েছে বঙ্গোপসাগর।ঢাকা ও কক্সবাজারের মধ্যে সড়কপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। তাই বাসে করে আপনি ঢাকা থেকে কক্সবাজারে পৌছাতে পারবেন। আপনার সুবিধার্থে ঢাকা ও কক্সবাজারের মধ্যে চলাচলকারী বাসগুলো সম্পর্কে নিম্নে তথ্য প্রদান করা হলোঃ

১। গ্রিন লাইন, যোগাযোগঃ ০৩৪১-৬২৫৩৩
২। হানিফ এন্টারপ্রাইজ, যোগাযোগঃ ০৩৪১-৬৪১৭০
৩। শ্যামলী পরিবহন, যোগাযোগঃ ০৪৪৩৪৪৯৯৩৪
৪। সোহাগ পরিবহন, যোগাযোগঃ ০৩৪১-৬৪৩৬১
৫। এস আলম পরিবহন, যোগাযোগঃ ০৩৪১-৬২৯০২
৬। শাহ বাহাদুর, যোগাযোগঃ ০১৬৭৮০৬৪৮৮০
৭। সেইণ্ট মারটিন্স, যোগাযোগঃ ০১৭২৬৫২০০৯৫

কোথায় থাকবোঃ
কক্সবাজারে থাকার ব্যবস্থা খুবই উন্নত। এখানে পাঁচ তারকা মানের বেশ কয়েকটি হোটেলসহ সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন মানের প্রচুর হোটেল, মোটেল ও গেস্ট হাউজ রয়েছে।

কী খাবেনঃ

আমরা জানি প্রতিটি হোটেলেই নিজস্ব রেস্টুরেন্ট থাকে, যেখানে বরাবরই খাবারের দাম তুলনামূলক বেশি। অধিকাংশ হোটেলে সকালের নাস্তা রুমের ভাড়ার সাথে যুক্ত অর্থাৎ কমপ্লিমেন্টারি হিসেবে থাকে। সেক্ষেত্রে লাঞ্চ ও ডিনার বাইরে কোথাও করতে চাইলে কোনো চিন্তা নেই কারণ এখানে রয়েছে পর্যাপ্ত সংখ্যক রেস্টুরেন্টে। কলাতলী রোডে অবস্থিত রেস্টরেন্টের সংখ্যা বেশি। ঝাউবন, লাইভ ফিস, কয়লা, পৌশী, স্টোন ফরেস্ট, তারাঙ্গা, কাঁশবন, পানকৌড়ী, নিরিবিলি অর্কিড ক্লাব অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট, মারমেইড ক্যাফে এবং ডিভাইন সি স্টোন ক্যাফে অন্যতম। উল্লেখিত খাবার জায়গাগুলিতে ভাতের সাথে বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ, মাংস, ভর্তা-ভাজি, শুটকি মাছ থেকে শুরু করে সব ধরনের খাবার পাওয়া যায়। খাবার অর্ডার দেওয়ার আগে দাম জেনে নেওয়া জরুরি। খাবার পাশাপাশি সমুদ্রের সৌন্দর্য ও বিকেলের সূর্যাস্ত উপভোগ করতে কলাতলী বিচে সমুদ্রের একেবারে সাথে বেশকিছু রেস্তোরাঁ আছে।

যা যা দেখবোঃ
হিমছড়ির একপাশে রয়েছে সুবিস্তৃত সমুদ্র সৈকত আর অন্যপাশে রয়েছে সবুজ পাহাড়ের সারি। হিমছড়িতে একটি জলপ্রপাত রয়েছে যা এখানকার প্রধান পর্যটন আকর্ষণ। যদিও বর্ষার সময় ছাড়া অন্যান্য অনেক সময়ই ঝরণায় পানি থাকে না বা শুষ্ক থাকে। তবুও প্রাকৃতিক পরিবেশ হিসেবে হিমছড়ি, পর্যটকদের অনন্য এক আকর্ষণ। এখানে সমুদ্রের পাশে ড্রাইভ করা যায়।

আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে বা এই বিষয়ে কোন কিছু জানানোর থাকলে নীচের মন্তব্য বিভাগে লিখতে ভুলবেন না । আপনার ভ্রমণ পিয়াশি বন্ধুদের সাথে নিবন্ধটি শেয়ার করে নিন যাতে তারাও জানতে পারে ।