বঙ্গবন্ধু আইল্যান্ড | খুলনা

0
346

সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ

সুন্দরবনের হিরণ পয়েন্ট, দুবলার চর ও লোনাপানির মাছের খনির মাঝামাঝি বঙ্গোপসাগরের গভীরে জেগে ওঠা বিশাল ভূখণ্ড ‘বঙ্গবন্ধু আইল্যান্ড(  bangabondu island khulna )’। মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২০ নটিক্যাল মাইল ও বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন উপকূল দুবলার চর-হিরন পয়েন্ট থেকে ১০ নটিক্যাল মাইল দূরে সাগর গভীরে এই দ্বীপটি বাংলাদেশের আরেক ‘সেন্ট মার্টিন’। বঙ্গবন্ধু আইল্যান্ডের চারপাশে সমুদ্রের স্বচ্ছ নীল জল, নানা প্রজাতির পাখির কিচিরমিচির শব্দ, সৈকতে আছড়ে পড়া সমুদ্রের ঢেউ, বাতাসের শোঁ শোঁ শব্দ মনকে নিয়ে যায় প্রকৃতির গভীরে। মাইলের পর মাইল দীর্ঘ এই সৈকতে বসে দেখা মেলে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের।

প্রায় ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকত জুড়ে ঘুরে ফিরছে কচ্ছপ, হাজারো লাল রঙের ছোট শিলা কাঁকড়া। স্বচ্ছ নীল জলে ঘুরছে বিভিন্ন প্রজাতির ছোট-বড় সামুদ্রিক মাছ। কখনো কখনো দেখা মিলছে ডলফিনের। এখানকার নীল জলে নেই কোনো হাঙরের আনাগোনা। সৈকতে আছড়ে পড়া ঢেউয়ে শাপরিংয়ের আদর্শ জায়গা। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি এই বঙ্গবন্ধু আইল্যান্ড যে কোনো দেশি-বিদেশি ইকোট্যুরিস্টের জন্য আর্কষণীয় স্থান। তবে বাংলাদেশের পর্যটনশিল্পের এ উজ্জ্বল সম্ভাবনাময় স্থান বঙ্গবন্ধু আইল্যান্ডে প্রচার-প্রচারণার অভাবে নেই কোনো দেশি-বিদেশি ইকোট্যুরিস্টের আনাগোনা। রবিবার সরেজমিন বঙ্গবন্ধু আইল্যান্ড ঘুরে দেখা গেছে এমনই চিত্র। দেশের সমুদ্রবিজয়ের পর ব্লু-ইকোনমির কারণে এ দ্বীপটি শুধু প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমিই নয়, জলদস্যু দমন, চোরাচালান প্রতিরোধ ও সমুদ্র-নিরাপত্তায় এটি রাখবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। এ লক্ষ্য সামনে রেখে কোস্টগার্ড এই দ্বীপে করতে যাচ্ছে এইটি শক্তিশালী বেজ ক্যাম্প। বঙ্গবন্ধু আইল্যান্ডে কোস্টগার্ডের বেজ ক্যাম্প নির্মাণ হলে ইকোট্যুরিস্টরা (প্রতিবেশ পর্যটক) নির্বিঘ্নে ঘুরে দেখতে পারবেন বঙ্গবন্ধু আইল্যান্ডের প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্য।

কিভাবে যাবেনঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর থেকে জাহাজে প্রায় ৮/১০ ঘন্টা লাগে এই দ্বীপে আর হিরণপয়েন্ট থেকে ২-৩ ঘন্টা। ঢাকা হতে শ্যামনগর বাস আছে (একে ট্রাভেলস, এসপি গোল্ডেন লাইন)। শ্যামনগর থেকে নওয়াবেকী বাজার রিজার্ভ ইঞ্জিন ভ্যানে ২০০-৩০০ টাকা ভাড়া লাগে (ছয়-সাতজন বসতে পারে)। মোটরসাইকেলে জনপ্রতি ৮০-১০০ টাকা। নওয়াবেকী থেকে ট্রলারে পুটনি দ্বীপ। নওয়াবেকী থেকে বুড়িগোয়ালিনী বন অফিস দেড় ঘণ্টার পথ। সেখান থেকে বনে ঢোকার অনুমতি নিতে হয়। অথবা শ্যামনগর থেকে অটোতে মুন্সিগঞ্জ রেঞ্জ অফিসে গিয়ে বন বিভাগের অনুমতি নিতে হবে। সাতক্ষীরা থেকে ১০ কেবিনের জাহাজ বা মাঝিদের ট্রলারে যেতে পারবেন,,জাহাজ গুলো সব মিলিয়ে ১ লাখ টাকা নিবে। ট্রলার রিজার্ভ করে যেতে হবে।মাঝারি ট্রলার ভাড়া ৮-১০ হাজার নিবে। ট্রলারে ১২-১৪ জন যাওয়া যাবে।

থাকা ও খাওয়াঃ
এখানে থাকার কোন সুবিধা নেই এবং খাবারও সাথে করে নিয়ে যেতে হয়

আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে বা এই বিষয়ে কোন কিছু জানানোর থাকলে নীচের মন্তব্য বিভাগে লিখতে ভুলবেন না । আপনার ভ্রমণ পিয়াশি বন্ধুদের সাথে নিবন্ধটি শেয়ার করে নিন যাতে তারাও জানতে পারে ।