কবি জসীম উদ্দীন বাসভবন

0
432

সংক্ষিপ্ত বিবরনঃ

আমাদের লোকসংস্কৃতির উপর কবিতা রচনার জন্য কবি জসীমউদ্দিন( House of Poet Jasim Uddin ) খ্যাতি অর্জন করেন। বাংলাদেশে তিনিই একমাত্র কবি যার কবিতায় এদেশের গ্রামের সৌন্দর্য এবং গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রা নিখুতভাবে উঠে এসেছে।

আমাদের সকলের প্রিয় এই কবির বাসভবন কুমার নদীর তীরে অবস্থিত। চমৎকার সৌন্দর্য এবং তার চারপাশের মনোরম পরিবেশের কারনে এই নদীটির আলাদা খ্যাতি আছে। বাসার অভ্যন্তরে পারিবারিক কবরস্থানে কবির কবর রয়েছে। কবি জসীমউদ্দিনের বাসায় ঢুকতে আপনাকে পাঁচ টাকা প্রবেশমূল্য দিতে হবে। এখানে আপনি কবির ব্যবহার করা বিভিন্ন জিনিসপত্র দেখতে পাবেন যেমনঃ ক্যামেরা, প্লেট, চেয়ার, খাট, কিছু ছবি ইত্যাদি।

এছাড়া এখানে বিভিন্ন ভাষণ, কবিতা এবং গল্প থেকে কবির নিজস্ব উক্তি দেখতে পাবেন। এসব উক্তির কিছু কিছু আমরা আমাদের পাঠ্য পুস্তকে পড়ে এসেছি তাই এসব পড়ে আপনি আপনার ছেলেবেলায় হারিয়ে যাবেন। কবির বাসার বাইরে একটি চমৎকার পিকনিক স্পট রয়েছে যেখানে বিকালবেলা মানুষজনের সমাগম ঘটে। এখানকার নদী এবং ধানক্ষেত ঘেরা পরিবেশে সূর্যাস্তের অপরূপ দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন।

এখানে নদীর পাশেই অবস্থিত বিশাল মাঠটিতে স্থানীয়রা খেলাধুলা করে থাকে। ছোট বাচ্চাদের ছোটাছুটি দেখে হয়তো আপনি শৈশবে হারিয়ে যাবেন। দর্শনার্থীদের বসার জন্য মাঠের পাশে পৃথক শেডের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিবছর জানুয়ারি মাসের ১ তারিখ থেকে ১৮ তারিখ এই মাঠে কবির নামে একটি মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে। তবে স্থানীয়দের অনুরোধে মেলার মেয়াদ দুইদিন বৃদ্ধি করা হয়ে থাকে।

কিভাবে যাবেনঃ

ঢাকার গাবতলি বাসস্ট্যান্ড থেকে বিভিন্ন বাস সার্ভিস ফরিদপুরের উদ্দেশ্যে চলাচল করে থাকে। এসব বাস সার্ভিসের মধ্যে রয়েছেঃ আজমেরি এণ্টারপ্রাইজ, আনন্দ পরিবহন, সূর্যমুখী পরিবহন ইত্যাদি। এসব বাসে ভ্রমন করতে কমবেশি ১৪০/- টাকা থেকে ১৫০/- টাকা পর্যন্ত ভাড়া দিতে হবে আপনাকে। তবে আজমেরি এণ্টারপ্রাইজে ভ্রমন করলে আপনাকে লঞ্চে করে পদ্মানদী পার হতে হবে যার মানে হল নদীর ওপারে গিয়ে আপনাকে বাস বদলাতে হবে।

কবির গ্রামের নাম আম্বিকাপুর। গ্রামটি মূল শহর থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। তাই ফরিদপুর শহরে পৌঁছে আপনি যেকোন ধরনের বাহনে চড়ে এখানে পৌছাতে পারবেন। যেহেতু সবাই এই স্থানটিকে ভালভাবে চেনে তাই আপনার খুঁজে পেতে খুব একটা বেগ পেতে হবেনা।

আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে বা এই বিষয়ে কোন কিছু জানানোর থাকলে নীচের মন্তব্য বিভাগে লিখতে ভুলবেন না । আপনার ভ্রমণ পিয়াশি বন্ধুদের সাথে নিবন্ধটি শেয়ার করে নিন যাতে তারাও জানতে পারে ।