খান মোহাম্মদ মৃধা মসজিদ | ঢাকা

সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ

ঐতিহাসিক লালবাগ কেল্লার অদূরে পুরান ঢাকার আতশখানায় প্রায় সোয়া তিনশো বছর বয়সী খান মোহাম্মদ মৃধা মসজিদ( khan mohammad mridha mosque dhaka ) ঢাকার অপরাপর মুঘল মসজিদের সমান্তরালে ১৭০৫ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিল। ইতিহাসবিদ মুনতাসির মামুনের তথ্যমতে, নায়েবে নাজিম ফররুখ শিয়রের আমলে ঢাকার কাজী খান মোহাম্মদ এবাদউল্লাহর নির্দেশে খান মোহাম্মদ মৃধা এই মসজিদ নির্মাণ করেন। দোতলা এ মসজিদের সাথে ঢাকার অন্যসব মুঘল আমলের মসজিদের রয়েছে বেশ বৈসাদৃশ্য।প্রাচীরবেষ্টিত মসজিদ আঙিনার সাথে লালবাগ কেল্লার গাম্ভীর্যের স্বরূপ ফুটে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে।

সরু প্রবেশপথ ডিঙিয়ে ডানপাশেই চোখে পড়বে দৃষ্টিনন্দন বাগান, বাম পাশে পোড়ামাটির আদলে দাঁড়িয়ে থাকা লাল বর্ণের স্থাপনাই খান মোহাম্মদ মৃধা মসজিদ। ১৭ ফুট প্ল্যাটফর্মের উপর প্রতিষ্ঠিত এ মসজিদের নিচের তলায় লালবাগ কেল্লার কর্মচারীদের থাকার স্থান করে দেয়া হয়েছে। ওপর তলায়ই নামাজ পড়া হয়। মসজিদটির উত্তর পূর্ব কোণে রয়েছে একটি ছোটখাটো মাদ্রাসা। ডানপাশের বাগানের পাশেই রয়েছে একটি পরিত্যক্ত কুয়া। আগে এই কুয়া থেকেই মসজিদের পানি সরবরাহ করা হত। পুরান ঢাকার এ প্রাচীন মসজিদকে ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে রহস্য আর আধিভৌতিক অন্তর্জাল। লোকশ্রুতি বলছে, এ মসজিদের দক্ষিণ অংশে জ্বিনের আনাগোনা। প্রায়ই মুসুল্লিদের নামাজে বিঘ্ন ঘটায় তারা, এমনও হয়েছে মসজিদের দক্ষিণ অংশে নামাজ পড়া কাউকে ঠেলে উত্তর দিকেও নিয়ে গেছে কেউ!

কিভাবে যাবেনঃ
পুরনো ঢাকার লালবাগে ঐতিহাসিক এই মসজিদটি অবস্থিত। ঢাকার গাবতলী থেকে বিহঙ্গ পরিবহনে আজিমপুর বাসষ্ট্যান্ডে নেমে ১০ টাকা রিক্সা ভাড়া দিয়ে লালবাগে যাওয়া যায়। দর্শনাথী ইচ্ছা করলে পায়ে হেঁটেও লালবাগে যেতে পারেন। ঢাকার সদরঘাট লঞ্চটার্মিনাল থেকে বাবু বাজার হয়ে লালবাগে যাওয়া যায়।

আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে বা এই বিষয়ে কোন কিছু জানানোর থাকলে নীচের মন্তব্য বিভাগে লিখতে ভুলবেন না । আপনার ভ্রমণ পিয়াশি বন্ধুদের সাথে নিবন্ধটি শেয়ার করে নিন যাতে তারাও জানতে পারে ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *