লাউয়াছড়া বন ভ্রমণের সকল তথ্য

0
392

সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান( lauachara forest  )বাংলাদেশে অবশিষ্ট চিরহরিৎ বনের একটি উল্লেখযোগ্য নমুনা। এটি একটি সংরক্ষিত বনাঞ্চল। বাংলাদেশের ৭টি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ও ১০টি জাতীয় উদ্যানের মধ্যে এটি অন্যতম। মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত ১২৫০ হেক্টর আয়তনের বন জীববৈচিত্র্যে ভরপুর। বাংলাদেশ সরকার ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে এই বনকে ‘জাতীয় উদ্যান’ হিসেবে ঘোষণা করে। বিলুপ্তপ্রায় উল্লুকের জন্য এ বন বিখ্যাত। উল্লূক ছাড়াও এখানে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির দুর্লভ জীবজন্তু, কীটপতঙ্গ এবং উদ্ভিদ।নিরক্ষীয় অঞ্চলের চিরহরিৎ বর্ষাবন বা রেইন ফরেষ্টের মতো এখানে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। সূর্যের আলোর জন্য প্রতিযোগিতা করে এ বনের গাছপালা খুব উঁচু হয়ে থাকে, এবং অনেক ওপরে ডালপালা ছড়িয়ে চাঁদোয়ার মত সৃষ্টি করে। এই বন এতই ঘন যে মাটিতে সূর্যের আলো পড়েনা বললেই চলে।

কিভাবে যাবেনঃ

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানটি সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত। ঢাকা থেকে এর দূরত্ব প্রায় ১৬০ কিলোমিটার, সিলেট শহর থেকে দূরত্ব হবে প্রায় ৬০ কিলোমিটার। তবে যেতে হলে সবথেকে ভাল মাধ্যম হতে পারে ট্রেন। কমলাপুর স্টেশন থেকে সিলেটগামী ট্রেনে উঠে নামবেন শ্রীমঙ্গলে, সময় লাগবে প্রায় ৫ থেকে ৬ ঘন্টা। শ্রীমঙ্গল শহর থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটারের দূরত্বে এই উদ্যান। সিএনজি অথবা রিকশাতে করে খুব কম সময়ে পৌঁছে যেতে পারবেন। আর বাসে যেতে চাইলে ঢাকা থেকে মৌলভীবাজারগামী যেকোন বাসে উঠে পড়লেই হবে, মৌলভীবাজার শহর থেকেও যেতে পারবেন উদ্যানে সি এন জি অথবা লোকাল বাসে চড়ে।

কোথায় থাকবেনঃ
যেহেতু শহরের কাছেই, এক দিনের মধ্যে জঙ্গল দেখে চলে আসতে পারেন, শ্রীমঙ্গল অথবা মৌলভীবাজারেই সস্তায় থাকার জন্য হোটেল পাবেন, ভাড়া রুমপ্রতি পড়বে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা, আর আগে থেকে বন বিভাগের লাউয়াছড়া বিট অফিসে যোগাযোগ করে যেতে পারলে থাকতে পারবেন জঙ্গলের ভিতরে ফরেস্ট রেস্ট হাউসে। এখানে ভাড়া পড়বে বেশী, রাতপ্রতি ১০০০ টাকা। তবে রাতে জঙ্গলে থাকার রোমাঞ্চ উপভোগ করতে এখানে থাকা যেতেই পারে।

যা যা দেখবেনঃ
এখানে আপনি নানা প্রজাতির পাখি ছাড়াও অন্যান্য বন্যপ্রাণীদেরও দেখতে পেতে পারেন যেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ স্লো লরিস, দানাদার লেজওয়ালা ম্যাকাও, রেসাস ম্যাকাও, আসামিজ ম্যাকাও, ক্যাপড লেঙ্গুর, ফেয়ারস বানর, গিবন, শিয়াল, বন্য কুকুর, ভাল্লুক, বাঘ, চিতা বাঘ, মেছো বাঘ, বন্য শূকর, সাম্বার হরিণ, কাঠবিড়ালি ইত্যাদি।

আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে বা এই বিষয়ে কোন কিছু জানানোর থাকলে নীচের মন্তব্য বিভাগে লিখতে ভুলবেন না । আপনার ভ্রমণ পিয়াশি বন্ধুদের সাথে নিবন্ধটি শেয়ার করে নিন যাতে তারাও জানতে পারে ।