সংক্ষিপ্ত বিবরনঃ
মঠ( Lohagor Moth ), যা কিনা জমিদারদের প্রভাব-প্রতাপের নিদর্শন হিসেবে নির্মিত হয়েছিল! বলছি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের লোহাগড় মঠের কথা। গ্রামের নামটিও লোহাগড়। এই নামকরণ হয়েছিল জমিদারের দুই পূত্র ‘লোহ’ ও ‘গহড়’ এর নামানুসারে। অত্যাচারী এই জমিদার বংশের নানান কাজের কথা এখনো শোনা যায় লোকের মুখে মুখে। একবার তো নাকি বৃটিশ কর্তা ব্যক্তিদের আগমণের সময় তাদেরকে নিজেদের শানশওকত দেখাতে নদীর তীর থেকে জমিদার বাড়ি পর্যন্ত সিকি এবং আধুলি দিয়ে রাস্তা তৈরি করা হয়েছিল।
মঠ সম্পর্কে কথিত আছে, মঠের শীর্ষে ছিল একটি স্বর্ণদন্ড। সেটি চুরির অপচেষ্টায় অনেকে আহত-নিহত হলেও দীর্ঘদিন দন্ডটি মঠের চূড়ায় এই জমিদার বংশের গৌরবের চিহ্ন হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। পরবর্তীতে প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে এটি বিচ্ছিন্ন হয়ে নদীতে পড়ে যায়।
বাংলার শেষ নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতনের কিছু আগে তার বিশ্বাসঘাতক কর্মচারী রাজবল্লভের ছেলে কৃষ্ণবল্লভ খাজনার টাকাপয়সা আত্নসাত করে পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছিল এই জমিদারদের কাছেই।
ডাকাতিয়ার কূলে নির্মিত মঠ পাঁচটি এখন আর আগের মতো নেই। কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে দু’টি।
কিভাবে যাবেনঃ
ডাকাতিয়া নদীর কুলে লোহাগড়া গ্রামে এই মঠটির ধ্বংসাবশেষ এখনও বিদ্যমান। ফরিদগঞ্জ উপজেলার চান্দ্রা বাজার থেকে সড়ক পথে দেড় কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ‘‘লোহাগড়’’ গ্রাম। জেলা সদর থেকে বাস/ সিএনজি/ মোটর সাইকেল যোগে লোহাগড় যাওয়া যায়।