সংক্ষিপ্ত বিবরনঃ
চাঁদপুর বড় স্টেশন( Boro Station )চাঁদপুর জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। সে প্রচীন আমল থেকেই এই জায়গাকে ঘিরে আজকের এই চাঁদপুর শহর গড়ে উঠেছে। অনেক আগের থেকেই এই জেলা ঐতিহ্যগত ভাবে কৃষ্টি ও কালচারের সুখ্যাতি ধরে রেখেছে। মুক্তিযুদ্বের সময় চাঁদপুর ২ নং সেক্টরের অধিনে ছিলো। এই বড় র্স্টেশন মুক্তিযুদ্বের অনেক তাজা স্মিৃতি বুকে ধারন করে রেখেছে। যার ফলে এখানে রক্তধার ভাস্কর্য নির্মান করা হয়েছে।
ভ্রমন পিপাসুদের কাছে চাঁদপুরের বড় স্টেশন ব্যাপক আকর্ষনীয় হওয়ার কারন হল এই বড় স্টেশনেই রয়েছে তিন নদীর মোহনা। যেখানে এসে মিলিত হয়েছে পদ্মা-মেঘনা-ডাকাতিয়া নদী। যা বিখ্যাত রুপালী ইলিশ প্রজননের উৎকৃষ্টতম জায়গা । এজন্যই চাঁদপুরকে ইলিশের বাড়ি হিসাবে উপাধি দেওয়া হয়েছে। যখন মধ্য গগনের সূর্য পশ্চিমে হেলে পড়তে শুরু করে তখনি বিভিন্ন বয়সের মানুষ এখানে এসে ভীড় জমাতে শুরু করে। বিকেলটা যেনো এখানে মানুষে মানুষে মিলন মেলায় পরিনত হয়।
দেশী পর্যটকদের পাশাপাশি মাঝে মাঝে বিদেশী পর্যটকদেরও দেখা মিলে। এখানে সূর্যাস্তটা এতটাই রোমান্টিক যে যেকেউই এর প্রেমে পড়ে যাবে। আপনি এখানে এসেই দেখবেন যে দোকানিরা হরেক রকম জিনিসের পসরা সাজিয়ে বসে আছে। রয়েছে নাগরদোলার ব্যবস্থা। পাশেই রয়েছে চটপটি-ফুচকার ঘর। আমগাছ ও বটগাছের শীতল ছোঁয়ায় গাছতলায় বসে বসে উপভোগ করা যায় নদীর অভুতপূর্ব সুন্দর্য। নদীতে ঘুরতে চাইলে তার জন্য রয়েছে ইঞ্জিনচালিত নৌকার ব্যবস্থা । স্পীড বোটেও ঘুরে বেড়ানোর ব্যবস্থা রয়েছে। চাইলে এখান থেকে ইঞ্জিনচালিত নৌকাযোগে নদীর ওপারের চরে যেতে পারেন। চরগুলো যেনো নদীর বুকে ভাসমান কোন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যর লীলাভূমি। কিছু সময়ের জন্য মনে হবে যেন কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে আছেন। তাই এখানে আসলে বালু চরে যেতে ভুলবেন না। চাঁদপুর আসার জন্য সড়কপথ-নৌপথ-ট্রেনপথের ব্যবস্থা রয়েছে ।
কিভাবে যাবেনঃ
পদ্মা এক্সক্লিসিভ(সায়েদাবাদ) ভাড়াঃ ২৭০ টাকা বাস সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত প্রতি ৩০ মিনিট পর পর ছেড়ে যায়। লঞ্চঃ ঢাকা সদরঘাট থেকে সকাল ৭.২০ মিনিট থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত প্রতি ঘন্টায় লঞ্চ চাঁদপুরের উদ্দ্যশ্যে ছেড়ে যায়। ভাড়াঃ ডেকঃ ১০০ টাকা চেয়ারঃ ১৫০ টাকা (নন-এসি) চেয়ারঃ ২৫০-২৮০ টাকা (এসি) কেবিন (সিঙ্গেল): ৪০০-৫০০ টাকা চাঁদপুর ঘাট থেকে অটোতে ১০/১৫ টাকায় বড় স্টেশন, তিন নদীর মোহনা যাওয়া যাবে।
কোথায় থাকবেনঃ
চাঁদপুর শহরে থাকার জন্য মোটামোটি মানের কিছু হোটেল রয়েছে। ভাই ভাই আবাসিক হোটেল, তালতলা বাসস্টেশন হোটেল সকিনা, নতুনবাজার ভাড়াঃ হোটেলভেদে ৪০০-৬০০ টাকা