মায়াবিনী লেক | খাগড়াছড়ি

সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ

( mayabini lake khagrachari )পাহাড়রাণী খাগড়াছড়িতে রয়েছে আকাশ-পাহাড়ের মিতালী, উপজাতীয় সংস্কৃতির বৈচিত্র্যটা, আর সবুজের অপার সমারোহ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে আর রহস্যময়তায় ঘেরা খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা প্রকৃতপ্রেমী ও ভ্রমণবিলাসীদের জন্য এক আদর্শ স্থান।প্রকৃতির অনন্য সৌন্দর্য ছড়িয়ে আছে এ জেলার আনাচে-কানাচে। এ জেলার বৈচিত্র্যময় জীবনধারা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সবাইকে করে বিমোহিত। আর এখানেই রয়েছে পাহাড়ের প্রাকৃতিক রূপে অপূর্ব সৌন্দর্যের একটি পর্যটন স্পট ‘মায়াবিনী লেক’।

পাহাড় ও সবুজের সমারোহে চারদিকে বিস্তৃত সবুজ অরণ্য। পাহাড়ের মাঝে লেক। পাহাড়ের উঁচু-নিচু ভাঁজে ভাঁজে বাঁধ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে লেকটি। স্বর্গময় লেকের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে চলছে হাঁস। লেকের সুনীল স্বচ্ছ জলে খেলা করছে মাছ। এমনই মায়াময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দেখা মিলবে মায়াবিনী লেক এ।

খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার লতিবান ইউনিয়নের কংচাইরী পাড়ায় অবস্থিত বিনোদন কেন্দ্র মায়াবিনী লেক। স্থানীয় ‘একতা সমবায় সমিতি’র হাত ধরেই এখানে তৈরি হয়েছে এই লেকটি। স্থানীয়রা কমিউনিটি ট্যুরিজমের মাধ্যমে লেকটি পরিচালনা করে আসছে। পাহাড়ের উঁচু নিচু ৪০ একর জমির ওপর ১৫ একর লেকে দ্বীপ বেষ্টিত মায়াবিনী লেক সৌন্দর্যের মায়া ছড়াচ্ছে পর্যটকদের মাঝে।

পাহাড়ের নৈসর্গিক সৌন্দর্য, বিশাল আকাশ আর লেকের স্বচ্ছ শান্ত জল সহজেই আপনার মনকে নির্মল আনন্দে মাতিয়ে তুলবে। লেকের মাঝখানে ছোট্ট সুন্দর দ্বীপটিতে পর্যটকদের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে একটি বিশ্রামাগার। সেখান থেকে পাহাড়ে যাওয়ার জন্য রয়েছে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি বাঁশের সাঁকো। হ্রদে ঘোরার জন্য রয়েছে চারটি নৌকার ব্যবস্থা। পড়ন্ত বিকেলে লেকে নৌকায় করে ঘুরে চারপাশের মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক পরিবেশ আপনার মনকে চঞ্চল করে তুলবে। এ সময় ঝাঁকে ঝাঁকে হাঁসের পাশাপাশি দেখতে পাবেন সাদা বক। বড় বড় মাছের লাফালাফি মন কেড়ে নেবে।

কিভাবে যাবেনঃ
ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি বাস সার্ভিস রয়েছে খাগড়াছড়িতে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে যেকোনো বাসে সরাসরি খাগড়াছড়ি শহরে নামতে হবে। খাগড়াছড়ি থেকে পানছড়িগামী সিএনজি অথবা মাহিন্দ্র পরিবহনে ভাইবোনছড়া বাজারে নেমে পশ্চিম দিকে পাঁচ মিনিটের পথ শেষেই স্বপ্নের ‘মায়াবিনী লেক’। এছাড়াও ব্যক্তিগত গাড়িতে করেও যেতে পারবেন।

আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে বা এই বিষয়ে কোন কিছু জানানোর থাকলে নীচের মন্তব্য বিভাগে লিখতে ভুলবেন না । আপনার ভ্রমণ পিয়াশি বন্ধুদের সাথে নিবন্ধটি শেয়ার করে নিন যাতে তারাও জানতে পারে ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *