hatangkucho mataituari

হতংকুচো ও মাতাই তুয়ারি |খাগড়াছড়ি

সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ

মাতাই তুয়ারী( hatangkucho mataituari ) ঝরনার নিচে রয়েছে একটা বড় কুম বা বেশ গভীর একটা পুকুর। এই কুমের পানি প্রচণ্ড রকম ঠান্ডা এবং স্বচ্ছ যেটা আশেপাশের পাহাড়ি গাছের কারণে নীল দেখায়। পানি সুপেয় এবং কোনো বড় প্রাণী চোখে পড়েনি। হতংকুচো হলো এই মাতাই তুয়ারী থেকে ফেরার গিরিপথ। দুই পাহাড়ের মাঝ দিয়ে বড় বড় পাথর আর ঠান্ডা পানির সংমিশ্রণে এটাকে ভয়ংকর একইসঙ্গে অনিন্দ্য সুন্দর করে তুলেছে।

প্রায় অপরিচিত একটি ট্রেইল বা ঝিরিপথ, কিন্তু যেমন দুর্গম তেমনি অসাধারণ। এই ট্রেইল খাগড়াছড়ি জেলার নুনছড়ি এলাকায় অবস্থিত। পথ হারানোর ব্যাপক সম্ভাবনা এখানে হাতছানি দেয়, যে কোন সময় অসাবধানতা ডেকে আনতে পারে বড় দুর্ঘটনা, পুরো পথ যেন এ্যাডভেঞ্চারে ভরপুর। আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ এই হতংকুচো ও মাতাই তুয়ারী সম্পর্কে জানেই না।

এখানে গেলে আপনি দেখতে পারবেন মানুষের সংস্পর্শ বহির্ভূত নির্জন মায়াময় প্রকৃতি রুপ, শুনতে পারবেন নিস্তব্ধতার ভাষা, অনুভব করতে পারবেন বিধাতার অপরিমেয় সৌন্দর্য এই এলাকাটা মূলত ত্রিপুরা অধ্যুষিত, তাদের ভাষায় মাতাই মানে হল দেবতা আর তুয়ারী মানে ঝর্ণা তার মানে দেবতার ঝর্ণা। মাতাই তুয়ারীতে এখানকার স্থানীয়রা পূজা দেয়, এটাকে তারা আশীর্বাদ হিসেবে বিবেচনা করে, পাহাড়ের ঢালে যে ছোট ছোট পাড়া আছে তাদের জীবন ঐ মাতাই তুয়ারী থেকে বয়ে চলা ঝিরির উপর নির্ভরশীল।

এই মাতাই তুয়ারী ঝর্ণার নিচে রয়েছে একটা বড় কূপ বা বেশ গভীর একটা পুকুর। এই কূপের পানি প্রচণ্ড ঠাণ্ডা এবং স্বচ্ছ যা আশেপাশের পাহাড়ি গাছের প্রতিফলনে নীল দেখায়, এর পানি সুপেয় এবং কোন বড় প্রাণী চোখে পড়েনা।

হতংকুচো হল এই মাতাই তুয়ারী থেকে ফেরার গিরিপথ। দুই পাহাড়ের মাঝ দিয়ে বড় বড় পাথর আর ঠাণ্ডা পানির সংমিশ্রণে এটাকে ভয়ংকর একই সাথে অনিন্দ্য সুন্দর করে তুলেছে। এখানে সূর্যের আলো খুব কম অর্থাৎ সরাসরি সূর্যকিরণ পৌঁছানো কষ্টসাধ্য। নিচে বড় বড় পাথার আর কোথাও হাটু পানি কোথাও বা বুক পানি আবার কোথাও সাঁতরে পার হতে হয়। পানির নিচে পাথর না দেখতে পেয়ে অসাবধান হয়ে পা দিলেই পড়ে যেতে হবে এবং যেন তেনভাবে নয় খুব মারাত্মকভাবে। এখান থেকে বের হওয়ার সহজ কোন রাস্তা নেই, হয় পাহাড় চড়তে হবে না হলে এই গিরিপথ পাড়ি দিতে হবে।

অবস্থানঃ খাগড়াছড়ি

আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে বা এই বিষয়ে কোন কিছু জানানোর থাকলে নীচের মন্তব্য বিভাগে লিখতে ভুলবেন না । আপনার ভ্রমণ পিয়াশি বন্ধুদের সাথে নিবন্ধটি শেয়ার করে নিন যাতে তারাও জানতে পারে ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *