ওফিং হিল | শ্রীমঙ্গল

0
455

সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ

( Ofing Hill )শাপলা , জলপদ্মে ভরা লেকটির এক পাশ থেকে অপর পাশে দেখবেন শত শত পাকৌঁড়ি আর সরালী ভাসছে । লেকটি এঁকে – বেঁকে অনেক দূরে চলে গেছে । একটু দূর বিধায় এ লেকে পর্যটকদের ভীর হয় কম । লেকটির কাছে গেলে মনে হবে এটিকে যেন আপনিই আবিষ্কার করেছেন । এখানে আপনা আপনিই কেটে যাবে বেশ কিছুটা সময় । এবার ডান দিকে রাবার বাগানের নিচ দিয়ে দেখবেন খুব সুন্দর একটা ঢালু রাস্তা চলে গেছে ,মন চাইবে ঐ রাস্তায় যেতে মনকে কষ্ট দেওয়া ঠিক না । ঐ রাস্তা ধরেই এগুতে থাকুন । এক সময দেখবেন আপনি উপর দিকে উঠছেন ।

কতোটুকু উপরে উঠলেন তা বুঝতে হলে বাম দিকে তাকান ভয়ের কোনো কারণ নেই আপনি প্রসস্ত টিলার রাস্তায় অবস্থান করছেন । সেখানে থেকে দেখবেন অসংখ্য ছোটুবড়ো পাহাড় যেন গভীর নিদ্রায় নিমজ্জিত । আপনার মনে হবে হয়তো আকাশের দিকে উঠে যাচ্ছেন । যতোই উপরে উঠবেন সৌন্দর্য কেবল বাড়তেই থাকবে । উঠে আসুন একেবারে চূড়ান্ত চারিদিকে দুষ্টিনিবদ্ধ করুন , বাইনোকুলার থাকলে লাগিয়ে নিন চোখে দেখবেন হাজার রকমের সৌন্দর্য আপনার দৃষ্টি সীমানায় এসে ভিড় জমাবে । স্থির হয়ে থাকবে আপনার দৃষ্টি ।

মনে হবে কোনো স্বপ্নপুরী কিংবা জাদুর রাজ্যে আপনি অবস্থান করছেন। অফিং হিলের অর্থ হলো নানা রকমের সৌন্দর্যের সমাহার যা সেখান থেকে অনেক রকমের উপভোগ করা যায়। ভ্রমন শেষে শ্রীমঙ্গলের ভ্রমন এলবামের ছবিগুলো উল্টান । দেখবেন নিমিষেই মন ভালো হয়ে গেছে । চা বাগানের মাঝে কিংবা বিশাল বাংলোর সামনে আপনি দাঁড়িয়ে । মন চাইবে আরেকবার আসতে । হাতে সময় বের করে নিন মনের ইচ্ছা পূরন করতে ।

কিভাবে যাবেনঃ চমৎকার একটি জায়গা অফিং হিল , শহর থেকে প্রথমে কালীঘাট চা বাগানে পৌছান । সেখান থেকে হাতের বাম দিকে ইট বিছানো রাস্তায় এগিয়ে যান । চা বাগান আর রাবার বাগানের মাঝ দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে ২০ মিনিটের মধ্যে পেয়ে যাবেন হুসনাবাদ চা বাগান । ইচ্ছা করলে গাড়িও নিতে পারেন , সেখান থেকে পায়ে হেঁটে আগর বাগানের দিকে এগিয়ে যান আগরের বাগান পেরুলেই দেখতে পাবেন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য । মনে হবে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে যেন পৌঁছে গেছেন । আর একটু এগুলেই পাহাড়ের ভিতরে পাবেন একটি লেক ।

আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে বা এই বিষয়ে কোন কিছু জানানোর থাকলে নীচের মন্তব্য বিভাগে লিখতে ভুলবেন না । আপনার ভ্রমণ পিয়াশি বন্ধুদের সাথে নিবন্ধটি শেয়ার করে নিন যাতে তারাও জানতে পারে ।