Bardhan Kuthi

বর্ধন কুঠি | গাইবান্ধা

সংক্ষিপ্ত বিবরনঃ

বর্ধন কুঠি ( Bardhan Kuthi ) বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত একটি অন্যতম ঐতিহাসিক স্থান। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনামলে বর্ধনকুঠির শাসক ছিলেন রাজা হরিনাথ। ভারতীয় উপমহাদেশ বিভক্তির সময়কালে বর্ধনকুঠির সর্বশেষ রাজা শৈলেশ চন্দ্র বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে যান। বর্তমানে এই স্থানটি ইতিহাসের স্বাক্ষর বহন করছে। প্রাচীন কাল থেকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলাধীন বর্ধন কুঠিতে তৎকালীন রাজাদের গূরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক দলের ঘাঁটি ছিল এখানে।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত বর্ধন কুঠির প্রাচীন নাম বর্ধন কোট হিসেবে পরিচিত ছিল। এই ঐতিহাসিক স্থানের নাম বর্ধন কোট বা বিভিন্ন সময়ের বিভিন্ন কাল-ক্রমে এর নাম পরবর্তীতে বর্ধন কুঠি হয়েছে, এর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য খুজে বের করা বর্তমানে অনেকটা কঠিন হয়ে গিয়েছে। প্রাচীনকালে এই স্থানে বর্ধন নামের একজন শক্থিধর নরপতি বসবাস করতেন এবং তার নামানুসারে এই স্থানের নাম রাখা হয়েছে বর্ধনকোট, যেটি কাল-ক্রমে বর্ধনকুঠিতে প্রকাশিত হয়েছে। এ নাম করনের পিছে অনেকে একথাও মনে করেন, বর্তমানে যেই স্থানটি বর্ধন কুটি নামে পরিচিত, একসময় সেই স্থানে শক্তিদর বর্ধন বংশের কোন একজন উত্তরসুরী এসে (পরবর্তীতে) স্থায়ী-বসতি তৈরি করেন, আর সেই সময় তাদের বংশীয় নামের ইঙ্গিত ধরে তা বর্ধন কুঠি নামে পরিণত হয়।

১৯৬৫ সালে এই জায়গায় গোবিন্দগঞ্জ কলেজ স্থাপিত হবার পরবর্তীতে কলেজের ক্যাম্পাসে ক্রমবিস্তার এবং বিভিন্ন কারণে উঁচু বর্ধন কুঠিরের প্রাচীন ভবনগুলো অবহেলায় ধ্বংসের প্রায় শেষ ধাপে এসে গেছে।

কিভাবে যাবেনঃ

বর্ধনকুঠিতে যেতে হলে আপনাকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় পৌছাতে হবে। সেখান থেকে অটো রিকশা অথবা রিকশায় করে বর্ধনকুঠিতে পৌছাতে পারবেন

কোথায় থাকবেনঃ

গাইবান্ধায় থাকার জন্য কয়েকটি উল্ল্যেখযোগ্য হোটেল সম্পর্কে তথ্য আপনার সুবিধার্থে নিম্নে প্রদান করা হলোঃ
১। হোটেল আল সাইফুল, মোবাইলঃ ০১৯৬২-৬১৫৪১৫, ০১৭৬৪-৯৯০৮২২, ফোনঃ ০৫৪১-৬২০৯০, শহীদ সোহরাওয়ার্দী সড়ক, মধ্যপাড়া, গাইবান্ধা।
২। হোটেল আর রাহমান, শহীদ আনোয়ার হোসেন সড়ক, গাইবান্ধা, ফোনঃ ০৫৪১-৬১৪৮১, মোবাইলঃ ০১৭১৩-২৭০২৮৩, ০১৭১৫-৪৬৪৭৪৮;
৩। হোটেল রাজমহল, ডিবি রোড, বাসস্ট্যান্ড, গাইবান্ধা, ফোনঃ ০১৭৩৭৮০৫৫৬৩;

আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে বা এই বিষয়ে কোন কিছু জানানোর থাকলে নীচের মন্তব্য বিভাগে লিখতে ভুলবেন না । আপনার ভ্রমণ পিয়াশি বন্ধুদের সাথে নিবন্ধটি শেয়ার করে নিন যাতে তারাও জানতে পারে ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *