সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ
রিছাং ঝর্ণা ( Risang waterfall khagrachari ) খাগড়াছড়ি জেলায় মাটিরাঙ্গা উপজেলার সাপমারা গ্রামে অবস্থিত একটি পাহাড়ি ঝর্ণা। খাগড়াছড়ি শহর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ১০ কি.মি.। এই ঝর্ণার উচ্চতা প্রায় ১০০ ফুট।
খাগড়াছড়ি জেলা সদর থেকে ১১ কি.মি. আর মাটিরাঙ্গা উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১০ কি.মি. দূরত্বে খাগড়াছড়ি-ঢাকা মূল সড়ক হতে আরও ১ কি.মি. দক্ষিণে “রিছাং ঝর্ণা” অবস্থিত। মূল সড়ক থেকে পাহাড়ি পথ পাড়ি দিয়ে, ঝর্ণার পথে ২৩৫ ধাপের সিঁড়ি দিয়ে নামতে হয়। বর্ষাকালে সিড়ি দিয়ে নামার সময়ই ঝর্ণার শব্দ শোনা যায় । উঁচু পাহাড়ের গা ঘেঁষে যেতে যেতে যে কারও দৃষ্টি আটকে যাবে পাহাড়ী সবুজের সমারহে। আনুমানিক ১৯৯৩-৯৪ সালে এই প্রাকৃতিক ঝর্ণাটি আবিষ্কৃত হয় বলে জানা যায়; জুম চাষের সুবাদে ঝর্ণাটি সবার নজরে আসে।
কিভাবে যাবেনঃ
ঢাকা হতে খাগড়াছড়ির দূরত্ব ৩১৬ কিলোমিটার ও চট্টগ্রাম হতে ১০৯ কিলোমিটার। রাজধানী শহর ঢাকার কমলাপুর, সায়েদাবাদ, ফকিরাপুল, কলাবাগান থেকে সরাসরি বাস সার্ভিস রয়েছে খাগড়াছড়িতে। সেন্টমার্টিন (এসি বাস), এস আলম, সৌদিয়া, শান্তি পরিবহন, ইকোনো, ঈগল ও শ্যামলী পরিবহনের বাসযোগে খাগড়াছড়ি আসতে পারেন আপনি। আর এতে আপনাকে জনপ্রতি ৫২০-৫৫০ টাকা ভাড়া গুনতে হবে। আর এসি বাসে ভাড়া লাগবে ৮৫০ টাকা। আর চট্টগ্রাম থেকে আসতে হলে আপনাকে অক্সিজেন অথবা কদমতলী বিআরটিসি বাস টার্মিনাল থেকে খাগড়াছড়ি অভিমুখী গাড়িতে উঠতে হবে। অক্সিজেন থেকে রয়েছে শান্তি পরিবহন অথবা লোকাল বাস আর কদমতলী থেকে বিআরটিসি রিজার্ভ বাস। চট্টগ্রাম থেকে খাগড়াছড়ি আসতে জনপ্রতি ১৮০-২২০ টাকা ভাড়া গুনতে হবে।
কোথায় থাকবেনঃ
আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রের খুব কাছাকাছি শহরের প্রবেশমুখে চেঙ্গী নদীর তীর ঘেঁষে অবস্থিত পর্যটন মোটেলের ডবল রুম নন এসি ১০৫০ টাকা, ডবল এসি রুম ১৫০০ টাকা, ভিআইপি স্যুট ২৫০০ টাকা। এ ছাড়াও রয়েছে জেলা সদরের মিলনপুরে হোটেল, গাইরিঙ ও ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় হোটেল ইকোছড়ি ইন।
সেখানেও থাকা-খাওয়ার সুযোগ-সুবিধা রয়েছে হাতের নাগালেই। খাগড়াছড়ি বাজার এলাকার হোটেল আল-মাসুদ, হোটেল লবিয়ত, হোটেল ফোরস্টারসহ অনেকগুলো হোটেলে থাকতে পারবেন অনেক কম মূল্যে।