সংক্ষিপ্ত বিবরনঃ
কটিয়াদী উপজেলার মসূয়ায় গ্রামের জমিদার উপেন্দ্রকিশোর রায়ের ছেলে প্রখ্যাত ছড়াকার সুকুমার রায়( Satyajit Ray’s Ancestral House )। তৎকালীন ‘সন্দেশ’ পত্রিকার সম্পাদক সুকুমার রায়ের ঘর আলোকিত করেন সত্যজিৎ রায়।
প্রায় বিলুপ্ত এ বাড়িটির পুরানো ইটের ভাঁজে ভাঁজে লুকিয়ে আছে বরেণ্য চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায় এবং তাঁর পূর্ব পুরুষের নানা স্মৃতি। দ্বিতল ভবনটির ছাদ ভেঙ্গে বিশালাকার গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। চারপাশে লতাপাতা, শ্যাওলা আর বটবৃক্ষ ঢেকে ফেলেছে ভবনটির বাহ্যিক সৌন্দর্য। জরাজীর্ণ বাড়িটির পাশে দরবারগৃহটি বর্তমানে ইউনিয়ন ভূমি অফিস হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রায় ২ একর জমির উপর নির্মিত এ জমিদার বাড়িটি সরকারের মালিকানায় থাকলেও বেশির ভাগ ভূমি প্রভাবশালীদের দখলে রয়েছে। এলাকাবাসী ও ঘুরতে আসা পর্যটকরা জানান, পুরাকীর্তি নিদর্শনের রক্ষণাবেক্ষণ যারা করেন তাদের উচিত ছিল এ বাড়িটিকে পরিত্যক্ত হতে না দিয়ে আরও ভালোভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা। বাড়িটি সংস্কার করে পর্যটন কেন্দ্র ও গবেষণাগার গড়ে তোলার দাবি জানিয়েছেন সত্যজিৎ রায় ফাউন্ডেশনের এ প্রতিষ্ঠাতা।
সত্যজিৎ রায় ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলাউদ্দিন ভাসানি বলেন, এ বাড়িটিকে পূর্ণাঙ্গ একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হোক এটা এ দেশের অসংখ্য মানুষের দাবি।তবে সত্যজিৎ রায়ের অসংখ্য স্মৃতি বিজড়িত এ বাড়িটি রক্ষায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার কথা জানালেন জেলা প্রশাসক।কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী বলেন, রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি প্রস্তাবনা পাঠানোর বিষয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারবো বলে আমরা আশাবাদী।এ প্রখ্যাত অস্কার বিজয়ী চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায় ১৯২১ সালের দোসরা মে জন্মগ্রহণ করেন।