Surjapuri Mango Tree

সূর্য্যপূরী আমগাছ | বালিয়াডাঙ্গী

সংক্ষিপ্ত বিবরনঃ

সূর্য্যপূরী  বালিয়াডাঙ্গী আমগাছ( Surjapuri Mango Tree )। ঠাকুর গাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গি উপজেলায় হরিণমারি অবস্থিত।  একে এশিয়ার সর্ববহৎ আমগাছও বলা হয়। গাছটি ছায়া মেলেছে বিস্তীর্ণ জায়গাজুড়ে। শত শত বছরের পুরনো সূর্য্যপূরী আমগাছটি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ভারতের সীমান্তবর্তী হরিণ মারি গ্রামে। গাছটি প্রায় ২.৫ বিঘা জমির উপর বিস্তৃত। গাছটির শাখা-প্রশাখা অশ্বথ্থ গাছের মত মাটির দিকে ঝুঁকে আছে। একটি গাছ নয়  যেন একটি আম্রকানন।বিশাল আকৃতির আমগাছটি দাঁড়িয়ে আছে প্রায় দুই বিঘারও বেশি জায়গা জুড়ে।  অক্টোপাসের মতো বৃদ্ধ এ আমগাছটি থেকে মাটিতে নেমে এসেছে অনেকগুলো মোটা মোটা ডাল, প্রতিটি ডালই যেন একটি বৃহৎ আমগাছের সমান। গাছটির উচ্চতা আনুমানিক ৮০ ফুট ।

প্রতিদিন দূর দূরান্ত থেকে মানুষ দেখতে আসে গাছটিকে। অক্টোপাসের মতো উনিশটি ডালপালা বিস্তার করে রাজকীয় ভাবে টিকে আছে প্রায় তিনশ বছর ধরে। একে এই সূর্যপুরী প্রাচীন আমগাছ বলা হয়।  স্থানীয় লোকেরা জানেন না এই গাছটির বয়স কত। তাদের পূর্বপুরুষের কাছ থেকে শোনা থেকে অনেকে ধারণা করেন গাছটির বয়স আড়াইশ বছর হয়ে থাকবে। প্রকৃতপক্ষে গাছটির বয়স আরো বেশী হয়ে থাকবে। এ বিষয়ে দেশে সরকারী বেসরকারীভাবে কোনোরকম গবেষনা করা হয়নি।

গাছটির মালিকের নাম নুর ইসলাম। তিনি মূলত উত্তরাধিকার সূত্রে এর মালিক হয়েছেন। গাছটি নিয়ে কাউকে গবেষনা করতে শোনা যায়নি।

কিভাবে যাবেনঃ

ঠাকুরগাঁও থেকে বালিয়াডাঙ্গি উপজেলার দূরত্ব ২৫ কিলোমিটার। উপজেলা সদর থেকে ১০ কিলোমিটার ভেতরে হরিণমারী। ঢাকা থেকে প্রথমে বাসে ঠাকুরগাঁও যেতে হবে তারপর ঠাকুরগাঁও থেকে লোকাল বাসে ২৫ কিলোমিটার দূরে বালিয়াডাঙ্গি তারপর সেখান থেকে স্থানীয় যানবাহনে করে ১০ কিলোমিটার দূরে হরিণমারি পৌঁছে যাবেন।

আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে বা এই বিষয়ে কোন কিছু জানানোর থাকলে নীচের মন্তব্য বিভাগে লিখতে ভুলবেন না । আপনার ভ্রমণ পিয়াশি বন্ধুদের সাথে নিবন্ধটি শেয়ার করে নিন যাতে তারাও জানতে পারে ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *