সংক্ষিপ্ত বিবরনঃ
ভাগ্যকুলের জমিদাররা( Vaggokul Jamidar Bari )ব্রিটিশ আমলে উপমহাদেশে প্রসিদ্ধ ছিলেন। জমিদারদের মধ্যে হরলাল রায়, রাজা শ্রীনাথ রায় ও প্রিয়নাথ রায়ের নাম উল্লেখযোগ্য। ব্রিটিশের তাঁবেদারি করায় তাঁরা রাজা উপাধি পেয়েছিলেন। তাঁদের মতো ধনী বাঙালি পরিবার সে সময়ে কমই ছিল। জমিদারদের প্রায় সবাই উচ্চ শিক্ষিত ছিলেন। ঢাকা, কলকাতা এবং ইংল্যান্ডে তাঁরা পড়াশোনা করেছেন। জমিদারদের কীর্তির বেশির ভাগই পদ্মা কেড়ে নিয়েছে। জমিদার যদুনাথ রায়ের বাড়িটিই যা টিকে আছে।
‘অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশন’ বাড়িটি রক্ষার দায়িত্ব নিয়েছে এখন। নির্মাণ করা হচ্ছে বিক্রমপুর জাদুঘর ও সংস্কৃতিকেন্দ্র। পর্যটনকেন্দ্র, গেস্ট হাউস এবং নৌ জাদুঘরও হবে। বালাসুর চৌরাস্তার কাছে ভাগ্যকুল বাজার। এখানকার মিষ্টি বেশ নামকরা। ভরপেট খেয়ে ঢাকার পথ ধরলাম।
যা যা দেখবেনঃ
এই জমিদার বাড়ীর ২-৩ কি.মি দূরেই আছে জগদীস চন্দ্র বসুর বসত ভিটা। এ ছাড়া খুব কাছেই আছে মাওয়া রিসোর্ট। এই ছাড়া ঘুরে আসতে পারেন পাশের শ্যাম সিদ্ধির গ্রামেও। দেখে আসতে পারেন আড়িয়াল বিল আর শ্যাম সিদ্ধির মঠ। নবাবগঞ্জ দিয়ে আসলে দেখে আসতে পারেন ভাগ্যকূলের অন্য জমিদার বাড়ী গুলো। কোকিলপ্যারী জমিদার বাড়ী, তেলিবাড়ী, উকিল বাড়ী এই সবই ভাগ্যকূল জমিদারদের ছিল।
কিভাবে যাবেনঃ
পোস্তাগোলা থেকে সেবা পরিবহনের বাসে বালাসুর বাস স্ট্যান্ড। এখান থেকে রিক্সা বা অটোতে এতিমখানা রোড ভাগ্যকুল জমিদার বাড়ী।