সংক্ষিপ্ত বিবরনঃ
আড়িয়াল বিল( Arial Lake )পদ্মা ও ধলেশ্বরী নদীর মাঝখানে অবস্থিত ও মুন্সিগঞ্জ জেলার অন্তর্গত একটি অবভূমি। এটি দেশের মধ্যাঞ্চলের সবচেয়ে বড় ও প্রাচীন বিল। আড়িয়াল বিলের বেশিরভাগ এলাকাই শুষ্ক ঋতুতে আর্দ্র থাকে এবং বিলে যথেষ্ট পরিমাণ পানি সঞ্চিত থাকে। বর্ষায় পানিতে টইটুম্বুর থাকলেও শীতকালে এটি বিস্তীর্ণ শস্য ক্ষেতে পরিণত হয়। এখানে শীতকালে নানা ধরণের সবজির চাষ করা হয়, এ বিলের বিশেষ আকর্ষণ হচ্ছে বিশাল আকৃতির মিষ্টি কুমড়া।
আড়িয়াল বিল ঢাকা থেকে প্রায় ৪২ কিঃমিঃ দক্ষিণে মুন্সিগঞ্জ জেলার অন্তর্গত শ্রীনগর উপজেলায় অবস্থিত। এর আয়তন ১৩৬ বর্গ কিলোমিটার।
হাজার বছর ধরে এটির প্রতিবেশ ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। ধারণা করা হয়, অতি প্রাচীন কালে এ স্থানে গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রের সঙ্গমস্থল ছিল, পরবর্তিতে উভয় নদীর প্রবাহ পরিবর্তনের ফলে এই স্থান শুষ্ক হয়ে বিলে পরিণত হয়। বিলটি ঢাকা ও মুন্সীগঞ্জ জেলা এবং পদ্মা নদীর মাঝখানে একটি ছিটমহলসম জলাভূমি। বিলের সান্নিধ্যে গেলে কিছুটা হলেও ঋতুময় বৈচিত্র্য লক্ষ্য করা যায়। এর বর্ষায় সৌন্দর্য সবচেয়ে বেশি নয়নাভিরাম।
কিভাবে যাবেনঃ
বিলটি ঢাকা থেকে প্রায় ৪২ কিঃমিঃ দক্ষিণে মুন্সিগঞ্জ জেলার অন্তর্গত শ্রীনগর উপজেলায় অবস্থিত। ঢাকার গুলিস্তান থেকে মাওয়াগামী যে কোনো বাসে চড়ে নামতে হবে শ্রীনগরের ভেজবাজার। ভাড়া পড়বে ৫০-৭০ টাকা। এই পথের ভালো বাস ‘ইলিশ পরিবহণ’ ও ‘বিআরটিসি’। ভেজবাজার থেকে অটোরিকশা নিয়ে যেতে হবে গাদিঘাট। এই পথে ভাড়া লাগবে ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা।
কোথায় থাকবেনঃ
ঢাকা থেকে দিনে দিনে মুন্সিগঞ্জ ভ্রমণ শেষ করে ফিরে আসা সম্ভব। তাছাড়া জেলাশহরে থাকার সাধারণ মানের কিছু হোটেল আছে। শহরের দু-একটি হোটেল হলো হোটেল থ্রি স্টার (০১৭১৫৬৬৫৮২৯, ০১৭১৫১৭৭৭১৬) এবং হোটেল কমফোর্ট। এসব হোটেল ১৫০-৬০০ টাকায় থাকার ব্যবস্থা আছে। ভ্রমণে গেলে মুন্সিগঞ্জের জায়গাগুলো দেখে সবশেষে পদ্মা রিজর্টে (০১৭১৩০৩৩০৪৯) এসে থাকলে ভালো লাগবে।
কি খাবেনঃ
চিত্তর দই, আনন্দর মিষ্টি, খুদের বৌউয়া বা খুদের খিচুড়ি, ভাগ্যকুলের মিষ্টি সকালে নাস্তা করতে চাইলে মাঝখানে বাজার আছে করে নিবেন। গাদিঘাটে সেরকম কিছু নাই। শ্রীনগরের পর বিলের কোথাও দোকান পাট নেই। গাদিঘাট এ কিছু গ্রাম্য দোকান পাবেন। সঙ্গে অবশ্যই পর্যাপ্ত খাবার পানি ও শুকনা খাবার নিতে ভুলবেন না।