সংক্ষিপ্ত বিবরনঃ
তৈদুছড়া ঝর্না( Toiduchora Waterfall )বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলায় অবস্থিত। ত্রিপুরা ভাষায় তৈদু মানে হল পানির দরজা এবং ছড়া মানে ঝর্ণা।
তৈদুছড়া ঝর্ণা ৩০০ ফুট উঁচু। পাহাড়ের গায়ে অসংখ্য পাথরের ধাপ আছে। এই ধাপ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ে নিচে। এই প্রাকৃতিক বৈচিত্রতা তৈদুছড়া ঝর্ণাকে দিয়েছে ভিন্ন মাত্রা। খাগড়াছড়িতে যে কয়টি দর্শনীয় স্থান রয়েছে তৈদুছড়া তাদের মধ্যে অন্যতম। জঙ্গেলর মাঝে আঁকা বাঁকা পাহাড়ের ভাঁজ দিয়ে বয়ে চলে তৈদুছড়া ঝর্ণার জল। শীতল স্বচ্ছ টলমলে জলের কলকল করে ছুটে চলার শব্দে মুখিরত হয় চারপাশ। ৩০০ ফুট উচু পাহাড় হতে গড়িয়ে পড়া পানি এসে পরে পাথুরে ভূমিতে। অন্য সকল ঝর্ণার মত এর পানি সরাসরি উপর হতে নিচে পড়ে না। পাহাড়ের গায়ে সিড়ির মত তৈরি হওয়া পাথুরে ধাপ গুলো অতিক্রম করে নিচে পড়ে তৈদুছড়া ঝর্ণার পানি। তৈদুছড়া ঝর্ণার ডানপাশ দিয়ে পাহাড়ের উপরে থাংঝাং ঝর্ণা নামে আরেকটি ঝর্ণা আছে। থাংঝাং ঝর্ণার পানি একটা ঝিরি তৈরি করেছে। এই ঝিরির পানি থেকে তৈদুছড়া ঝর্ণার সৃষ্টি হয়েছে।
কিভাবে যাবেনঃ
তৈদুছড়া ঝর্ণা খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলায় অবস্থিত। খাগড়াছড়ি বাসস্ট্যান্ড থেকে সারাদিনের জন্য প্রায় ১৮০০/- টাকা থেকে ২৫০০/- টাকা ভাড়া দিয়ে একটি চান্দের গাড়ি নিয়ে দীঘিনালায় পৌছাতে পারবেন। এছাড়া আপনি বাসে করেও দীঘিনালায় যেতে পারবেন।
দীঘিনালায় পৌঁছে থানা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে চলে যাবেন। থানা নির্বাহী কর্মকর্তা আপনাকে একজন গাইড দিয়ে সাহায্য করবেন। প্রথমবারের মত দীঘিনালায় গেলে একজন গাইড ছাড়া আপনার পক্ষে তৈদুছড়া ঝর্ণায় পৌঁছানো সম্ভব হবে না।
দীঘিনালায় পৌঁছানোর কোন সরাসরি ব্যবস্থা না থাকায় আপনাকে নিজেই ওখানে পৌছানোর উপায় বের করতে হবে। বর্ষাকালে দীঘিনালায় পৌঁছানোর পথ পিচ্ছিল থাকে তাই আপনাকে সতর্ক হয়ে পথ চলতে হবে। এছাড়া দীঘিনালায় যাওয়ার পথে আপনাকে দুটি পাহাড় বেয়ে উঠতে হবে এবং একটি ঝিরি ও আদিবাসীদের একটি গ্রাম অতিক্রম করতে হবে। এসময় আপনাকে প্রায় ১২ কিলোমিটার পথ হাঁটতে হবে।