জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘর | চট্টগ্রাম

সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ

জাতি-তাত্ত্বিক জাদুঘর (ইংরেজি: Ethnological Museum ) বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার আগ্রাবাদে অবস্থিত দেশের একমাত্র জাতি-তাত্ত্বিক জাদুঘর, যেটি মূলত বাংলাদেশের বিভিন্ন নৃতাত্ত্বিক জাতিগোষ্ঠীর দৈনন্দিন জীবনপ্রণালী, এবং পারষ্পরিক বোঝাপড়া ও সহকর্মী-অনুভূতি লালনের জন্য প্রতিষ্ঠিত। জাদুঘরে বাংলাদেশের উপজাতী গোষ্ঠীর ইতিহাস সমন্বিত উপকরণের প্রদর্শন করা হয়েছে।

এশিয়া মহাদেশের দুইটি জাতি-তাত্ত্বিক জাদুঘরের মধ্য চট্টগ্রামের জাতি-তাত্ত্বিক জাদুঘর অন্যতম, অন্যটি রয়েছে জাপানে। এটি গবেষণাকাজেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে। জাদুঘর কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী প্রতিদিন দেশি-বিদেশি গবেষকসহ ২০০-৩০০ জন দর্শনার্থী এই জাদুঘর পরিদর্শন করেন।

জাতি-তাত্ত্বিক জাদুঘর চট্টগ্রাম শহরের আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকায় বাদামতলী মোড় সংলগ্ন ১.২৫ একর স্থানের ওপর ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।

জাদুঘর কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর প্রাত্যহিক জীবনের ব্যবহৃত কিছু দুর্লভ সামগ্রী সংগ্রহে রেখেছে যার অধিকাংশই বিলুপ্ত বা বিলুপ্তির পথে। এই জাদঘুরে আছে বাংলাদেশের প্রায় ২৫টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীসহ বিদেশি ৫টি দেশের জাতিতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর বিভিন্ন সামগ্রীর তুলনামূলক বিশ্লেষণ। বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, মুরং, বম, খিয়াং, খুমি, চাক, রাখাইন, পাংখোয়া; সিলেট অঞ্চলের খাসিয়া, মনিপুরী, পাঙন, পাত্র; ময়মনসিংহ অঞ্চলের গারো, হাজং, দালু, মান্দাই, কোচ; রাজশাহী-দিনাজপুর অঞ্চলের সাঁওতাল, ওরাঁও, রাজবংশী, পলিয়া; এবং যশোর-ঝিনাইদহ অঞ্চলের বুনো বা বোনা, বাগদি অর্ন্তভুক্ত রয়েছে।

এতে আছে ৪টি গ্যালারী ও ১টি হল। জাদুঘরের ৩টি গ্যালারীতে বাংলাদেশের ২৫টি সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর নানা রকমের সামগ্রী যেমন: অস্ত্র, ফুলদানী, কাপড়, নৌকা, কাঁচি, অলঙ্কার, বাঁশের পাইপ ইত্যাদি, এবং বাকি গ্যালারীতে ভারত, পাকিস্তান, কিরগিজস্থান, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানির কিছু সম্প্রদায়ের জীবনপ্রণালী প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা আছে। হলরুমের মানচিত্র ও দেয়ালচিত্রের মাধ্যমে উপজাতিদের বিভিন্ন রকম উৎসব ও সংস্কৃতি সম্পর্কেও দর্শনার্থীদের ধারণা দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও এখানে ১৯৮৯ সালে ভেঙে ফেলা জার্মানির বার্লিন প্রাচীরের টুকরো অংশ প্রদর্শিত হয়েছে। জাদুঘরের সামনে সবুজ বাগান রয়েছে।

কিভাবে যাবেনঃ

উক্ত দশর্নীয় স্থানে যাওয়ার জন্য বাস বা অটোরিক্সা ব্যবহার করা যেতে পারে।

আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে বা এই বিষয়ে কোন কিছু জানানোর থাকলে নীচের মন্তব্য বিভাগে লিখতে ভুলবেন না । আপনার ভ্রমণ পিয়াশি বন্ধুদের সাথে নিবন্ধটি শেয়ার করে নিন যাতে তারাও জানতে পারে ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *