সংক্ষিপ্ত বিবরনঃ
হাওর অঞ্চলের ইটনায় মোগল অধিপত্য বিনষ্ট হওয়ার পর মজলিশ দেলোয়ার তাহার প্রশাসনিক কেন্দ্র স্থাপন( Itna Shahi Mosque )করেন। তিনি এখানে ইটনা সদর বড়হাটি গ্রামে ৩ গম্বুজ বিশিষ্ট উক্ত মসজিদ নিমার্ণ করেন। অনুপম স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত এ মসজিদটি ইতিহাসের স্মারক হয়ে আজও অটুট রয়েছে। ৩ গম্বুজ বিশিষ্ট এ মসজিদটি দৈর্ঘ্য ২৪ মিটার, প্রস্থ ৯.৫ মিটার এবং উচ্চতা কানির্শ পর্যন্ত ৬ মিটার। মসজিদটির দেয়াল ২ মিটার পুরো। মসজিদে প্রবেশের জন্য ৩টি দরজা এবং ভিতরে ৩টি মেহরাব রয়েছে। মূল মসজিদের সামনে ১৩ মিটার প্রসস্থ একটি খোলা বারান্দা রয়েছে।
যা অনুচ্চ দেয়াল দিয়ে ঘেরা। দেয়ালের সাথে এক উচু বেদি থেকে প্রতিদিন প্রতি ওয়াক্ত আযান দেওয়া হয়। মসজিদের সামনে ও কাছে রয়েছে ১টি বিশাল দিঘী। এ মসজিদ এবং দিঘী নিয়ে লোকমুখে বহু কিংবদন্তী প্রচলিত রয়েছে। ১৬০৮ খ্রিষ্টাব্দে সমগ্র বাংলা মোগলদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেলে মজলিশ দেলোয়ারের জমিদারী হাতছাড়া হয়ে যায়। দীর্ঘকাল পর স¤্রাট জাহাঙ্গীরের শাসনামলে মজলিশ দেলোয়ারের ২ দৌহিত্র ফতেহ খান ও জালাল খান ১৯ কোষা নজরানার বিনিময়ে শাহী ফরমান মূলে জয়নশাহী পরগনা তথা ইটনার দেওয়ানী লাভ করেন। উনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিক পর্যন্ত বংশানুক্রমিক ভাবে এ দেওয়ানী অব্যহত ছিল। বর্তমানে এ দেওয়ানের বংশধর আছে। ইটনা উপজেলা বিশ্বের কিছু কালজয়ী প্রতিভার জন্ম দিয়েছে। এসব প্রোথিত যশা জ্ঞান রাজ্যের বিভিন্ন শাখায় বিশ্বজোড়া খ্যাতি অর্জন করেছে।