সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ
পেদা টিং টিং( peda ting ting rangamati )নামটা শুনলে অনেকেরই মনে হতে পারে রাঙামাটির কথা। তবে খোদ রাজধানীতেই এবার যাত্রা শুরু করেছে এই রেস্তোরাঁ।গুলশান একের ২৭ নম্বর রোডের ৬৯ নম্বর বাড়িকে বেশ খোলামেলা ভাবেই সাজিয়ে চাকমা খাবারের পসরা বসিয়েছে তারা।পুরো নাম ‘পেদা টিং টিং গ্যালারি ক্যাফে’। ভরা কলসিতে টোকা দিলে যেমন টিং টিং শব্দ হয় তেমনি ভরা পেটকে ভরা কলসির সঙ্গে রূপক অর্থে মিলিয়ে এই রেস্তোরাঁর নামকরণ করা হয়েছে। কারণ চাকমা ভাষায় পেদা মানে পেট। জানালেন অন্যতম কর্ণধার গৌরব দেওয়ান। এই গৌরব দেওয়ানের পিতা গৌতম দেওয়ান আবার রাঙামাটির পেদা টিং টিং রেস্তোরাঁর মালিকদের অন্যতম।দেওয়ান জানান এখানকার মেনুতে পাহাড়ি যে খাবারগুলো থাকছে তা একান্তই চাকমাদের, অন্যকোনো জাতিগোষ্ঠির নয়।
দোতলা জুড়ে রেস্তোরাঁয় রয়েছে একটি আর্ট গ্যালারি ও চাকমা সংস্কৃতির কাপড় বুননের প্রদর্শণী।রেস্তোরাঁর আরেক কর্ণধার নাজমুল নাঈম অন্দর ও বাহির সজ্জার কাজ করেছেন। তিনি জানান, এখানে প্রধানত ব্যবহার করা হয়েছে প্রাকৃতিক ঘর তৈরির কাঁচামাল, যেমন বাঁশ। আবার রিসাইকেলড বস্তুও ব্যবহার করা হয়েছে। কিছু ল্যাম্পশেইড কেনা হয়েছে ফেলে দেওয়া ওয়াশিং মেশিনের অংশ থেকে যা সংগ্রহ করা হয়েছে ‘ভাঙারি’র দোকান থেকে। নিচতলা থেকে দোতলায় ওঠার সিঁড়ি স্টিলের আর সিড়ির এক কোণা এমনভাবে সাজানো হয়েছে যাতে করে বড় গাছটি কাটা না পড়ে।
প্রধান ফটক দিয়ে ঢুকতেই চোখে পড়বে আধা গরুর গাড়ির চাকা। আর চাকা লাগানো দেয়ালটি বেশ উঁচু। তবে পুরোটাই মাটি দিয়ে তৈরি। দোতলায় বসার ব্যবস্থা ছড়িয়ে ছিটিয়ে। মাথার উপরে ছাদ নেই। একপাশে আবার কাঁঠাল গাছের পাতার নিচে খাবার ব্যবস্থা!
কিভাবে যাবোঃ
রাঙ্গামাটির রিজার্ভ বাজার, পর্যটন ঘাট ও রাংগামাটি বিভিন্ন স্থান থেকে স্পীড বোট ও নৌ-যানে করে সহজেই যাওয়া যায়।