ডিসি বাংলো | রাঙ্গামাটি

সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ

রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসকের বাংলোটি( dc banglow rangamati ) কালের ঐতিহ্য ধারণ করছে। এটি বাংলাদেশের অন্যতম সুন্দর একটি বাংলো। এর নৈসর্গিক সৌন্দর্য অতুলনীয়। শীতের সময় একানে অতিথি পাখি দেখা যায়। বাংলোর ভিতরে “কোচপানা” নামে একটি জায়গা আছে। মূল বাংলো হতে এ অংশটি বিচ্ছিন্ন। মূল বাংলোর সাথে একটি নয়নাভিরাম ব্রিজের মাধ্যমে কোচপানা সংযুক্ত। এ জায়গাটি যে কাউকেই মুগ্ধ করে। পড়ন্ত বিকেলে কিংবা শিশিরভেজা ভোরে কিংবা পূর্ণিমা রাতে এখান থেকে হ্রদের সৌন্দর্য স্বর্গীয় বলে অনুভুত হয়। ডি সি বাংলোতে রয়েছে একটি যাদুঘর। জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন ঐতিহ্য এতে সংরক্ষিত আছে।

ডি সি বাংলোতে প্রবেশ করতে হলে অনুমতি নিতে হবে। কোন প্রবেশ মূল্য লাগে না। ডি সি বাংলোর বাইরেও রয়েছে একটি পার্ক, যেকানে রয়েছে একটি ঘাট ও বসার জায়গা, যেখান থেকে কাপ্তাই হ্রদের সৌন্দর্য বেশ বাল প্রষ্ফূটিত হয়। এখানে আছে তিনশত বছরের পুরনো একটি চাঁপালিশ বৃক্ষ।ডিসি বাংলো বা জেলা প্রশাসকের বাংলোটি লেকের কাছেই অবস্থিত। এখানে একটি ছোট বাতিঘর এবং স্থানীয়দের জন্য একটি আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। ডিসি বাংলো থেকে আপনি লেকের চমৎকার দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন।

কিভাবে যাবোঃ

ঢাকার ফকিরাপুল মোড় ও সায়দাবাদে রাঙামাটি গামী অসংখ্য এসি ও নন-এসি বাস রয়েছে। এই বাসগুলো সাধারণত সকাল ৮ টা থেকে ৯ টা এবং রাত ৮ টা ৩০ মিনিট থেকে রাত ১১ টার মধ্যে রাঙামাটির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। তাদের মধ্যে রয়েছে হানিফ, শ্যামলী, এস আলম, ইউনিক, সৌদিয়া ইত্যাদি। এসকল বাসে ভাড়া পড়বে ৬০০-৯০০ টাকার মধ্যে। এসব বাসে চেপে যেতে হবে রাঙামাটি শহর। রাঙামাটি শহরের যে কোন জায়গা হতে অটোরিক্মা বা নৌপথে ডিসি বাংলোতে যেতে পারবেন।

কোথায় থাকবেনঃ

রাঙামাটিতে অসংখ্য হোটেল, মোটেল ও রেস্ট-হাউজ আছে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্স, হোটেল গোল্ডেন হিল, হোটেল গ্রিন ক্যাসেল, হোটেল লেক ভিউ, হোটেল সুফিয়া, হোটেল জজ, হোটেল আল মোবা, হোটেল মাউন্টেন ভিউ, হোটেল ডিগনিটি ইত্যাদি।

কি খাবেনঃ

ঐতিহ্যবাহী রাঙামাটি জেলার অপরূপ সৌন্দর্যমন্ডিত স্থান ডিসি বাংলো দর্শনের সময় আপনি ইচ্ছা করলে একদিনেই পুরা ভ্রমণ শেষ করতে পারেন। এছাড়াও দূর থেকে আসলে রাঙামাটি শহরে থাকার ব্যবস্থা করতে পারেন। সেখানে বিভিন্ন মানের ভাল আবাসিক হোটেল ও রেস্টুরেন্টের ব্যবস্থা আছে।
আবাসিক ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে হোটেল গোল্ডেন হিল- রিজার্ভ বাজার (01820-304714), হোটেল গোল্ডেন ক্যাসেল- রিজার্ভ বাজার (61200), হোটেল লেক ভিউ- রিজার্ভ বাজার (62063), হোটেল সুফিয়া- কাঠালতলী (62145), পেদা টিং টিং (62082)।
এছাড়াও চট্রগাম শহরে অনেক উন্নত মানের থ্রি স্টার ও ফাইভ স্টার আবাসিক ব্যবস্থা আছে। আপনি ইচ্ছা করলে সেখানেও থাকতে পারেন।
অথবা আপনি ইচ্ছা করলে সেনাবাহিনী, পিডিবি, পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং বন বিভাগের রেস্ট হাউসগুলোতে থাকতে পারবেন খুবই কম খরচে। কিন্তু এই জন্য আপনাকে সংশ্লিষ্ট সরকারি অফিসের অনুমতি নিতে হবে।

যা যা দেখবেনঃ

শহরে বেড়ানো ও দেখার মতো অনেক জায়গা, স্থাপনা ও নিদর্শন আছে। এগুলোর মধ্যে কাপ্তাই লেক ভ্রমন, পর্যটন মোটেল, ডিসি বাংলো, ঝুলন ব্রিজ, পেদা টিংটিং, সুবলং ঝর্না, রাজবাড়ি, রাজবন বিহার, উপজাতীয় জাদুঘর, কাপ্তাই হাইড্রো ইলেক্ট্রিক প্রজেক্ট, কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান ইত্যাদি উলে¬খযোগ্য। তবে নিরাপত্তার জন্য শহর থেকে দূরে কোথাও গেলে সন্ধ্যার আগেই ফেরা ভালো।শহরে বেড়ানো ও দেখার মতো অনেক জায়গা, স্থাপনা ও নিদর্শন আছে। এগুলোর মধ্যে কাপ্তাই লেক ভ্রমন, পর্যটন মোটেল, ডিসি বাংলো, ঝুলন ব্রিজ, পেদা টিংটিং, সুবলং ঝর্না, রাজবাড়ি, রাজবন বিহার, উপজাতীয় জাদুঘর, কাপ্তাই হাইড্রো ইলেক্ট্রিক প্রজেক্ট, কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান ইত্যাদি উলে¬খযোগ্য। তবে নিরাপত্তার জন্য শহর থেকে দূরে কোথাও গেলে সন্ধ্যার আগেই ফেরা ভালো।চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি মহাসড়কের আঁকাবাঁকা পথ বেয়ে বাসে চড়ার সময় বেতবুনিয়ায় পা বাড়ালেই পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি। এই বেতবুনিয়াতেই দেশের সর্বপ্রথম ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্রটি অবস্থিত। এরপর রানীরহাট বাজার অতিক্রম করে সামনের দিকে তাকালে চোখে পড়বে সুউচ্চ অসংখ্য পাহাড়ের সারি। সামনের দিকে এবং দক্ষিণ-পূর্ব দিকে সবচেয়ে উচু যে পাহাড়টি চোখে পড়বে সেটি হল ফুরমোন পাহাড়।

আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে বা এই বিষয়ে কোন কিছু জানানোর থাকলে নীচের মন্তব্য বিভাগে লিখতে ভুলবেন না । আপনার ভ্রমণ পিয়াশি বন্ধুদের সাথে নিবন্ধটি শেয়ার করে নিন যাতে তারাও জানতে পারে ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *