সংক্ষিপ্ত বিবরনঃ
আনুমানিক ১৯৬১ সালে এ দিঘীর মালিক ছিলেন জমিদার বিশনায় মল্লিক( Beshonai Mallik’s Dighi )।তারা থাকত পাঙশিতে এই দিঘীতে। তার এ দিঘী নিয়ে মামলা থাকে আদালতে। তখন আদালত ছিল বাকেরগঞ্জ সেই দুরদুরান্তে গিয়ে এই মামলা চালাত এই জমিদার। অনেক দিন আদালতে শুনানির পরে মামলার রায় হয় একদিন। মামলার দুই পক্ষই আদালতে যায়।
এই বিশনায় মল্লিক আদালতে যাওয়ার আগে তার পরিবারকে বলে যায় হয়ত এটাই আমার শেষ যাওয়া তার পরিবার তাকে বাধা দেয় আদালতে যাওয়ার জন্য তখন তিনি বলেন আমি যদি মামলায় জিতি তাহলে ফিরে আসব। তখন তার পরিবার বলল আমরা কিভাবে বুঝব তুমি জিতেছ না হেরে গেছ? তখন তিনি বলল আমার কবুতর তোমাদের উত্তর যানাবে। তখন হাটা পথ ছাড়া কিছুই ছিল না এতদুরে আসতে যেতে আনুমানিক ১০-১৫ দিন সময় লাগত। তাই এতদিন অপেক্ষা কি করে সম্ভব।তখন বিশনায় মল্লিকের শিকারী কবুতর ছিল।
সে তার পরিবারকে তখন বলে এই দুটো কবুতর আমি নিয়ে গেলাম আমি যদি মামলায় হেরে যাই তাহলে ওরা আমার আগে আসবে আর যদি মামলায় জিতে যাই আমরা একসাথে আসব। মামলার শুনানি শুরু হয় । এদিকে তার পরিবার পাঙশি নিয়ে এই দিঘিতে অপেক্ষা করে কখন ফিরে আসবে। অবশেষে এল ফিরে কারন মামলায় জিতে গেল । গল্পের শেষ এখানেই না সে মামলায় যেহেতু জিতেছে সেহেতু কবুতর আসার কথা ছিল তার সাথে কিন্তু কবুতর একা ফিরে এল।
কারন তার শত্রু পক্ষ তার এ প্লান জানতে পারে তারপরে তারা তার কবুতর দের ছেড়ে দেয়। তার কবুতর ফিরে আসে তার পরিবারের পাঙশির উপরে পরে। তখন তার পরিবার ভাবে যে সে মামলায় হেরে গেছে সাথে সাথে পাংশি ফুটা করে দেয় ফলে পাঙশি ডুবে যায় এবং পরিবারের সবাই ওই দিঘীতেই মারা যায়। ৭ দিন পরে বিশনায় মল্লিক আসে এসে পরিবারের কাউকে না পেয়ে সে এ দেশ ছেড়ে পাড়ি দেয় কোন অজানা দেশে। আজও বিশনায় মল্লিকের দিঘী আছে, আছে তার নাম কিন্তু তার কোন সন্ধান আজও মেলেনি।
কিভাবে যাবেনঃ
ঝালকাঠী থেকে অটো বা মটরবাইক অথবা অন্য যে কোন যানবাহনে করে কীত্তিপাশা । কীত্তিপাশা থেকে রুনসী হয়ে রমানাথপুর। ভারাঃ ঝালকাঠী থেকে কীত্তিপাশা অটোতেঃ ২০ টাকা কীত্তিপাশা থেকে অটোতে দিঘীতে ১০ টাকা।