জেস গার্ডেন পার্ক | যশোর

সংক্ষিপ্ত বিবরনঃ

যশোর শহর থেকে মাত্র ২.৫ কিঃমিঃ দূরে বাহাদুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম দিকে সুন্দর, নির্মল ও নিরিবিলি পরিবেশে অবস্থিত “জেস গার্ডেন পার্ক( jess garden park )”। প্রায় ১২ একর জমির উপর পার্কটির অবস্থান। মরহুম
এ. এস. এম হাবিবুল হক চুনি ১৯৯২ সালে এই পার্কটি প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে এটি যশোরের মানুষের কাছে অন্যতম একটি বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
 
    যশোরের আশপাশের সকল জেলা হতে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ এখানে বেড়াতে আসেন। এক সময় সিলেট, চট্টগ্রামসহ দূরের অনেক জেলা হতে মানুষ এই জেসগার্ডেনে ঘুরতে আসতেন। শীত মৌসুমে প্রতিদিন গড়ে ২০/৩০টি পিকনিক পার্টি আসে এখানে।
    যশোর শহরের  সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল হওয়ায় দর্শনার্থীদের কাছে স্থানটি বেশ আকর্ষনীয় হয়ে উঠছে। বিশেষ করে শিশুদের আনন্দের জন্য পার্কটির জুড়িনেই। দুপাশে দিগন্ত জোড়া সবুজ ফসলের মাঠ পার্কটির শোভা আরো বৃদ্ধিকরেছে। পার্কটির চারপাশ দিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে অসংখ্য বড় বড় গাছ। এগুলো একদিকে যেমন পার্কটির শোভা বৃদ্ধি করেছে অন্যদিকে দর্শনাথীদের নির্মল ছায়া দিচ্ছে।
    বর্তমানে পার্কটির পরিচালনার দায়িত্বে আছেন হাবিব সাহেবের স্ত্রী ইসমত আরা হক। প্রায় ৩০ জন স্টাফ এখানে নিয়মিত কাজ করেন। 

অন্যান্য পার্কের মত এখানেও টিকিট সংগ্রহ করে ভেতরে ঢুকতে হয়। টিকিট মূল্য মাত্র ১০/১৫ টাকা।
    পার্কের বিশেষ আকর্ষণ :
পার্কের ভেতরে ঢুকেই চোখে পড়বে একটি কৃত্তিম জলাশয় যেখানে পদ্মফুল ফুটে থাকে, আর তার মাঝে একটি ভাস্কর্য, কৃত্তিম কুমির ও কয়েকটি কৃত্তিম বক পাখি দাঁড়িয়ে আছে। পাশে একটি মূর্যাতল আছে যেখানে গ্রাম বাংলার প্রতিচ্ছবি তুলে ধরা হয়েছে। একটু সামনে এগিয়ে গেলে দেখা যাবে খেলনা হাঁসের পেটে বসেশিশুদেরকে নিয়ে বাবা মা পানিতে ঘুরছেন। আরও দেখা যাবে নাগরদোলা, চেয়ার চরকি, ঘোড় চরকি ও ছোট্ট ট্রেন প্রভৃতি। প্রতিটি রাইডারে চড়তে আলাদা আলাদা টিকিটের প্রয়োজন হয়। টিকিট ভেতরেই পাওয়া যায়। সবগুলো টিকিট ব্যবহার করতে না পারলে তা আবার ফেরৎ দেয়া যায়।




  পার্কের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বিশাল আকৃতির খেলনা হাতি, ঘোড়া, বাঘ, সিংহ, ক্যাঙ্গারু, বনমানুষসহ আরও অনেক প্রাণী। যেগুলোর পিঠে চড়ে বাচ্চারা বেশ আনন্দ পায়। এগুলোতে চড়তে কোন টিকেট প্রয়োজন হয় না।  
    পার্কে প্রবেশ করে ডান পার্শে দেখবেন একটি বড় পুকুর। পুকুরের পানিতে প্যাডেল বোটে চড়ে দর্শনার্থীদের ঘুরে বেড়ানোর দৃশ্য দেখা যাবে। সেতুর উপর থেকে দৃশ্যটি আরও সুন্দরভাবে উপভোগ করা যায়। কিন্তু সাবধান কাঠের তৈরী সেতু ভেঙ্গে যেন পানিতে পড়তে না পড়েন। একবার সেতুর কিছু অংশ ভেঙ্গেপুকুরের পানিতে পড়ে কয়েকজন ভদ্র মহিলা হাবুডুবু খেয়েছিলেন। পানিতে পড়ে মারা যাবার ভয় তেমন নেই তবে পেটপুরে পুকুরের ঘোলা পনি খাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
সেতু পার হয়ে পুকুরের পূর্বে পাশে দেখবেন মিনি চিড়িয়াখানা। এখানে ঢুকতে আবার ১০ টাকা মূল্যের টিকিট প্রয়োজন হয়। টিকিট চিড়িয়াখানার গেইটেই পাওয়া যায়। ছোট বাঘ, ভল্লুক, হরিণ, কুমির, অজগর সাপ, ময়ুর, খরগোশ ওবিভিন্ন ধরনের পাখি দেখা যায় চিড়িয়াখানায়।  
 
এছাড়াও পার্কের মধ্যে পশ্চিম পার্শে পিকনিক পার্টিদের বসার জন্য রয়েছে ২৫টি পিকনিক ছাউনি এবং তাদের বিশ্রামের জন্য ১০টি গোলঘর রয়েছে।  
ভি.আই.পি লোকের জন্য আছে বিশেষ রেস্ট হাউজ।

সপ্তাহের ৭ দিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পার্কটি খোলা থাকে। 
         

আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে বা এই বিষয়ে কোন কিছু জানানোর থাকলে নীচের মন্তব্য বিভাগে লিখতে ভুলবেন না । আপনার ভ্রমণ পিয়াশি বন্ধুদের সাথে নিবন্ধটি শেয়ার করে নিন যাতে তারাও জানতে পারে ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *