সাকাহাফং | বান্দরবান

সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ

ত্ল্যাং ময় (বম: সুন্দর চূড়া), মোদক টং বাংলাদেশের একটি পাহাড়চূঁড়া( sakahafong bandarban )। চূঁড়াটিকে অনেক সময় বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিন্দু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর উচ্চতা ১,০৫২ মিটার (৩,৪৫১ ফুট)। বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে চূড়াটি অবস্থিত।

আনুষ্ঠানিকভাবে ত্লাংময়কে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ চূড়া হিসেবে ঘোষণা করা হয়নি। কিন্তু সাম্প্রতিক তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে বলা যায়, সম্ভবত এর চেয়ে বেশি উচ্চতার আর কোন চূড়া বাংলাদেশে নেই। চূড়াটি ২০০৫ সালে সর্বপ্রথম আরোহন করেন ইংরেজ পর্বতারোহী জিং ফুলেন। সেসময় তিনি চূঁড়াটির উচ্চতা নির্ণয় করেন ১,০৬৪ মিটার আর অবস্থান দেখান 21°47′11″উ. 92°36′36″পূ. / 21.78639°উ. 92.61°পূ.। তাঁর দেখানো এ অবস্থান রাশিয়া নির্মিত ভৌগোলিক মানচিত্রে এর অবস্থানের সাথে হুবহু মিলে যায়। ২০০৭ সালে প্রথম বাংলাদেশী দল ত্লাংময় আরোহন করেন। ইয়াহিয়া খানের নেতৃত্বে সেই দলে ছিলেন দেশের এভারেস্ট আরোহনকারী পর্বতারোহী সজল খালেদ। মূলত সেই সময় থেকে পরিচিত হয়ে উঠে ত্লাংময় নামটি। ২০১১ খ্রিস্টাব্দে দুটি অভিযাত্রিক দল সাকা হাফং-এর উচ্চতা নির্ণয় করেন ৩,৪৮৮ ও ৩,৪৬১ ফুট। বাংলাদেশের স্বীকৃত সর্বোচ্চ চূড়া কেওক্রাডঙের (৩,১৭২ ফুট) চেয়ে এর উচ্চতার সকল পাঠই অনেক বেশি।

কিভাবে যাবেনঃ

বিভিন্ন পরিবহনের বাসে ঢাকা/চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি বান্দরবানে যাওয়া যায় । বান্দরবানে পৌঁছানোর পরে তিন দিক সাকাহাফং থেকে যাওয়া যায় – থানচি, রুমা বাজার ও রেমাক্রি বাজার দিয়ে ।

রুমা থেকে রুট
বগা লেক – কেওক্রাডং – থাইক্যাং পাড়া – ( নতুন বোম পাড়া হয়ে ) দুলাচরণ পাড়া – হান্জরাই পাড়া – নিফিউ পাড়া – সামিট । প্রথম দিকের দলগুলো অবশ্য দুলাচরণ পাড়া থেকে শালুকিয়া পাড়া উঠে যেতো, এর পর নেফি্উ হয়ে সামিট, এখন আর শলুকিয়া খুব একটা যাওয়া হয় না ।
বগা লেক – কেও – থাইক্যাং পাড়া না ঢুকে কবরস্হান থেকে ডানে মোড় নিয়ে তাম্ল পাড়ার নীচ দিয়ে রেমাক্রি খাল – নতুন বোম পাড়া -খাল ধরে দুলাচরণ পাড়া – এরপর নেফি্উ পাড়া – সামিট ।

বর্ষাকালে খাল ধরে যাওয়া কঠিন বলে অনেক সময় থাইক্যাং পাড়া- তাম্ল পাড়া – হয়ে হান্জরাই পাড়া – নেফিউ – সামিট । ( তবে তাম্ল বা নতুন তাম্ল দিয়ে পথ অনেকটা ঘুর পথ, উঠা নামাও বেশী )

বগা লেক – কেও – বাকলাই – সিম্পাম্পি – ( তাজিংডং সামিট বাড়তি) তারপর রেমাক্রি খাল নেমে হান্জরাই – নেফিউ – সামিট ( ঘুরপথ, পানির সমস্যা আছে, তবে তাজিং ডং বোনাস )

কোথায় থাকবেনঃ

বান্দরবান জেলা শহরে ভালোমানের অনেক আবাসিক হোটেল (বড় বাজেট ও মাঝারি বাজেট) রয়েছে। খাওয়া-দাওয়ার জন্য সুপরিচিত দুটি জায়গা হলো বান্দরবান শহরের রুমা রোডের একটি রেস্টুরেন্ট এবং জাদিপাড়া ডন বসকো হাই স্কুল রোডের আরেকটি রেস্টুরেন্ট।

আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে বা এই বিষয়ে কোন কিছু জানানোর থাকলে নীচের মন্তব্য বিভাগে লিখতে ভুলবেন না । আপনার ভ্রমণ পিয়াশি বন্ধুদের সাথে নিবন্ধটি শেয়ার করে নিন যাতে তারাও জানতে পারে ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *