ঝরঝরি ঝর্ণা | সীতাকুন্ড

ঝরঝরি ঝর্ণা | সীতাকুন্ড

সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ

সীতাকুন্ড মীরসরাই রেঞ্জের যে কয়েকটা এডভেঞ্চারাস ও সুন্দর ট্রেইল রয়েছে তারমধ্যে ঝরঝরি ট্রেইল অন্যতম( Jhorjhori Waterfall )। সবুজ পাহাড়ে ঘেরা শান্ত শীতল ঝিরিপথ ধরে প্রায় দেড় থেকে দুই ঘন্টার পথ পাড়ি দিয়ে যখন ঝর্ণার কাছে পৌছাবেন বিশ্বাস করুন আপনার সকল ক্লান্তি তখন গ্যাস বেলুনের মত উড়ে যাবে। ঝরঝরি ঝর্ণার পাশ দিয়ে পাহাড় বেয়ে উপড়ে উঠে গেলে বেশ কয়েকটি ক্যাসকেড ও ঝর্ণা আপনাকে আরো মুগ্ধ করবে বিশেষ করে স্বর্গের সিড়ি না অসম্ভব সুন্দর একটি ক্যাসকেড আছে যা সিড়ির মত ধাপে ধাপে খাজকাটা। এই ট্রেইলের শেষে রয়েছে মুর্তি ঝর্ণা। ঝরঝরি ঝর্ণা পর্যন্ত ট্রেইলটি খুব একটা কঠিন নয়, অনেক মহিলা এবং শিশু ট্রাভেলার কেউ যেতে দেখেছি সেখানে। এখনই ঝর্ণায় যাবার বেস্ট সময় আর এই সময় ঝর্ণায় পানির ফ্লো বেশ ভালো।

কিভাবে যাবেনঃ

ঢাকা থেকে মিরসরাই পার হয়ে পন্থিছিলা বাজারে নামতে হবে। বাজার থেকে পূর্ব দিক যেতে হবে। প্রথমে রেল লাইন পড়বে। রেল লাইন ধরে ৫ মিনিটের মত বাম দিকে গেলে হাতের ডানের প্রথম মাটির রাস্তা ধরে গেলে কানি ঝিরি পড়বে। এখান থেকে ঝিরি ও একটি পাহাড় পার হলে ঝরঝরি ঝিরি পাবেন। ঝিরি ধরে ৩০ মিনিটের মত গেলেই ঝিরি মুখে পাবেন ঝরঝরি ঝর্না। পন্থিছিলা থেকে ঝরঝরি পর্যন্ত হেঁটে আসতে ১ ঘন্টার মত লাগবে।

বাম দিক দিয়ে উপরে উঠে ঝিরি ধরে যেতে থাকলে বড় বড় অনেক সুন্দর দুইটি ক্যাসকেড এবং একটা খুম পাবেন। শেষ ক্যাসকেড থেকে ২ ঘন্টার মত ট্রেকিং করলে মানুষের মুখের আকৃতির একটি পাথর দেখতে পাবেন। স্থানীয় অনেকে এটাকে মূর্তি ঝর্ণা বলে। মূর্তি ঝর্নার মাঝখান দিয়ে উপরে ওঠার ছোট একটা রাস্তা আছে। মূর্তি ঝর্নার খুব কাছে না গেলে রাস্তাটা দেখা যাবে না। মূর্তি ঝর্নার মাঝখান দিয়ে উপরে উঠলেই পাওয়া যাবে আরো একটা সুন্দর ঝর্না এবং ক্যাসকেড।

যা যা করণীয়ঃ

৫-৬ জনের গ্রুপ হয়ে গেলে ভাল। বর্ষার সময় যাবেন তাহলে ঝর্ণার পূর্ণ সৌন্দর্য দেখতে পাবেন। প্রায় ট্রেইল শেষ করতে দিনের অর্ধেক সময়ই যথেষ্ট। তাই যত তারাতারি সম্ভব ট্র্যাকিং শুরু করবেন। তাহলে এক দিনে দুইটি স্থানেও যেতে পারবেন। ঝিরি পথে পানির গতির দিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং দেখে সাবধানে পা ফেলতে হবে। অহেতুক তাড়াহুড়া করবেন না। বিশেষভাবে জোক ধরলে অবশ্যই লাফালাফি করবেন না। একদম চুপচাপ থাকুন আর ভ্রমণসঙ্গীকে বলুন ছাড়িয়ে দিতে। নিজে ছাড়াতে পারলে সেটা আরো ভালো।

অবশ্যই পাহাড়ে যাওয়ার সময় হালকা খাবার ও বিশুদ্ধ খাবার পানি ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে যাবেন। তবে ময়লাগুলো ফেলে এসে পরিবেশ নষ্ট করবেন না।

আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে বা এই বিষয়ে কোন কিছু জানানোর থাকলে নীচের মন্তব্য বিভাগে লিখতে ভুলবেন না । আপনার ভ্রমণ পিয়াশি বন্ধুদের সাথে নিবন্ধটি শেয়ার করে নিন যাতে তারাও জানতে পারে ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *