সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ
মান্দারবাড়িয়া, সাতক্ষীরা জেলায় অবস্থিত বঙ্গোপসাগরের তীরভূমি জুড়ে এক নয়নাভিরাম বালুকাময় সমুদ্র সৈকত( mandarbariya sea beach khulna )।সাতক্ষীরার বুড়িগোয়ালিনীর নীলডুমুর নৌ-ঘাট থেকে এর Arial দূরত্ব আনুমানিক ৭৫ কিঃমিঃ।একদিকে সুন্দরবন অপরদিকে বঙ্গোপসাগরের মায়াবী জলরাশির অবিশ্রান্ত গর্জন যে কোন মানুষকেই দেবে অনির্বচনীয় আনন্দ।মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত প্রকৃতির অপরূপা সুন্দরবন ও উত্তাল বঙ্গোপসাগরের এক রূপসী কন্যা-যা এখনও কিছুটা অনাবিস্কৃত এবং অস্পর্শিত।এখানে দাঁড়িয়ে দেখা যাবে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত।UNESCO ঘোষিত (world Heritage Site) হিসেবে সুন্দরবন সপ্তম প্রাকৃতিক আশ্চর্যের তালিকাভুক্ত।
কিভাবে যাবেনঃ
সাতক্ষীরার বাস ধরে সাতক্ষীরা/শ্যামনগর যেতে হবে। ঢাকা থেকে সাতক্ষীরার দূরত্ব ৩৪৩ কিলোমিটার। সাতক্ষীরা সদর থেকে বুড়িগোয়ালীনি ৭০ কিলোমিটার। সহজে মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকতে যাওয়া যাবে বুড়িগোয়ালিনীর নীলডুমুরস্থ নৌঘাট থেকে। ইঞ্জিন চালিত নৌকা, স্টিমার বোটে করে শীত মৌসুমে (অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) সময়ে মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকতে যাওয়া যাবে। স্টিমার বা ইঞ্জিন চালিত নৌকা করে পৌঁছাতে সময় লাগবে ৬/৭ ঘণ্টা। স্পিড বোট যোগে বুড়িগোয়ালিনীর নীলডুমুর থেকে মান্দারবাড়িয়া পৌঁছাতে সময় লাগবে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা।
কোথায় থাকবোঃ
মান্দারবাড়িয়ায় থাকার কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই আপনাকে থাকতে হবে সাতক্ষীরার কোনো হোটেলে কিংবা শ্যামনগর রেস্ট হাউজে। সাতক্ষীরার কিছু ভাল মানের আবাসিক হোটেল ও কটেজ হল:
১) হোটেল সংগ্রাম (ইটাগাছা)।
২) হোটেল সম্রাট (পলাশপো।
৩) হোটেল সীমান্ত (পলাশপোল)।
৪) মোজাফফর গার্ডেন (খড়ি বিলা)।
৫) হোটেল মোহনা (ঢাকা স্ট্যান্ড)।
৬) হোটেল উত্তরা।