সংক্ষিপ্ত বিবরনঃ
সোনাবাড়িয়া মঠবাড়ি মন্দির( Sonabaria Moth Bari Mondir )গুচ্ছ বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলায় অবস্থিত একটি মঠ ও ৩টি মন্দিরের সম্মিলন যা পৌনে চারশত বছরের অধিক প্রাচীন। দৃষ্টিনন্দন এই প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানটি পূর্বে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদেরও উপাসনালয় হিসাবে ব্যবহৃত হতো
বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়িয়া গ্রামে এই মন্দির গুচ্ছ অবস্থিত। এই স্থানটি কলারোয়া উপজেলা সদর থেকে ৯.৬ কিলোমিটার দূরে ভারতী সীমান্তবর্তী অঞ্চল।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সাবেক উপ-পরিচালক মোঃ মোশারফ হোসেনের লেখা ‘প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ প্রতিবেদন বৃহত্তর খুলনা’ বইয়ের ৯৪ পৃষ্ঠার দ্বিতীয় কলামে উল্লেখ করা হয়েছে, এ মন্দির ১৭৬৭ খ্রিস্টাব্দে জনৈক হরিরাম দাশ(মতান্তরে দুর্গাপ্রিয় দাশ) নির্মাণ করেছিলেন। যেটি সতীশ চন্দ্র মিত্রের বইয়েও লেখা রয়েছে। এই পুরাকীর্তির সবচেয়ে বড় এর ত্রিতলবিশিষ্ট নবরত্ন মন্দির। এটিই ‘শ্যামসুন্দর মন্দির’ নামে পরিচিত। এর সাথে লাগোয়া রয়েছে দুর্গামন্দির ও শিবমন্দির। এই মন্দিরগুচ্ছের দক্ষিণে একটি অসম বাহুবিশিষ্ট চৌকো দীঘি আছে। বর্তমানে এই ঐতিহাসিক পুকুরটি বিষমবাহুর আকার ধারণ করেছে।
কিভাবে যাবেনঃ
কলারোয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী একটি জনপদ সোনাবাড়িয়া। ২শ’ বছর আগের গোটা সোনাবাড়িয়াজুড়ে জমিদার শাসনের নিদর্শন ছড়িয়ে আছে। এমনই এক প্রাচীন ঐতিহ্যের ধারক সোনাবাড়িয়া মঠ মন্দির। প্রায় ৬০ ফুট উঁচু টেরাকোটা ফলক খচিত শ্যামসুন্দর মন্দিরটি আজও দাঁড়িয়ে আছে প্রাচীন স্থাপত্যের অনুরূপ নিদর্শন হয়ে