সংক্ষিপ্ত বিবরনঃ
তেওতা জমিদার বাড়ি( Teota Zamindar Bari )মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের প্রাচীন একটি জমিদার বাড়ি ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা। এটি উপজেলার তেওতা নামক গ্রামে অবস্থিত।
ইতিহাসবিদদের মতে, সতেরশ’ শতকে এই জমিদার বাড়িটি নির্মাণ করা হয়েছিল। এটি নির্মাণ করেছিলেন পঞ্চানন সেন নামক একজন জমিদার। জনশ্রুতি অনুসারে, পঞ্চানন সেন এক সময় খুবই দরিদ্র ছিলেন ও দিনাজপুর অঞ্চলে তিনি তামাক উৎপাদন করে প্রচুর ধসম্পত্তির মালিক হওয়ার পর এই প্রাসাদটি নির্মাণ করেন। পরবর্তিতে এখানে জমিদারি প্রতিষ্ঠিত করে জয়শংকর ও হেমশংকর নাম দুজন ব্যক্তি। ভারত বিভক্তির পর তারা দুজনেই ভারত চলে গেলে বাড়িটি পরিত্যক্ত হয়ে যায়।
তেওতা জমিদার বাড়িটি মোট ৭.৩৮ একর জমি নিয়ে স্থাপিত। মূল প্রাসাদের চারপাশে রয়েছে আরও বিভিন্ন ধরণের স্থাপনা ও একটি বড় পুকুর। প্রাসাদের মূল ভবনটি লালদিঘী ভবন নামে পরিচিত। এখানে একটি নটমন্দিরও রয়েছে। এছাড়াও এখানে রয়েছে নবরত্ন মঠ ও আর বেশ কয়েকটি মঠ। সবগুলো ভবন মিলিয়ে এখানে মোট কক্ষ রয়েছে ৫৫টি।
কিভাবে যাবেনঃ
আমরা ঢাকা থেকে ৯ জন মেয়ের একটি দল গিয়েছিলাম মাইক্রো বাস নিয়ে। সারাদিনের জন্য রিজার্ভ করে নিয়েছিলাম। তবে বাসেও যেতে পারবেন। এতে খরচও বেশ কমে আসবে। ঢাকার গুলিস্তান বা গাবতলী থেকে বাসে প্রথমেই যেতে হবে আরিচা ঘাট। ভাড়া পড়বে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা।
আরিচা ঘাট নেমে সেখান থেকে অটো রিকশা বা সিএনজিতে যেতে পারবেন তেওতা জমিদার বাড়ি। ভাড়া পড়বে ৩০ টাকা।