সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ
তিন নেতার মাজার( Tin Netar Mazar Dhaka )- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় দোয়েল চত্বরের উত্তর পাশে অবস্থিত, স্বাধীনতা-পূর্ব বাংলার তিন বিখ্যাত রাজনৈতিক নেতা – হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, খাজা নাজিমুদ্দিন ও শেরেবাংলা এ.কে. ফজলুল হক এর কবরের উপর নির্মিত ঢাকার অন্যতম স্থাপত্য নিদর্শন।
আর্কিটেক্ট মাসুদ আহমদ এবং এস এ জহিরুদ্দিন এই ভাস্কর্যটির নকশাকার। জনপ্রিয় এই তিন নেতার মাজার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বরের উত্তর পাশে অবস্থিত। সাজানো গুছানো এই তিন নেতার মাজারটিকে ঘিরে আছে শিশু একাডেমি ও হাইকোর্ট। এই তিন নেতা বাংলার স্বাধীনতায় যেমন ভূমিকা রেখেছেন তেমনি স্বাধীনতার পূর্ব- বাংলার বিংশ শতাব্দীর রাজনীতিতে তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এই তিন নেতাই ছিলেন তৎকালীন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। বাংলার বাঘ নামে পরিচিত শের-এ-বাংলা এ.কে. ফজলুল হক একজন বিখ্যাত বাঙ্গালী রাজনীতিবিদ ছিলেন । তিনি ছিলেন কলকাতার মেয়র এবং অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী। ১৯৫৪ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন এবং ১৯৫৫ সালে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। পরে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নরের দায়িত্ব পালন করেন। যুক্তফ্রন্ট গঠনে প্রধান নেতাদের মধ্যে তিনি অন্যতম ।
ঢাকার নবাব পরিবারে জন্মগ্রহণ করা খাজা নাজিমুদ্দিন ছিলেন বাংলার অন্যতম রাজনীতিবিদ। ১৯৪৮ সালে তিনি পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল হন এবং ১৯৫১ সালে পাকিস্তানের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী হন। ১৯৫৩ সালের ১৭ এপ্রিল নাজিমুদ্দিনকে পদচ্যুত করা হয় । হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন একজন বিখ্যাত বাঙ্গালী রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী। ১৯২৪ সালে কলকাতা পৌরসভার ডেপুটি মেয়র হন এবং খাজা নাজিমুদ্দিনের মন্ত্রীসভায় তিনি শ্রমমন্ত্রী, পৌর সরবরাহ মন্ত্রী ছিলেন তিনি ছিলেন পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী । ১৯৪৮- এ পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র লীগ এবং ১৯৪৯-এ পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠন করেন । এ কে ফজলুল হক এবং মাওলানা ভাসানীর সাথে তিনি যুক্তফ্রন্ট গঠন করেন।১৯৫৭ সালে পর্যন্ত তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।